গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় কত তারিখ?
A
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
B
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
C
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
D
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া ১৯৭২ সালে সম্পন্ন হয়। সংবিধান প্রণয়ন থেকে কার্যকর হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাগুলো নিম্নরূপ:
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয় ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন ১১ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধান স্পিকার কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয় ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদের সদস্যগণ হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বাক্যাংশটি কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল?
Created: 3 weeks ago
A
পঞ্চম সংশোধনী
B
চতুর্থ সংশোধনী
C
সপ্তম সংশোধনী
D
ষষ্ঠ সংশোধনী
বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাসে পঞ্চম সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক মোড়বদলের নির্দেশক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আদর্শ, জাতীয় পরিচয় ও ধর্মীয় উপাদানে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
সংশোধনীটি ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়।
-
এই আইনের মাধ্যমে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে পরিবর্তন আনা হয়।
-
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনকালীন সময়ে জারি করা সমস্ত সামরিক বিধান, সংবিধান সংশোধন ও অধ্যাদেশকে বৈধতা প্রদান করা হয়।
-
এই সংশোধনীর ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে **‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’**কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যা জাতীয় পরিচয়ের ভাষাগত ভিত্তি থেকে ভূখণ্ড ও রাষ্ট্রভিত্তিক পরিচয়ে রূপান্তর ঘটায়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন অনুচ্ছেদ মূলে বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি পরিবর্তনযোগ্য নয়?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ৭
B
অনুচ্ছেদ ৮
C
অনুচ্ছেদ ৭(ক)
D
অনুচ্ছেদ ৭(খ)
অনুচ্ছেদ ৭(খ) অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু মৌলিক বিধানাবলী পরিবর্তনযোগ্য নয়। এই ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মূল কাঠামো ও প্রস্তাবিত নীতিগুলো সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, যা সংবিধান সংশোধনের সাধারণ ক্ষমতার বাইরে।
-
অনুচ্ছেদ ৭(খ) সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী, তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমূহের সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ বা অন্য কোনোভাবে সংশোধন করা যাবে না।
মূল অনুচ্ছেদসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
অনুচ্ছেদ ১ - প্রজাতন্ত্র।
-
অনুচ্ছেদ ২ - প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা।
-
অনুচ্ছেদ ৩ - রাষ্ট্রভাষা।
-
অনুচ্ছেদ ৪ - জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক।
-
অনুচ্ছেদ ৫(১) - প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা।
-
অনুচ্ছেদ ৫(২) - রাজধানীর সীমানা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
-
অনুচ্ছেদ ৬ - নাগরিকত্ব।
-
অনুচ্ছেদ ৭ - সংবিধানের প্রাধান্য।
-
অনুচ্ছেদ ৭ক - সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ।
-
অনুচ্ছেদ ৭খ - সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য।
-
অনুচ্ছেদ ৮ - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
-
অনুচ্ছেদ ৯ - জাতীয়তাবাদ।
-
অনুচ্ছেদ ১০ - সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে গ্রেপ্তার ও আটক বিষয়ে নাগরিকের রক্ষাকবচ উল্লেখ রয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
৩৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৩ নং অনুচ্ছেদ
D
৩২ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত রক্ষাকবচ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার বা আটক করা না যায়। এই বিধান অনুচ্ছেদ ৩৩-এ বর্ণিত হয়েছে, যা ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি।
মূল তথ্যসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৩: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
-
(১) কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর যথাসম্ভব দ্রুত গ্রেপ্তারের কারণ জানানো ছাড়া প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তাঁর মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার এবং তাঁর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
-
(২) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা আবশ্যক (গ্রেপ্তারের স্থান থেকে আদালতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় সময় ব্যতীত)।
-
ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
(৩) এই রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়—
-
(ক) যে ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশী শত্রু, অথবা
-
(খ) যিনি নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইনের অধীনে গ্রেপ্তার বা আটক হয়েছেন।
-
-
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩২: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৫: বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ।
0
Updated: 3 weeks ago