মঙ্গলপাণ্ডে কোন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন?
A
নীল বিদ্রোহ
B
সিপাহী বিদ্রোহ
C
ভারত ছাড়ো আন্দোলন
D
স্বদেশী আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
সিপাহি বিদ্রোহ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৮৫৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামে এক সিপাহীর গুলির মাধ্যমে এই বিদ্রোহের সূচনা হয়। এটি দ্রুত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, এর ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়।
-
সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামের এক সিপাহী কর্তৃক গুলি বর্ষণের মাধ্যমে বিদ্রোহের সূচনা ঘটে।
-
বিদ্রোহ দ্রুত মিরাট, কানপুর, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, বাংলা সহ ভারতের প্রায় সকল অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, কুমিল্লা, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে।
-
পরবর্তীতে বিদ্রোহ ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তবে শেষ পর্যন্ত এটি ব্যর্থ হয়।
-
এই বিদ্রোহের ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন অবসান ঘটে।
-
ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে আসে।

0
Updated: 10 hours ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ এর শিরোনাম কোনটি?
Created: 10 hours ago
A
উন্নয়নমুখী বাজেট: আগামীর বাংলাদেশ
B
সামাজিক নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন
C
বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়
D
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথ
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও সরকারের পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র উপস্থাপন করে, যেখানে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ, বাজেট ঘাটতি, জিডিপি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৫৫তম)
-
বাজেটের শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'
-
বাজেট উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)
-
বাজেট উত্থাপন: ২ জুন, ২০২৫
-
অনুমোদন: ২২ জুন, ২০২৫
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫
-
জিডিপির আকার: ৬২,৪৪,৫৭৮ কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%
-
বাজেটের আকার: ৭,০০,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদান ব্যতীত বাজেট ঘাটতি: ২,২৬,০০০ কোটি টাকা
-
অনুদানসহ বাজেট ঘাটতি: ২,২১,০০০ কোটি টাকা
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন
-
উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: সুদ
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২,৩০,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৭%)
-
উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%

0
Updated: 10 hours ago
সিপাহী বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?
Created: 19 hours ago
A
কানপুর
B
ব্যারাকপুর
C
দিল্লি
D
মিরাট
সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয়দের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’ হিসেবে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসন অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড আছে। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করে।
-
নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করে।
-
এ লড়াই শুধু সিপাহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারতের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ জনগণও সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
এ বিদ্রোহের কারণগুলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
-
পরোক্ষ কারণ:
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
-
-
প্রত্যক্ষ কারণ:
-
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ প্রচলন।
-
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা বাধ্যতামূলক করা হতো।
-
গুজব রটে যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি মেশানো আছে।
-
এটি ধর্মনাশের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সিপাহীদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
-
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বিজিএমইএ এর বর্তমান সভাপতি কে? (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
Created: 10 hours ago
A
খন্দকার রফিকুল ইসলাম
B
রুবানা হক
C
ইনামুল হক খান
D
মাহমুদ হাসান খান
বর্তমানে মাহমুদ হাসান খান বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত এবং ২০২৫–২০২৭ মেয়াদে বিজিএমইএ-এর নেতৃত্বে এসেছেন। (BSS)
বিজিএমইএ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বিজিএমইএ-এর পূর্ণরূপ হলো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
-
এটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম বৃহত্তম ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন।
-
সংগঠনটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিজিএমইএ সরকারের নীতি সমর্থন, সদস্যদের সেবা, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং কারখানায় সামাজিক সম্মতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
-
বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ব্র্যান্ড ও উন্নয়ন অংশীদারসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে।
-
বর্তমানে বিজিএমইএ-এর নিবন্ধিত পোশাক কারখানার সংখ্যা প্রায় চার হাজার।

0
Updated: 10 hours ago