মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’ এর ভাস্কর কে?
A
আবদুর রাজ্জাক
B
হামিদুজ্জামান খান
C
শামীম শিকদার
D
মৃণাল হক
উত্তরের বিবরণ
সংশপ্তক ভাস্কর্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করে নির্মিত একটি স্মারক। এটি মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় বাঙালিদের সাহস ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
-
ভাস্কর্যটির নাম ‘সংশপ্তক’।
-
এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বীরত্বগাথার স্মারক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
-
অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে।
-
ভাস্কর্যের ভিত্তি চার স্তরের লাল সিরামিক ইটের বেদি, যার ওপর ১৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপিত।
-
স্থাপন তারিখ: ২৬ মার্চ, ১৯৯০।
-
ভাস্কর্যের স্থপতি: হামিদুজ্জামান খান।
-
ভাস্কর্যে একটি বীরের মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যিনি যুদ্ধের সময়ে শত্রুর আঘাতে এক হাত ও এক পা হারিয়েও বন্দুক হাতে লড়াই চালিয়ে যান, পঙ্গুত্ববরণ করলেও নির্ভীক এবং বিজয়ের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে?
Created: 3 months ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
সংসদ সচিব
বাংলাদেশ একটি সংসদীয় শাসনব্যবস্থার দেশ, যেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির ভূমিকা
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
-
তিনি সংবিধান ও আইনের অধীনে নির্ধারিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধানের চতুর্থ ভাগে (অনুচ্ছেদ ৪৮ থেকে ৫৪ পর্যন্ত) রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব, ক্ষমতা ও নিয়মাবলি উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যক্রম ও ক্ষমতা
-
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে একটি প্রজাতন্ত্র, যার ফলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন দেশের নির্বাহী প্রধান। তবে বাস্তবে তিনি অলঙ্কারিক প্রধান, অর্থাৎ তাঁর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
প্রয়োজনে সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন এনে তাঁকে অপসারণ করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা
-
রাষ্ট্রপতি হতে হলে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে।
-
সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
-
তিনি যদি আগে কখনো রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত না হয়ে থাকেন, তাহলে এই পদে নির্বাচন করতে পারবেন।
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চলাকালীন তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব
-
সরকার পরিচালনার সব কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির নামে সম্পন্ন হয়।
-
তিনি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন।
-
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব নিরীক্ষক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
-
বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
-
তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
আইন ও সংসদ সংক্রান্ত দায়িত্ব
-
জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকেন।
-
সংসদে কোনো বিল পাস হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য তা তাঁর কাছে পাঠানো হয়।
-
প্রয়োজনে, বিশেষ করে সংসদ না থাকলে, রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে আইন করতে পারেন।
অন্যান্য দায়িত্ব ও সম্মানসূচক কাজ
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।
-
তিনি জাতির বিভিন্ন অবদানের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পদক ও খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেন।
-
রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া কেউ বিদেশি খেতাব গ্রহণ করতে পারে না।
-
রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শপথ বাক্য পাঠ করানোও তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 3 months ago
গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় কত তারিখ?
Created: 1 month ago
A
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
B
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
C
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
D
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া ১৯৭২ সালে সম্পন্ন হয়। সংবিধান প্রণয়ন থেকে কার্যকর হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাগুলো নিম্নরূপ:
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয় ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে।
-
কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন ১১ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধান স্পিকার কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয় ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
গণপরিষদের সদস্যগণ হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কখন প্রথম প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার গঠিত হয়?
Created: 3 months ago
A
১৯৭১
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৮০
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার
বাংলাদেশে প্রথম প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে।
-
১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে প্রথম সরকার গঠিত হয়, যেটি মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।
-
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই সরকারের রাষ্ট্রপতি, কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
-
এই সরকারের মন্ত্রিসভায় মোট ৮ জন সদস্য ছিলেন।
-
তাঁরা ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
-
এই সরকার যুদ্ধকালীন সময় দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেয় এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
১৯৭২ সালে সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা বাতিল করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন।
-
এরপর এপ্রিল ১৯৭২ সালে একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়, যারা ১৬ মার্চ ১৯৭৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
-
এই সময়কালে একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, যা ছিল বাঙালিদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে করা একটি ঐতিহাসিক কাজ।
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের বৈশিষ্ট্য
-
এই শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারপ্রধান হন।
-
রাষ্ট্রপতি-ই সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান ব্যক্তি এবং তিনি আইনসভার সদস্য নন।
-
তিনি আইনসভায় গৃহীত বিল বাতিল (ভেটো) করতে পারেন।
-
সাধারণত জনগণ সরাসরি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করে।
-
রাষ্ট্রপতি কেবল সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অপরাধ করলে তাকে অপসারণ (অভিশংসন) করা যায়।
-
এই সরকার ব্যবস্থায় আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ আলাদা থাকে।
-
সংবিধান সাধারণত লিখিত এবং পরিবর্তন কঠিন হয়।
-
মন্ত্রীরা রাষ্ট্রপতির অধীনে কাজ করেন এবং তাঁরা সংসদের কাছে দায়ী নন, বরং রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ থাকেন।
উৎস: এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় – পৌরনীতি ও নাগরিকতা
0
Updated: 3 months ago