বিজিএমইএ এর বর্তমান সভাপতি কে? (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
A
খন্দকার রফিকুল ইসলাম
B
রুবানা হক
C
ইনামুল হক খান
D
মাহমুদ হাসান খান
উত্তরের বিবরণ
বর্তমানে মাহমুদ হাসান খান বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত এবং ২০২৫–২০২৭ মেয়াদে বিজিএমইএ-এর নেতৃত্বে এসেছেন। (BSS)
বিজিএমইএ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বিজিএমইএ-এর পূর্ণরূপ হলো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
-
এটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম বৃহত্তম ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন।
-
সংগঠনটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিজিএমইএ সরকারের নীতি সমর্থন, সদস্যদের সেবা, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং কারখানায় সামাজিক সম্মতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
-
বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ব্র্যান্ড ও উন্নয়ন অংশীদারসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে।
-
বর্তমানে বিজিএমইএ-এর নিবন্ধিত পোশাক কারখানার সংখ্যা প্রায় চার হাজার।

0
Updated: 10 hours ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ‘ANNIHILATE THESE DEMONS’ শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
Created: 1 week ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 1 week ago
বাংলায় স্বাধীন নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 6 days ago
A
আলীবর্দী খান
B
সিরাজ-উদ-দৌলা
C
মুর্শিদকুলী খান
D
সুজাউদ্দিন খান
বাংলায় নবাবী শাসনের সূচনা মুর্শিদকুলী খানের মাধ্যমে হয় এবং তিনি বঙ্গের নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
বাংলায় নবাবী শাসন:
-
মুর্শিদকুলী খান ছিলেন মুঘল সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার শেষ সুবাদা।
-
সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরে দিল্লির দুর্বল শাসনের কারণে বাংলার সুবাদারগণ প্রায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে শুরু করেন।
-
মোগল আমলের এই সময়কালকে নবাবী আমল বলা হয়।
-
নবাবদের শাসনকাল প্রায় ৫০ বছর, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
-
নবাবী শাসনের সূচনাকারী ছিলেন নবাব মুর্শিদকুলী খান।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
-
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম শাসক।
-
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ (১৩৩৮-১৩৪৯) ছিলেন বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
Created: 6 days ago
A
বিজয়সেন
B
বল্লালসেন
C
লক্ষ্মণসেন
D
জয়দেব সেন
সেন রাজা বল্লালসেন একজন সুপণ্ডিত রাজা ছিলেন এবং তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামক দুটি বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেন।
বল্লাল সেন:
-
বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু এবং সংস্কারের কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন।
-
গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
-
কথিত আছে যে, তিনি তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
-
বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা।
-
তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন।
-
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।
-
পিতার ন্যায় তিনি শৈব ধর্মের অনুগামী ছিলেন।
-
ধর্মপ্রচারে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
-
তিনি তার পিতার অন্যান্য উপাধির সঙ্গে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
আনুমানিক ১৮ বছর রাজত্ব করার পর বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার হস্তান্তর করেন এবং সস্ত্রীক ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গাতীরে বাণপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago