ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ পর্বে রচিত বাংলা বইগুলো-
A
সংস্কৃত বইয়ের অনুবাদ
B
ফারসি বইয়ের অনুবাদ
C
ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ
D
পণ্ডিতদের রচিত মৌলিক গ্রন্থ
উত্তরের বিবরণ
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ পর্বে বাংলা গদ্যের ভিত্তি মূলত সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ বা সংস্কৃত সাহিত্যের প্রভাবে স্থাপিত হয়েছে। এই সময়ের বাংলা বইগুলো কলেজের ইংরেজ কর্মচারীদের শিক্ষার জন্য রচিত হয়েছিল,
যাতে সংস্কৃতের গাম্ভীর্য এবং সাধু ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। উইলিয়াম কেরির নেতৃত্বে দেশীয় পণ্ডিতরা (যেমন, রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, গোলকনাথ শর্মা) এই কাজ সম্পন্ন করেন।
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮০০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়, ২৪শে নভেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু।
• ১৮০১ সালে বাংলা বিভাগ প্রবর্তিত হয়, অধ্যক্ষ ছিলেন উইলিয়াম কেরি, যিনি পণ্ডিত ও সহকারী পণ্ডিতদের সহযোগিতায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করান।
• এই সময়কালে বাংলা গদ্যপুস্তকগুলো মূলত সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ বা সংস্কৃত প্রভাবিত।
• উদাহরণস্বরূপ:
-
হিতোপদেশ (গোলকনাথ শর্মা, ১৮০২; মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০৮) – সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ।
-
বত্রিশ সিংহাসন (মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০২) – সংস্কৃত কথাসাহিত্যের অনুবাদ।
-
রাজাবলি (মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, ১৮০৮) – সংস্কৃত ইতিহাসের অনুবাদ।
-
রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (রামরাম বসু, ১৮০১) – প্রথম মুদ্রিত বাংলা জীবনচরিত্র, সংস্কৃত শৈলীতে রচিত।
• কিছু গ্রন্থে পণ্ডিতদের নিজস্ব শৈলী প্রকাশ পেয়েছে (যেমন, কথোপকথন বা লিপিমালা), তবে অধিকাংশই অনুবাদভিত্তিক।
• অন্যান্য বিকল্প: -
ফারসি বা ইংরেজি গ্রন্থের অনুবাদ এই পর্বে প্রধান ছিল না।
-
সম্পূর্ণ মৌলিক গ্রন্থের উদাহরণ কম; সংস্কৃত প্রভাব প্রাধান্য পায়।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের ১৮০১–১৮১৫ সালের মধ্যে ৮ জন লেখক ১৩টি বাংলা গদ্যপুস্তক রচনা করেছেন:
• কেরি – কথোপকথন (১৮০১)
• রামরাম বসু – ইতিহাসমালা (১৮১২), রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০১), লিপিমালা (১৮০২)
• গোলোকনাথ শর্মা – হিতোপদেশ (১৮০২)
• মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার – বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), হিতোপদেশ (১৮০৮), রাজাবলি (১৮০৮), প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩)
• তারিণীচরণ মিত্র – ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট (১৮০৩)
• রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় – মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং (১৮০৫)
• চণ্ডীচরণ মুর্শী – তোতা ইতিহাস (১৮০৫)
• হরপ্রসাদ রায় – পুরুষ পরীক্ষা (১৮১৫)
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগোষ্ঠীর প্রচেষ্টায় বাংলা গদ্য সংস্কৃতীভূত হয়েছে, দৈনন্দিন কথ্য ভাষা সংস্কৃত প্রভাবিত শব্দসম্ভারে সমৃদ্ধ হয়ে এবং কৃত্রিম গাম্ভীর্যযুক্ত রূপ নেয়।
0
Updated: 1 month ago
চন্ডীচরণ মুন্সী কে?
Created: 1 week ago
A
শ্রীরামপুর মিশনের লিপিকর
B
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত
C
কেরী সাহেবের মুন্সী গ্রন্থের রচয়িতা
D
সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকার সম্পাদক
চণ্ডীচরণ মুনশী ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন গুরুত্বপূর্ণ বাঙ্গালি লেখক এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা ভাষার অন্যতম অধ্যাপক। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর লেখা একটি প্রখ্যাত উপাখ্যান হল 'তোতা ইতিহাস', যা ১৮০৫ সালে প্রকাশিত হয়। এটি মূলত ফরাসি সাহিত্য থেকে অনুবাদ করা হয়েছিল এবং বাংলা গদ্য সাহিত্যের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে, 'কেরী সাহেবের মুন্সী' উপন্যাসটি রচনা করেন প্রমথনাথ বিশী। তবে, রামরাম বসুকে "কেরী সাহেবের মুন্সী" বলা হয়, কারণ তিনি উইলিয়াম কেরীকে বাংলা ভাষা শেখান। এছাড়া, 'সমাচার চন্দ্রিকা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
0
Updated: 1 week ago
'ইতিহাসমালা ও কথোপকথন' - নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
রামমোহন রায়
B
উইলিয়াম কেরি
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
চণ্ডীচরণ মুন্শী
উইলিয়াম কেরি একজন ইংরেজ মিশনারি, যিনি বাংলা গদ্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ—
-
তিনি ইতিহাসমালা এবং কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
ইতিহাসমালা বাংলা ভাষার প্রথম গল্পসংগ্রহ হিসেবে পরিচিত।
-
১৮১০ সালে দরিদ্র কৃষকদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত ছিলেন না?
Created: 3 weeks ago
A
তারিণীচরণ মিত্র
B
চন্ডীচরণ মুনশি
C
রাজিব লোচন শর্মা
D
হরপ্রসাদ রায়
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সঙ্গে যুক্ত পণ্ডিতদের মধ্যে রাজিব লোচন শর্মা ছিলেন না। এই কলেজে যেসব পণ্ডিত কাজ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
মুনশী তারিণীচরণ মিত্র
-
চন্ডীচরণ মুনশী
-
রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়
-
হরপ্রসাদ রায়
0
Updated: 3 weeks ago