পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে 'স্মরণ' শব্দের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে?
A
স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়
B
ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়
C
ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়
D
শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘স্মরণ’ (বিশেষ্য পদ) শব্দের প্রমিত উচ্চারণ হলো শঁরোন্।
-
পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে পরিবর্তন: ঢাকাইয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ইত্যাদি অঞ্চলে শব্দের শুরুতে “স্ম” ধ্বনিতে ‘স’ প্রায়শই ‘শ’ ধ্বনিতে রূপ নেয়, তাই ‘স্মরণ’ উচ্চারণ হয় শঁরোন।
-
অর্থাৎ, পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে স-এর উচ্চারণ শ হয়ে যায়।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
খ) ণ-এর উচ্চারণ ন হয়ে যায়: লিখিত রূপে ‘ণ’ থাকলেও উচ্চারণে এটি দন্ত্য ‘ন’ এর সঙ্গে অভিন্ন। ‘স্মরণ’ শব্দে ণ-এর উচ্চারণে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
-
গ) ম-ফলার উচ্চারণ ম হয়ে যায়: ‘স্মরণ’ শব্দে ম-ফলার কোনো প্রভাব নেই; এটি একটি স্বাধীন ব্যঞ্জনবর্ণ।
-
ঘ) শুরুতে নাসিক্য উচ্চারণ হয় না: শব্দের শুরুতে নাসিক্য ধ্বনি (ঁ) থাকে, এবং পূর্ববঙ্গীয় উচ্চারণে এটি সাধারণত বজায় থাকে।

0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
Created: 2 months ago
A
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B
২৬ মার্চ, ১৯৭১
C
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D
পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত
- যতিচিহ্নের অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে ‘ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২’ বাক্যে।
• বাক্যটির শুদ্ধরূপ হবে- ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
------------------------
• যতিচিহ্ন:
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।
• কমা:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। কমা পূর্ণযতি নয়, তাই কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা চিহ্নের বাংলা নাম পাদচ্ছেদ।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
• সম্বোধন পদের পরে সাধারণত কমা বসে।
যেমন:
- স্যার, আমাকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেবেন?
- রব, এদিকে এসো।
• বাক্যে একাধিক বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ পদের বিবৃতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
- জনি বুদ্ধিমান, সাহসী ও জ্ঞানী।
- মীম, সানি, হারুন ও রব কক্সবাজার গিয়েছে।
• তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
‘লঙ্কাবাটা” এর সঠিক ব্যাস বাক্য কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
লঙ্কা ও বাটা
B
যা লঙ্কা তাই, বাটা
C
লঙ্কার বাটা
D
বাটা যে লঙ্কা
লঙ্কাবাটা = বাটা যে লঙ্কা। কর্মধারয় সমাস।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
Created: 1 month ago
A
প্রাতিপদিক
B
অভিশ্রুতি
C
অপিনিহিতি
D
ধ্বনি-বিপর্যয়
• 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ নয়।
প্রাতিপদিক:
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন: মুখ, পা, বই ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
উচ্চারণের সুবিধার জন্য ধ্বনি পরিবর্তন করা হয়। স্বরসঙ্গতি, অপনিহিতি এবং ব্যঞ্জন বিকৃতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ।
• স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
যেমন:
- দেশি > দিশি,
- বিলাতি > বিলিতি,
- শিকা > শিকে,
- মুলা > মুলো ইত্যাদি।
• অপিনিহিতি:
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন:
- আজি > আইজ,
- সাধু > সাউধ,
- মারি > মাইর ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধােবা > ধােপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago