অভিধানে ং, ঃ, ঁ, - এই বর্ণগুলোর অবস্থান কোথায়?
A
স্বরবর্ণের আগে
B
স্বরবর্ণের শেষে
C
ব্যঞ্জনবর্ণের শেষে
D
এদের নির্দিষ্ট অবস্থান নেই
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি অভিধানে বর্ণগুলোর বিন্যাস বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে, যা বাংলা ভাষার ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য এবং ব্যাকরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিন্যাসে হসযুক্ত ব্যঞ্জন, যুক্তব্যঞ্জন, অনুস্বার, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দু এবং কিছু ব্যঞ্জনের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত।
• ড় এবং ঢ় - ড়কে ড-এর পরে, ঢ়-কে ঢ-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• হসযুক্ত ব্যঞ্জন - হসযুক্ত ব্যঞ্জনকে তার অব্যবহিত পরবর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্তব্যঞ্জনরূপে বিবেচনা করা হয়।
• ৎ (= ত্) - স্বরযুক্ত ত-এর পরে এবং ত-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যঞ্জনের অব্যবহিত পূর্বে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
• অন্যান্য হসযুক্ত ব্যঞ্জন - একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
• য় - য-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• অনুস্বার (ং), বিসর্গ (ঃ) ও চন্দ্রবিন্দু (ঁ) - স্বরবর্ণের পরে এবং ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে বিন্যাস করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 1 week ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 1 week ago
'আ' উচ্চারণের সময়ে ঠোঁটের উন্মুক্তি কেমন?
Created: 1 month ago
A
অর্ধ-সংবৃত
B
বিবৃত
C
অর্ধ-বিবৃত
D
সংবৃত
বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে।
উদাহরণ: [ই], [উ] -
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [এ], [ও] -
অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [অ্যা], [অ] -
বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে।
উদাহরণ: [আ]
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সময়ে কাজে না লাগালে অসময়ে পথে ফেরানো কঠিন’ –এই অর্থের সাথে প্রযোজ্য প্রবচন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নির্গুণ পুরুষের ভোজন সার, করেন সদাই মার মার
B
উঠন্তি মূলো পত্তনেই চেনা যায়
C
নদী, নারী, শৃঙ্গধারী- এ তিনে না বিশ্বাস করি
D
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাস ঠাস। ভাবার্থ: অল্প বয়সে সৌজন্য না শেখালে বয়সকালে মানুষ উদ্ধত আচরণ করে।
0
Updated: 1 month ago