অভিধানে ং, ঃ, ঁ, - এই বর্ণগুলোর অবস্থান কোথায়?
A
স্বরবর্ণের আগে
B
স্বরবর্ণের শেষে
C
ব্যঞ্জনবর্ণের শেষে
D
এদের নির্দিষ্ট অবস্থান নেই
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি অভিধানে বর্ণগুলোর বিন্যাস বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে, যা বাংলা ভাষার ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য এবং ব্যাকরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিন্যাসে হসযুক্ত ব্যঞ্জন, যুক্তব্যঞ্জন, অনুস্বার, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দু এবং কিছু ব্যঞ্জনের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত।
• ড় এবং ঢ় - ড়কে ড-এর পরে, ঢ়-কে ঢ-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• হসযুক্ত ব্যঞ্জন - হসযুক্ত ব্যঞ্জনকে তার অব্যবহিত পরবর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্তব্যঞ্জনরূপে বিবেচনা করা হয়।
• ৎ (= ত্) - স্বরযুক্ত ত-এর পরে এবং ত-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যঞ্জনের অব্যবহিত পূর্বে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
• অন্যান্য হসযুক্ত ব্যঞ্জন - একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
• য় - য-এর পরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
• অনুস্বার (ং), বিসর্গ (ঃ) ও চন্দ্রবিন্দু (ঁ) - স্বরবর্ণের পরে এবং ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে বিন্যাস করা হয়েছে।

0
Updated: 11 hours ago
ঢাকার 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ'-এর প্রতিষ্ঠা কোন খ্রিস্টাব্দে?
Created: 2 months ago
A
১৯২৬
B
১৯১১
C
১৮৬৪
D
১৯০৫
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ:
- মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মুসলিম সাহিত্য-সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম আবদুল হক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির প্রমুখের ওপর। তারাই ছিলেন প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
- নেপথ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ ও যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
এছাড়াও-
- মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপাত্র শিখা পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবুল হোসেন।
- এই পত্রিকার স্লোগান ছিলো - 'জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন নয়?
Created: 3 weeks ago
A
দাঁড়ি
B
কোলন
C
প্রশ্ন চিহ্ন
D
বিস্ময় চিহ্ন
প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন ৪টি। যেমন: ১/দাঁড়ি /পূর্ণচ্ছেদ ২/প্রশ্নবোধক চিহ্ন ৩/বিস্ময় /সম্বোধন চিহ্ন ৪/ ডাবল দাঁড়ি / পূর্ণচ্ছেদ।

0
Updated: 3 weeks ago
'উৎকর্ষতা' কি কারণে অশুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
সন্ধিজনিত
B
প্রত্যয়জনিত
C
উপসর্গজনিত
D
বিভক্তিজনিত
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• উৎকর্ষ এটি বিশেষ্য পদ,
- (উৎ + √কৃষ্ + অ) প্রত্যয় সাধিত শব্দ।
• আর এর সাথে 'তা’ (বিশেষ্য) প্রত্যয় যুক্ত করলে ‘উৎকর্ষতা’ হয় যা বিশেষ্যের দ্বিত্ব প্রয়োগ। অর্থাৎ ‘উৎকর্ষতা’ শব্দে তা-প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
• ‘উৎকর্ষতা’ শব্দের এর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'উৎকর্ষ বা উৎকৃষ্টতা'।
• নিয়ম:
‘তা’ ‘ত্ব’ এবং ‘য’ হলো বিশেষ্যবাচক প্রত্যয়। যা কেবল বিশেষণ শব্দকে বিশেষ্য করে। তাই বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে আবারো ‘তা’ ‘ত্ব’ বা য যুক্ত করলে তা ভুল হবে। যেমন: কৃপণ বিশেষণ শব্দের সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে কৃপণতা হয়েছে।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান ও ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 months ago