১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল-
A
বানানকে উচ্চারণের কাছাকাছি নেওয়া
B
বানানের ঐতিহ্যকে বজায় রাখা
C
বানানের নিয়ম প্রণয়ন করা
D
বানানে বিকল্প বর্জন করা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বানানের ইতিহাস ও নিয়ম প্রণয়নের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হলেও এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং অবদান রয়েছে। ১৯৩০-এর দশক থেকে বাংলা বানানে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রয়াস নেওয়া হয়।
-
উনিশ শতকের গোড়া থেকে বাংলা গদ্যরচনায় বানানের মধ্যে নানা বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সমস্যা অনুধাবন করে ১৯৩৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বানান-রীতি প্রণয়নের জন্য অনুরোধ করেন।
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানান।
-
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ‘কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বানান সংস্কার সমিতি’ গঠন করে এবং ১৯৩৬ সালের ৮ মে প্রথমবারের মতো বাংলা বানানের নিয়ম প্রকাশ করে।
-
সমিতি প্রায় দুইশ লেখক ও অধ্যাপকের মতামত আলোচনা করে বানানের নিয়ম সংকলন করেছিল।
-
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বানান সংস্কার সমিতি বাংলা বানানের নিয়ম প্রবর্তন করেছিল পঁয়ষট্টি বছর আগে। এরপর থেকে প্রচুর বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বানানে পরিবর্তন এসেছে।
-
যদিও মূল কাঠামো স্বীকার করা হয়, বিভিন্ন সংস্থা পরবর্তীতে অনেক পরিবর্তন আনে এবং কিছু পরিবর্তন ভাষায় স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ হয়ে যায়।
-
বাংলা একাডেমি ১৯৯২ সালের এপ্রিল মাসে এই নিয়ম প্রণয়নে উদ্যোগী হয়।

0
Updated: 11 hours ago
কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট?
Created: 1 week ago
A
চলতি ভাষা
B
কথ্যভাষা
C
লেখ্যভাষা
D
সাধুভাষা
সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত। সাধু ভাষা অনেকটা ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি যৌগিক কালের উদাহরণ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
করছিলাম
B
করেছি
C
করছি
D
করব
যৌগিক কালের উদাহরণ নয়: করব
যৌগিক কাল হল সেই ধরণের ক্রিয়ার কাল, যা একাধিক ধাতুর সমন্বয়ে গঠিত।
-
যৌগিক কালের ক্রিয়া গঠনের জন্য মূল ধাতুর সাথে ‘ইয়া’ বা ‘ইতে’ প্রত্যয় যোগ করা হয় এবং সহায়ক ধাতু যেমন ‘√আছ্’, ‘√থাক্’ প্রয়োগ করা হয়।
-
বাংলায় ঘটমান এবং পুরাঘটিত কালগুলো যৌগিক কালের উদাহরণ। অর্থাৎ,
-
পুরাঘটিত বর্তমান
-
ঘটমান বর্তমান
-
পুরাঘটিত অতীত
-
ঘটমান অতীত
-
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
-
ঘটমান ভবিষ্যৎ
-
উদাহরণ
-
করছিলাম → ঘটমান অতীত (যৌগিক)
-
করছি → ঘটমান বর্তমান (যৌগিক)
-
করেছি → পুরাঘটিত অতীত (যৌগিক)
-
করব → সাধারণ ভবিষ্যৎ (সরল কাল, যৌগিক নয়)
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 weeks ago
‘মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়’- কে রচনা করেন এই কাব্যাংশ?
Created: 1 week ago
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
প্রেমেন্দ্র মিত্র
C
সমর সেন
D
জীবনানন্দ দাশ
‘মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়’ এই কবিতাংশটির রচয়িতা হলেন জীবনানন্দ দাশ। এটি তাঁর গ্রন্থ ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৫৪)-এ সংকলিত হয়েছে। কবিতায় মানুষের মৃত্যু হলেও তার মানবিক চেতনা ও প্রভাব অদৃশ্য হয় না, অতীতের জীবনের অভিজ্ঞতা আজকের মানুষের কাছে প্রেরণা এবং চেতনার পরিমাপ হিসেবে আসে।কবিতায় জীবনের ভিড়ের অতীতের ক্ষয়, মৃত্যুর পর অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া বিষয়গুলো সংক্ষেপে ।
জীবনানন্দ দাশ
-
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক যুগের এবং ত্রিশের দশকের অন্যতম কবি।
-
তিনি ১৮৯৯ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে।
-
পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক এবং ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
-
মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে “চিত্ররূপময়” কবিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
জীবনানন্দ দাশকে বলা হয়ে থাকে - ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি।
জীবনানন্দ দাশের রচিত উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সতীর্থ
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা

0
Updated: 1 week ago