'ঐক্যমত' শব্দটি কোন বিবেচনায় অশুদ্ধ নয়?
A
মতের ঐক্য - এভাবে সমাসসাধিত ধরলে
B
একমত+য - এভাবে প্রত্যয়সাধিত ধরলে
C
ঐক্য+মত - এভাবে উপসর্গসাধিত ধরলে
D
ঐক্যমত শব্দটিকে পারিভাষিক শব্দ ধরলে
উত্তরের বিবরণ
‘ঐক্যমত’ শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি সমাসসাধিত শব্দ, যা মূলত ‘মতের ঐক্য’ থেকে গঠিত। এটি একটি তৎপুরুষ সমাস, যেখানে ‘মত’ (বিশেষ্য) এবং ‘ঐক্য’ (বিশেষ্য) একত্রিত হয়ে একই মতামত বা মতৈক্য বোঝায়।
বাংলা ব্যাকরণে সমাসের মাধ্যমে এমন শব্দ গঠন সঠিক এবং প্রচলিত। তাই, ‘ঐক্যমত’ শব্দটি সমাসসাধিত হিসেবে বিবেচিত হলে এটি অশুদ্ধ নয়।
-
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
-
সমাসের ধরন: তৎপুরুষ সমাস
-
মূল ভাব: একই মতামত বা মতৈক্য
-
গঠনের উপাদান: ‘মত’ + ‘ঐক্য’
0
Updated: 1 month ago
প্রাপক বয়সে বড় হলে প্রেরক স্বাক্ষরের আগে কোন শব্দটি ব্যবহার করবে?
Created: 1 month ago
A
প্রীতিমুগ্ধ
B
আশীর্বাদক
C
শুভাকাঙ্ক্ষী
D
স্নেহভাজন
প্রাপক বয়সে বড় হলে প্রেরক স্বাক্ষরের আগে শিষ্টাচার জ্ঞাপক শব্দ ব্যবহার করেন। যেমন:স্নেহের, স্নেহাস্পদ, স্নেহভাজন ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 2 months ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বেগম রােকেয়া
B
কাদম্বরী দেবী
C
স্বর্ণকুমারী দেবী
D
নূরুন্নাহার ফয়জুন্নেসা
স্বর্ণকুমারী দেবী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত। তিনি কলকাতার জোড়াসাঁকোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সম্পর্কগতভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন। ১৮৭২ সালে তিনি ভারতী পত্রিকা সম্পাদনা করেন, যা সাহিত্য জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
দীপ নির্বাণ
-
মেবার রাজ
-
মালতী
-
বিদ্রোহ
-
বিচিত্রা
-
স্বপ্নবাণী
-
মিলনরাত্রি
বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনার জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন।
0
Updated: 1 month ago