বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে কোন জেলায় সমাহিত করা হয়?
A
খুলনা
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
রাজশাহী
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ছিলেন একজন সাহসী নৌসেনা যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ত্যাগ ও বলিদান প্রদর্শন করেন। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য এবং বাংলাদেশের নৌ বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে, এবং তাঁর জন্মস্থান বাঘচাপড়া, নোয়াখালী।
-
১৯৫৩ সালে তিনি নৌ বাহিনীতে জুনিয়ার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ২নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
-
সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের জন্য সকল সেক্টর থেকে প্রাক্তন নৌসেনাদের আগরতলায় আনা হয় এবং নৌ বাহিনীর প্রাথমিক কাঠামো গঠন করা হয়।
-
ভারত সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দুটি টাগবোট উপহার দেয়, যা কোলকাতার গার্ডেনরীচ নৌ ওয়ার্কশপে বাফার গান ও মাইন পড লাগিয়ে গানবোটে রূপান্তরিত করা হয়।
-
গানবোট দুটির নামকরণ করা হয় 'পদ্মা' ও 'পলাশ'।
-
মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে 'পলাশের' ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
-
তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে।

0
Updated: 11 hours ago
বীরশ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্তদের সংখ্যা কত?
Created: 4 months ago
A
সাত
B
আট
C
ছয়
D
পাঁচ
• বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ জনকে সর্বোচ্চ সামরিক পদবী 'বীরশ্রেষ্ঠ' প্রদান করা হয়।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন -
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন,
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্য কয়জনকে সর্বোচ্চ সম্মান 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাব দেয়া হয়?
Created: 2 months ago
A
৯ জন
B
৭ জন
C
৮ জন
D
১০ জন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি শ্রেণিতে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এই খেতাব প্রদান করেন।
চারটি বীরত্বসূচক খেতাব ছিল নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ খেতাব) – ৭ জন
-
বীর উত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব) – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম (তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব) – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক (চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব) – ৪২৬ জন
মোট সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল: ৬৭৬ জন
খেতাব বাতিল ও হালনাগাদ তথ্য
২০২১ সালের ৬ জুন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির খেতাব বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে মোট খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৭২ জনে।
হালনাগাদ খেতাবধারীদের পরিসংখ্যান:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন (অপরিবর্তিত)
-
বীর উত্তম – ৬৭ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৪ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৪ জন
তথ্যসূত্র:
-
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ই.পি.আর. সদস্য ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
সিপাহী মোস্তফা কামাল ও মতিউর রহমান
B
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ
C
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও হামিদুর রহমান
D
রুহুল আমিন ও মোস্তফা কামাল
-
মুন্সি আব্দুর রউফ ও নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (EPR)-এর সদস্য।
-
১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
-
এদের মধ্যে: সেনাবাহিনীর তিনজন, সাবেক ই.পিআর-এর দুইজন এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর একজন করে।
বীরশ্রেষ্ঠরা:
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল: সেনাবাহিনী
-
সিপাহী হামিদুর রহমান: সেনাবাহিনী
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন: নৌবাহিনী
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: বিমান বাহিনী
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ই.পিআর
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ: ই.পিআর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 weeks ago