লুসাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মৃত আত্মাদের স্মরণে কোন ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়?
A
চাপচারকূত
B
মীমতূত
C
পলকূত
D
তিলতূত
উত্তরের বিবরণ
লুসাই একটি নৃ-গোষ্ঠী যাদের উৎস বার্মা হিসেবে মনে করা হয়। তারা নিজেদের মঙ্গোলীয় বংশধর হিসেবে পরিচয় দেয় এবং বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় ও ভারতের মিজোরামে বসবাস করে। বর্তমানে লুসাই জনগোষ্ঠীর সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি তারা বছরে তিনটি প্রধান উৎসব পালন করে।
-
লুসাই নৃ-গোষ্ঠীর উৎপত্তি বার্মা থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
-
নিজেদেরকে মঙ্গোলীয় বংশধর হিসেবে পরিচয় দেয়।
-
বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় এবং ভারতের মিজোরামে লুসাইদের বসবাস রয়েছে।
-
বর্তমান লুসাই জনগোষ্ঠীর সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও বছরে তিনটি প্রধান উৎসব পালন করে:
-
চাপচারকূত – বসন্ত উৎসব
-
মীমতূত – মৃত আত্মাদের স্মরণে উৎসব
-
পলকূত – শস্য কাটার উৎসব
-
0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ত্রিপুরা
B
মারমা
C
চাকমা
D
গারো
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ও তাদের ভৌগোলিক বিস্তার দেশের নৃ-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এদের ঘনত্ব বেশি এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ধারা বজায় রাখে।
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো চাকমা, দ্বিতীয় অবস্থানে মারমা, এবং তৃতীয় অবস্থানে ত্রিপুরা।
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাঙামাটিতে বসবাস করে; জেলার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে খাগড়াছড়ি।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
ডোগরা
B
চাক
C
ডালু
D
কোচ
ডোগরা ও অন্যান্য নৃগোষ্ঠী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
ডোগরা:
-
ইন্দো-আর্য নৃগোষ্ঠী।
-
প্রধান বসবাস: ভারতের জম্মু, হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব।
-
বাংলাদেশে নেই।
-
-
চাক:
-
বাংলাদেশের একটি উপজাতি।
-
প্রধান বসবাস: বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য।
-
ভাষা: চাক ভাষা।
-
‘চক’ শব্দের অর্থ: ‘দাঁড়ানো’।
-
-
ডালু:
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
স্থান: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি।
-
তাদের ভাষা সম্পর্কিত অনেকের মতে মণিপুরি।
-
-
কোচ:
-
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের প্রাচীন নৃগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে বসবাস: ময়মনসিংহ জেলা (শেরপুর: ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবর্দী) ও আশেপাশের এলাকায়।
-
উপসংহার:
-
ডোগরা বাংলাদেশে নেই, বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে বসবাসরত মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী-
Created: 1 month ago
A
মারমা
B
সাঁওতাল
C
খাসিয়া
D
ওঁরাও
খাসিয়া হলো বাংলাদেশের একটি মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী, যারা গারোদের মতোই মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। তাদের নিজস্ব সামাজিক ব্যবস্থা, বসতি ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠী মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা অনুসরণ করে।
-
এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
শারীরিক বৈশিষ্ট্যে: গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চ্যাপ্টা, চোয়াল উঁচু, চোখ কালো ও ছোট টানা, খর্বকায়।
-
প্রায় পাঁচ শত বছর আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে এরা স্থানান্তরিত হয়।
-
খাসিয়াদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলা হয়।
-
পুঞ্জিপ্রধানকে ‘সিয়েম’ বলা হয়।
-
বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার অঞ্চলে এদের বসতি।
-
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশেও এরা বসবাস করে।
-
বর্তমানে শতকরা ৮০–৯০ ভাগ খাসিয়া খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago