জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
A
বালুচর
B
রাখালী
C
ধানক্ষেত
D
মা যে জননী কান্দে
উত্তরের বিবরণ
কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা, ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে নিচে সংক্ষেপে রিরাইট করা হলো। সব তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কবর’ কবিতা জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর অন্তর্গত। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত এবং এতে মোট ১১৮টি পঙ্ক্তি রয়েছে।
সহজ ও সরল ভাষায় রচিত এই কাহিনীধর্মী কবিতায় এক গ্রামীণ বৃদ্ধ তার জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আপনজনদের হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে মৃত্যুর জন্য যে অপেক্ষা করছেন, কবি তা গভীর সহানুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
-
কবর কবিতার সংক্ষিপ্তাংশ
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ
-
জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
প্রথম কবিতা হলো ‘রাখালী’।
-
তাঁর বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতাও এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
জসীম উদ্দীন
-
তিনি ছিলেন কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনীকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক।
-
জন্ম ১৯০০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
-
তাঁর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতি-কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
-
‘বোবা কাহিনী’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
হাসু
-
মাটির কান্না
-
এক পয়সার বাঁশী
-
সবিনা
-
মা যে জননী কান্দে
-
পদ্মা নদীর দেশে ইত্যাদি
রচিত নাটক
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
পাল্লীবধূ ইত্যাদি
রচিত আত্মকথা
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
-
জীবনকথা ইত্যাদি
রচিত ভ্রমণকাহিনি
-
চাল মুসাফির
-
হলদে পরির দেশে
-
যে দেশে মানুষ বড় ইত্যাদি

0
Updated: 11 hours ago
'কালের কলস' কোন ধরনের রচনা?
Created: 3 days ago
A
উপন্যাস
B
কাব্যগ্রন্থ
C
প্রবন্ধ
D
নাটক
আল মাহমুদ
-
জন্ম: ১৯৩৬ সালে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মীর আবদুল শুকুর আল মাহমুদ।
-
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সোনালি কাবিন।
-
মৃত্যু: ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে, বয়স ৮২ বছর।
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
লোক লোকান্তর
-
কালের কলস
-
সোনালি কাবিন
-
বখতিয়ারের ঘোড়া
-
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
-
পাখির কাছে ফুলের কাছে
-
প্রেমের কবিতা

0
Updated: 3 days ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 3 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য-
Created: 4 months ago
A
ইউসুফ জুলেখা
B
রসুল বিজয়
C
নূরনামা
D
শবে মেরাজ
• মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য ইউসুফ জোলেখা।
- এটি রচনা করেন শাহ মুহম্মদ সগীর।
• ইউসুফ-জোলেখা কাব্য:
• ইউসুফ-জোলেখা’ শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
• গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এ কাব্যর রচনা হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।
• বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। ইরানের কবি ফেরদৌসিও এই নামে কাব্য রচনা করেছেন। সগীর বাইবেল পড়েন নি। তিনি কোরান ও ফেরদৌসির কাছে থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
• পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। যেমন- ইউসুফ জোলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তকে এই কাব্য শাহ মুহাম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়িা।

0
Updated: 4 months ago