কত সালে 'ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন' জাতীয় সংসদে পাস হয়?
A
২০১৬ সালে
B
২০১৭ সালে
C
২০১৮ সালে
D
২০১৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বাংলাদেশের কর্মীদের কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। এই আইনের মাধ্যমে বোর্ডকে একটি স্বতন্ত্র ও আইনগত স্বীকৃত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যা প্রবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক সেবা প্রদান করে।
-
বাংলাদেশি কর্মীদের কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণীত হয়েছে।
-
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে একটি স্বতন্ত্র ও আইনগত স্বীকৃত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
-
বোর্ড প্রবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক সেবা প্রদান করে।
-
'ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন' ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস করা হয়।
-
আইনটি বোর্ডের গঠন, দায়িত্ব ও কার্যক্রম নির্ধারণ করে, যার মধ্যে রয়েছে সদস্য সংখ্যা, নিয়োগ পদ্ধতি ও দায়িত্ব।
-
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডের গঠন, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যয়ের দিকনির্দেশনা আইন দ্বারা নির্ধারিত।
-
বোর্ডকে প্রবাসী কর্মীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি ও জরুরি সহায়তা প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কতো কক্ষবিশিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
দুই কক্ষবিশিষ্ট
B
তিন কক্ষবিশিষ্ট
C
এক কক্ষবিশিষ্ট
D
চার কক্ষবিশিষ্ট
বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ)
-
সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে আইনসভা অন্যতম।
-
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ, যা এককক্ষবিশিষ্ট।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
-
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।
-
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন করে সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
-
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
তবে মহিলা সদস্যরা চাইলে ৩০০ আসনের যে কোনো সাধারণ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
-
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন।
-
তাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
-
সংসদের কার্যকাল ৫ বছর।
-
তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
-
অধিবেশন সংক্রান্ত নিয়ম:
-
একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
-
কোরাম: মোট সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন উপস্থিত থাকলে অধিবেশন পরিচালনা সম্ভব।
-
-
নেতৃত্ব ও বিরোধী দল:
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা।
-
নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে আসা দলের প্রধান সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কয় কক্ষ বিশিষ্ট্য?
Created: 1 week ago
A
এক কক্ষ
B
দুই কক্ষ
C
তিন কক্ষ
D
বহু কক্ষ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ একটি এককক্ষ বিশিষ্ট (Unicameral) সংসদ ব্যবস্থা। অর্থাৎ, এখানে আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মাত্র একটি কক্ষ বা সংসদীয় চেম্বার রয়েছে, যেখানে সব সংসদ সদস্য একত্রে বসে আলোচনা, বিতর্ক ও ভোটের মাধ্যমে আইন পাস করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদই দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে যে, জাতীয় সংসদ একটি কক্ষ বিশিষ্ট হবে এবং এর নাম হবে “জাতীয় সংসদ”।
– সংসদ সদস্যদের নির্বাচন সরাসরি জনগণের ভোটে অনুষ্ঠিত হয়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম ভিত্তি।
– জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩০০টি সাধারণ আসন, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, এবং অতিরিক্ত ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যা সংসদে দলীয় অনুপাতে বণ্টন করা হয়।
– সংসদের প্রধান হচ্ছেন স্পিকার, যিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং সংসদের শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।
– সংসদের প্রধান দায়িত্ব হলো আইন প্রণয়ন, সরকারের কার্যক্রম তদারকি, বাজেট অনুমোদন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা।
– সংসদ সদস্যদের মেয়াদ পাঁচ বছর, তবে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
– বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার মডেল অনুসরণ করে, যেখানে সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দ্বারা পরিচালিত হয়।
– সংসদ ভবনটি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত, যার নকশা করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি লুই কান (Louis I. Kahn)।
– এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার সুবিধা হলো আইন প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন হয়, প্রশাসনিক জটিলতা কম থাকে এবং জনগণের সরাসরি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।
অন্যদিকে, কিছু দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত দুই কক্ষ বিশিষ্ট (Bicameral) সংসদ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে উচ্চকক্ষ (Upper House) ও নিম্নকক্ষ (Lower House)—দুটি পৃথক চেম্বারে আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেই।
তাই সঠিক উত্তর হলো — এক কক্ষ (Unicameral), যা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং গণতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ।
0
Updated: 1 week ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হতে হলে কতজন সংসদ সদস্যের উপস্থিত থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
মোট সংসদ সদস্যের ১/৫ ভাগ
B
মোট সংসদ সদস্যের ১/১০ ভাগ
C
মোট সংসদ সদস্যের ১/৩ ভাগ
D
মোট সংসদ সদস্যের অর্ধেক
কোরাম হলো জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের বৈঠক পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকতে হবে, যা মোট সংসদ সদস্যের প্রায় এক-পঞ্চম অংশের সমান।
জাতীয় সংসদের বৈঠক চলাকালীন যদি কোনো সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর কম হয় এবং সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করতে পারবেন যতক্ষণ না ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত হন।
কোরামের সাধারণ অর্থ হলো একটি বৈধ সভার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক ভোটদানের অধিকারী সদস্য বা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা, যা সংস্থার আইন ও নিয়ম অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত থাকে।
0
Updated: 1 month ago