বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনার কোন ভাগে সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখার ঘোষণা রয়েছে?
A
২য়
B
৩য়
C
৪র্থ
D
৫ম
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। এটি দেশের মূল আইন হিসেবে ১৫৩টি অনুচ্ছেদে বিভক্ত, ১১টি অধ্যায় এবং ৭টি তফসিল অন্তর্ভুক্ত করে। সংবিধানের মূলনীতি ৪টি এবং এতে ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত, যা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি নির্ধারণ করে।
-
সংবিধান গ্রহণের তারিখ: ৪ নভেম্বর, ১৯৭২
-
সংবিধান কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩
-
অধ্যায়: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
মূলনীতি: ৪টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
-
প্রস্তাবনার ভাগ: ৫টি
-
১ম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য়: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য়: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
-

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়?
Created: 2 months ago
A
২৫
B
২৮
C
৪০
D
৪২
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ ও এর গুরুত্ব
বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত, যেখানে দেশের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির সুরক্ষার জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ এটি রাষ্ট্রকে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার প্রদান করে।
২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের মূল প্রস্তাবনা:
-
২৮(১): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানকে ভিত্তি করে কোনো নাগরিকের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ রাষ্ট্র করবে না।
-
২৮(২): দেশের সমস্ত স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
-
২৮(৩): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের কারণে বিনোদন, বিশ্রাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার বা সুযোগে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যাবে না।
-
২৮(৪): নারী, শিশু ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের কোনও ধারা রাষ্ট্রকে বাধা দিতে পারবে না।
এছাড়াও সংবিধানে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেমন:
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৪০: পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা।
-
অনুচ্ছেদ ৪২: সম্পত্তি অধিকার সুরক্ষা।
উল্লেখ্য, ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রের কাছে একটি শক্তিশালী দায়িত্ব অর্পণ করেছে যাতে সমাজের সব শ্রেণিকে সমান সুযোগ ও ন্যায় নিশ্চিত করা যায়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 2 months ago
‘আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান' এ কথাটি সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?
Created: 2 days ago
A
২৭ নং অনুচ্ছেদ
B
১৯ নং অনুচ্ছেদ
C
২৯ নং অনুচ্ছেদ
D
২৮ নং অনুচ্ছেদ

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি কী রূপ?
Created: 1 month ago
A
অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
B
লিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
C
অলিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
D
লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি: লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়। এটি একটি বিস্তারিত লিখিত দলিল, যার মূল কাঠামো পরিবর্তন করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।
বাংলাদেশের সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি ৪টি।
-
সংবিধানে সহজে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
-
সংবিধানটি ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৪টি।
উল্লেখ্য: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি হলো লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান ও পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago