বাংলায় কররানি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
A
সুলেমান খান কররানি
B
দাউদ খান কররানি
C
তাজ খান কররানি
D
বায়েজীদ খান কররানি
উত্তরের বিবরণ
কররানি শাসন সম্পর্কিত তথ্য নিম্নরূপ:
-
কররানি উপাধিধারী আফগানরা একটি আফগান গোত্র।
-
কররানীদের আদি নিবাস ছিল আফগানিস্তানের বঙ্গাশ নামে স্থানে, যা বর্তমানে কুররম নামে পরিচিত।
-
পাঠানদের কররানী শাখা আফগানিস্তানে করলানি নামে পরিচিত।
-
১৫৬৪ সালে তাজ খান কররানি বাংলায় কররানি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি এক সময় শেরশাহের অধীনে চাকরি করতেন।
-
১৫৬৫ সালে, বাংলার অধিপতি হওয়ার এক বছরের মধ্যে তিনি মারা যান।
-
তাঁর ভাই সুলেমান কররানি প্রায় সাত বছর বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
-
সুলেমান কররানীর শাসনামলে বাংলায় অপেক্ষাকৃত সুশাসন ও শান্তি বিরাজ করেছিল।
-
সুলেমান কররানীর জ্যেষ্ঠ পুত্র বায়েজীদ কররানী তাঁর উত্তরাধিকারী হন।
-
বায়েজীদ কররানী তাঁর পিতার নীতি পরিহার করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
-
বায়েজীদ কররানী মাত্র কয়েক মাস বাংলার শাসন করেন।
-
১৫৭৩ খ্রিস্টাব্দে, বায়েজীদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা দাউদ কররানীকে বাংলার সিংহাসনে অভিষিক্ত করা হয়।
-
দাউদ তাঁর ভাইয়ের স্বাধীন নীতি অনুসরণ করে নিজের নামে খুৎবা পাঠ ও মুদ্রা প্রচলন করেন।
-
১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুলাই, রাজমহলের যুদ্ধ সংঘটিত হয়; দাউদ কররানী বন্দি হন এবং মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
-
দাউদ কররানীর মৃত্যুদন্ডের ফলে বাংলায় স্বাধীন মুসলিম শাসনের অবসান হয় এবং মুঘল শাসনের সূচনা ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলায় হাবসি শাসন কত বছর স্থায়ী ছিল?
Created: 2 months ago
A
৯ বছর
B
৭ বছর
C
৬ বছর
D
৪ বছর
0
Updated: 2 months ago
প্রাচীন সমতটের রাজধানী-
Created: 2 months ago
A
সুবর্ণপুর
B
বড় কামতা
C
মহাস্থানগড়
D
কর্ণসুবর্ণ
• সমতট: পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গের পাশাপাশি সমতটের অবস্থান। সমতটের রাজধানী বড় কামতা এবং দেবপর্বত কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে শুরু করে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রকূলবর্তী এলাকা এবং বর্তমান ভারতের ত্রিপুরার প্রাচীন অংশই সমতট। বর্তমানে নোয়াখালি, কুমিল্লা অঞ্চল প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম ও দশম শ্রেণি।
• সমতট:
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গের পাশাপাশি সমতটের অবস্থান।
সমতটের রাজধানী বড় কামতা এবং দেবপর্বত কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত।
গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে শুরু করে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রকূলবর্তী এলাকা এবং বর্তমান ভারতের ত্রিপুরার প্রাচীন অংশই সমতট।
বর্তমানে নোয়াখালি, কুমিল্লা অঞ্চল প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম ও দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল, তখন তার নাম ছিল-
Created: 5 months ago
A
মহাস্থান
B
কর্ণসুবর্ণ
C
পুণ্ড্রনগর
D
রামাবতী
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো মহাস্থানগড়। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, একসময় এটি পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল এবং এই অঞ্চলই ছিল বাংলার প্রাচীন রাজধানী।
মহাস্থানগড়ে খননকার্যে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো থেকে মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা এ স্থানের সমৃদ্ধ অতীতের প্রমাণ বহন করে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, সেন রাজবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনামলে (১০৮২–১১২৫) গৌড়ের রাজধানী অরক্ষিত অবস্থায় ছিল, যার প্রতিচ্ছবি মহাস্থানগড়ে ফুটে ওঠে।
বর্তমান প্রশাসনিক মানচিত্রে এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত, যা বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে। এখানে এখনও বিস্তৃত প্রাচীর ও ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান, যা প্রাচীন পুন্ড্রনগরের প্রায় আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসকে নীরবে সাক্ষ্য দেয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে মহাস্থানগড়কে সবচেয়ে পুরোনো ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago