মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো।
⇒ সেক্টরগুলো:
- ১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম,
- ২নং সেক্টর: ঢাকা, নোয়াখালী, ফরিদপুর ও কুমিল্লার অংশবিশেষ,
- ৩নং সেক্টর: কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ,
- ৪ নং সেক্টর: মৌলভীবাজার ও সিলেটের পূর্বাংশ,
- ৫নং সেক্টর: সিলেট ও সুনামগঞ্জ,
- ৬নং সেক্টর: রংপুর, দিনাজপুর,
- ৭নং সেক্টর: রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা,
- ৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর,
- ৯নং সেক্টর: খুলনা, বরিশাল,
- ১০নং সেক্টর: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল,
- ১১নং সেক্টর: টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মেজর জিয়াউর রহমান
B
মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত
C
মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
D
মেজর জয়নাল আবেদীন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এবং সেক্টর কমান্ডারদের দায়িত্ব ও নেতৃত্ব নিম্নরূপ ছিল। প্রতিটি সেক্টর স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও তাদের কাজের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে নেওয়া।
-
১ নং সেক্টর: সেক্টর প্রধান ছিলেন প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে দায়িত্ব নেন মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে কমান্ডার ছিলেন মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
৪ নং সেক্টর: কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে দায়িত্ব নেন ক্যাপ্টেন এ. রব।
-
৫ নং সেক্টর: কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: প্রথমে কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক, পরে দায়িত্ব নেন সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে দায়িত্ব নেন মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর এম.এ জলিল, পরে দায়িত্ব নেন মেজর এম.এ মঞ্জুর এবং মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত ছিল; এই সেক্টরের নিয়মিত কোনো কমান্ডার ছিলেন না।
0
Updated: 1 month ago
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 2 months ago
A
অলি আহাদ
B
কাশেম আলী
C
গাজীউল হক
D
তোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি (১৯৫২)
-
তারিখ ও দিন: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, বৃহষ্পতিবার (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)।
-
জমায়েত: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে।
-
বিধিনিষেধ: সরকার ১৪৪ ধারা জারি করায় ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন দুজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
-
ছাত্রসভা: বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
-
সভাপতিত্ব: গাজীউল হক
-
বক্তৃতা: শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন
-
সভাপতি ১০ জনকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নির্দেশ দেন।
-
-
প্রতিরোধ: পুলিশ মিছিলকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
-
অবস্থান: মেডিকেল হোস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এখানে জগন্নাথ হলের অডিটোরিয়াম ছিল, যেখানে পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল।
-
উদ্দেশ্য: ছাত্ররা চাইছিলেন অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যদের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পৌঁছে দিতে।
-
বিবাদ: ছাত্ররা শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। প্রতিবাদে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।
-
শহিদ ও আহত:
-
ঘটনাস্থলেই শহীদ: আব্দুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ
-
আহত: প্রায় ১৭ জন, রাত ৮টায় আবুল বরকত শহীদ হন
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), দৈনিক ইত্তেফাক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১)
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ নং সেক্টরের সদরদপ্তর কোথায় ছিল?
Created: 1 month ago
A
হরিণা
B
মেলাঘর
C
বাঁশতলা
D
বুড়িমারি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ব্যবস্থা গঠন করা হয়, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কার্যকর ছিল। প্রতিটি সেক্টরের জন্য সদর দপ্তর ও সেক্টর কমান্ডার নির্ধারিত হয়েছিল।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল। সদরদপ্তর: হরিণা। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রব। সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর জেলা এবং নোয়াখালীর অংশ। সদরদপ্তর: মেলাঘর। সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এটিএম হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: উত্তরে চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট ও দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল। সদরদপ্তর: হেজামারা। সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত। সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫নং সেক্টর: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং পূর্বসীমা। সদরদপ্তর: বাঁশতলা। সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা। সদরদপ্তর: বুড়িমাড়ি। সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ। সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা। সদরদপ্তর: কল্যাণী। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ। সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম এ মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ। সদরদপ্তর: বশিরহাট। সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল, পরে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
-
১১নং সেক্টর: টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা। সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ। সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের।
0
Updated: 1 month ago