'যা বহন করা যাচ্ছে' এর এক কথায় প্রকাশ -
A
নীয়মান
B
দূরপনেয়
C
অনুভূয়মান
D
অনপনেয়
উত্তরের বিবরণ
নিচে প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ整理 করা হলো।
-
যা বহন করা যাচ্ছে – নীয়মান
-
যা অপনয়ন করা যায় না – অনপনেয়
-
যা অনুভব করা হচ্ছে – অনুভূয়মান
-
যা অপনয়ন করা কষ্টকর – দূরপনেয়
0
Updated: 1 month ago
'যা চিরস্থায়ী নয়' এর এক কথায় প্রকাশ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
নশ্বর
B
অস্থায়ী
C
ক্ষণস্থায়ী
D
অবিনশ্বর
বাংলা ভাষায় “যা চিরস্থায়ী নয়” অর্থে এমন একটি শব্দ প্রয়োজন যা সংক্ষেপে সৃষ্টির অস্থায়িত্ব বা ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি বোঝায়। এই প্রেক্ষিতে “নশ্বর” শব্দটি যথাযথ। এটি মূলত সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো মৃত্যুযুক্ত, ক্ষয়শীল বা চিরস্থায়ী নয় এমন বস্তু বা ঘটনা। সাহিত্য, দর্শনশাস্ত্র এবং সাধারণ কথ্য ভাষায় “নশ্বর” শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এমন সবকিছুর জন্য যা সময়ের সাথে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয় বা অবিনশ্বর নয়।
-
নশ্বর অর্থে ব্যবহৃত: এটি চিরস্থায়ী নয় এমন কিছু নির্দেশ করে; যেমন জীবন, বস্তু, সৌন্দর্য বা সুখ যা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়মান।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন অস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী আংশিক অর্থ বহন করে, তবে “নশ্বর” শব্দটি গভীরতা এবং সাহিত্যিক স্বীকৃতি সম্পন্ন। “অবিনশ্বর” সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ বহন করে এবং চিরস্থায়ীত্ব বোঝায়।
-
সাহিত্যিক বা দার্শনিক আলোচনায় “নশ্বর” শব্দটি মানবজীবনের অস্থায়ী প্রকৃতি, বস্তু ও অনুভূতির অস্থায়িত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
-
ব্যবহারে এটি পাঠক বা শ্রোতাকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জলভাবে অস্থায়ী প্রকৃতির উপলব্ধি প্রদান করে।
সারসংক্ষেপে, “যা চিরস্থায়ী নয়” এক কথায় প্রকাশ করলে শব্দটি হলো নশ্বর, যা সময়ের অমোঘ প্রকৃতিকে বোঝায় এবং বাংলা ভাষায় শুদ্ধ ও প্রচলিত ব্যবহার নিশ্চিত করে।
0
Updated: 3 days ago
'যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না' তাকে এক কথায় বলে-
Created: 1 day ago
A
অনির্বাণ
B
অনির্দেশ্য
C
অনির্বচনীয়
D
অব্যক্ত
যে কোনো অনুভূতি, ভাব বা বিষয় যা শব্দে বা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, সেটিকে অব্যক্ত বলা হয়। এই শব্দটি সাধারণত এমন কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা মানুষের মনে থাকে, কিন্তু মুখে বা লেখায় প্রকাশ পায় না। এটি আবেগ, অনুভূতি, চিন্তা কিংবা অপ্রকাশিত ভাবের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভাষার মাধ্যমে অনেক কিছুই প্রকাশ করা যায়, কিন্তু কিছু অনুভূতি ভাষার সীমার বাইরে রয়ে যায়—সেগুলোকেই অব্যক্ত বলা হয়।
• অব্যক্ত শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “অ” (নিষেধ) এবং “ব্যক্ত” (প্রকাশিত) শব্দের সমন্বয়ে। অর্থাৎ, যা প্রকাশিত নয় বা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
• এটি সাধারণত মানসিক অনুভূতি, গভীর চিন্তা, অন্তর্নিহিত ব্যথা বা আনন্দ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
• অব্যক্ত বলতে এমন অবস্থাকেও বোঝায় যেখানে কোনো কিছু প্রকাশের উপযুক্ত রূপ ধারণ করেনি—যেমন, “অব্যক্ত ভাব” বা “অব্যক্ত ধ্বনি”।
• সাহিত্যে, বিশেষত কবিতায়, অব্যক্ত ভাবের মাধ্যমে কবি এমন এক অনুভব প্রকাশ করেন যা ভাষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং পাঠকের মনে অনুভূতির জন্ম দেয়।
• দর্শনের ভাষায়, অব্যক্ত হলো এমন কিছু যা এখনো প্রকাশ বা রূপলাভ করেনি, যেমন—“অব্যক্ত প্রকৃতি” অর্থাৎ প্রকৃতি তার গোপন বা অপ্রকাশিত অবস্থায়।
• অনির্বচনীয় শব্দটির অর্থ আলাদা—এটি বোঝায় “যা কথায় বর্ণনা করা যায় না”, কিন্তু “অব্যক্ত” হলো “যা প্রকাশই করা হয়নি” বা “যা প্রকাশের বাইরে রয়ে গেছে”। তাই “যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না” বললে অব্যক্ত শব্দটিই সবচেয়ে সঠিক হয়।
• বাংলাসাহিত্যে “অব্যক্ত” শব্দটি বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ কবিরা “অব্যক্ত” শব্দের মাধ্যমে অন্তর্গত অনুভূতির গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
• উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—“তার চোখে এক অব্যক্ত বেদনা ছিল”—এখানে বেদনা ছিল, কিন্তু তা কথায় প্রকাশিত হয়নি।
• এই শব্দটি শুধু ভাষা নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, ‘যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না’ তাকে এক কথায় বলে ‘অব্যক্ত’—কারণ এটি এমন একটি অবস্থা বা অনুভব, যা কেবল অনুভূত হয় কিন্তু কথায় প্রকাশ করা যায় না।
0
Updated: 1 day ago
যিনি বক্তৃতা দানে পটু তাকে এক কথায় কি বলে?
Created: 3 weeks ago
A
বক্তা
B
বাচাল
C
বাগ্মী
D
মিতভাষী
‘যিনি বক্তৃতা দানে পটু’ এর এক কথায় প্রকাশ হলো বাগ্মী।
বাগ্মী শব্দটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি বক্তৃতা বা বক্তব্য প্রদানে দক্ষ, প্রাঞ্জল ও প্রভাববিস্তারকারীভাবে কথা বলতে পারেন।
অন্য শব্দগুলোর অর্থ:
-
বাচাল: যে অতিরিক্ত কথা বলে; প্রগল্ভ বা বাগাড়ম্বরপ্রিয় ব্যক্তি।
-
মিতভাষী: যে অল্প কথা বলে; সংযমী বক্তা বা সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলায় অভ্যস্ত।
-
বক্তা: যে বক্তব্য দেয় বা বক্তৃতা প্রদান করে; তবে এটি দক্ষতার পরিবর্তে কেবল ভূমিকা প্রকাশ করে।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক এক কথায় প্রকাশ হবে — বাগ্মী।
0
Updated: 3 weeks ago