তেজস্ক্রিয়তা একটি কোন ধরনের প্রক্রিয়া?
A
অপ্রত্যাবর্তী
B
আংশিক
C
প্রত্যাবর্তী
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
তেজস্ক্রিয় রশ্মি
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রশ্মি বিকিরণের প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পরমাণু।
-
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানী হেনরী বেকেরেল (Henry Becquerel) আকস্মিকভাবে এই রশ্মি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর নাম অনুসারে এই রশ্মির নামকরণ করা হয় বেকেরেল রশ্মি।
-
পরবর্তীতে মাদাম মারি কুরি (Madame Marie Curie) ও পিয়েরে কুরি (Pierre Curie) নানা পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করেন। বর্তমানেই এই রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (Radioactive rays) বলা হয়।
তেজস্ক্রিয়তার প্রকারভেদ:
১। প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা: কোনো পদার্থ হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
২। কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা: কৃত্রিম উপায়ে কোনো মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌলে পরিণত করলে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য:
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম প্রক্রিয়া। তাপ, চাপ, তড়িৎ ক্ষেত্র বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা কণিকা (α), বিটা কণিকা (β) ও গামা রশ্মি (γ) নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তার উৎপত্তি স্থান হলো নিউক্লিয়াস। পরমাণুর ভাঙনের ফলেই রশ্মি নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া; অর্থাৎ এক প্রকার পরমাণু অন্য প্রকারে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
Created: 1 month ago
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
কোন পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে?
Created: 1 month ago
A
প্লাস্টিক
B
রূপা
C
সিলিকন
D
কাচ
পদার্থকে তাদের তড়িৎ পরিবাহনের ক্ষমতা অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা যায়—পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী।
পরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে পরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা।
-
মূলত সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে তা সমস্ত পরিবাহীতে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে তড়িৎ প্রবাহে বাধা সামান্য বৃদ্ধি পায়।
অপরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক।
-
মূলত প্রায় সব অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান প্রদত্ত স্থানে আবদ্ধ থাকে এবং দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়।
অর্ধপরিবাহী:
-
কিছু পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মধ্যে থাকে।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন।
-
এরা তড়িৎ প্রবাহ করতে পারে, তবে পরিবাহীর চেয়ে কম এবং অপরিবাহীর চেয়ে বেশি।
-
পার্থক্য: পরিবাহী পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ হ্রাস পায় এবং তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গ্যালভানাইজিং-এর মূল উদ্দেশ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ধাতুকে চকচকে করা
B
ধাতুকে শক্তিশালী করা
C
ধাতুর ক্ষয় রোধ করা
D
ধাতুর রং পরিবর্তন করা
ধাতুর ক্ষয় রোধ করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে গ্যালভানাইজিং, ইলেকট্রোপ্লেটিং এবং পেইন্টিং অন্যতম। এই প্রক্রিয়াগুলো ধাতুকে বাতাস, পানি এবং অন্যান্য ক্ষয়ক পরিবেশ থেকে রক্ষা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
-
গ্যালভানাইজিং:
-
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে জিংক বা দস্তা ব্যবহার করা হয়, যার অন্যতম হলো গ্যালভানাইজিং।
-
লোহার তৈরি দ্রব্যের উপর দস্তার পাতলা আস্তরণ দেওয়াকে গ্যালভানাইজেশন বলা হয়।
-
জিংকের আবরণ লোহাকে বাতাসের অক্সিজেন ও পানি থেকে রক্ষা করে, ফলে মরিচা পড়ে না।
-
দস্তার পরিবর্তে টিন দিয়ে ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধ করা যায়।
-
-
ইলেকট্রোপ্লেটিং:
-
তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর পাতলা আবরণ তৈরির প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলা হয়।
-
সাধারণত নিকেল, ক্রোমিয়াম, টিন, সিলভার ও সোনা দিয়ে আবরণ তৈরি করা হয়।
-
ধাতুর ক্ষয় রোধের পাশাপাশি বস্তুটি আকর্ষণীয় ও চকচকে হয়।
-
খাবারের কৌটা, সাইকেল ইত্যাদির লোহার অংশে টিনের ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়।
-
-
পেইন্টিং:
-
ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধে পেইন্টিং বা রং করাও কার্যকর।
-
বাসার রেফ্রিজারেটর, আলমারি, গাড়ি ও স্টিলের আসবাবপত্রের ক্ষয় রোধে পেইন্ট ব্যবহার করা হয়।
-
পেইন্ট সময়ের সঙ্গে নষ্ট হয়ে গেলে দ্রুত পুনরায় রং করা উচিত।
-
0
Updated: 1 month ago