গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
উত্তরের বিবরণ
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 15 hours ago
কোন তত্ত্বটি আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (photoelectric effect) ব্যাখ্যা করে?
Created: 15 hours ago
A
তরঙ্গ তত্ত্ব
B
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব
C
কোয়ান্টাম তত্ত্ব
D
কণা তত্ত্ব
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আলোর তত্ত্বসমূহ
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
-
১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে নয়, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছ বা প্যাকেট (Quantum/Photon) আকারে বের হয়।
-
প্রতিটি কম্পাঙ্কের আলোর জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান থাকে।
-
প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ গুচ্ছগুচ্ছ প্যাকেট আকারে সংঘটিত হয়।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন আলোর তড়িৎক্রিয়ার রহস্য ব্যাখ্যা করেন এবং আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব (Electromagnetic Theory):
-
গতিশীল তড়িৎ ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্রুত পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনের ফলে শক্তির বিকিরণ ঘটে।
-
এর দৃশ্য তরঙ্গ হলো আলো, যা কোনও মাধ্যম ছাড়াই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তবে এই তত্ত্ব ফটোতড়িৎ প্রতিক্রিয়া ও কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ।
কণা তত্ত্ব (Particle Theory):
-
আলোকে কণা (Particle) দ্বারা গঠিত ধরা হয়, যা উৎস থেকে সব দিকে নিঃসৃত হয়ে সরলরেখায় চলে।
-
তবে এই তত্ত্ব আলোর বিচ্ছুরণ, অপবর্তন ও ব্যতিচার ব্যাখ্যা করতে পারে না।
তরঙ্গ তত্ত্ব (Wave Theory):
-
আলোকে তরঙ্গাকারে ধরা হয়, যা ইথার নামের কাল্পনিক মাধ্যমের মাধ্যমে সব দিকে নির্গত হয়।
-
আলোর বর্ণের বিভিন্নতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে।
-
তরঙ্গ তত্ত্ব আলোর অনেক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারে, তবে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা ইথারের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত।
উৎস:

0
Updated: 15 hours ago
কোন পদার্থের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল সবচেয়ে কম?
Created: 16 hours ago
A
কঠিন
B
গ্যাসীয়
C
তরল
D
কোনোটিই নয়
গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো একে অপরের থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে এবং আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি খুবই কম থাকে। ফলে গ্যাসীয় অবস্থায় অণুগুলো সবচেয়ে বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করে।
-
গ্যাসের অণুসমূহ অধিকতর কম্পন, আবর্তন ও স্থানান্তর গতি সহকারে স্বাধীনভাবে চলাচল করে।
-
অণুগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাই গ্যাসের নির্দিষ্ট আকৃতি বা আয়তন নেই।
-
যেহেতু অণুগুলো একে অপরের কাছাকাছি থাকে না, গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন কঠিন বা তরল অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
শরীরের ভিতরের কোনো ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়ে কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
Created: 16 hours ago
A
রঞ্জন রশ্মি
B
আলফা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
বিটা রশ্মি
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হলো এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ, যার ভেদন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। এটি জার্মান পদার্থবিদ উইলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার (পদার্থবিজ্ঞান) লাভ করেন।
-
এক্স-রে হলো একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এর রয়েছে উচ্চ ভেদন ক্ষমতা।
এক্স-রের ব্যবহার:
-
হীরক সনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়।
-
স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ের দাগ বা ফাটল শনাক্তকরণে অত্যন্ত কার্যকর।
-
শরীরের ভেতরের কোনো বিদেশি বস্তু বা ফুসফুসে ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
গোয়েন্দা বিভাগে কাঠের বাক্স বা চামড়ার থলির ভেতরে বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago