গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
উত্তরের বিবরণ
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শরীরের ভিতরের কোনো ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়ে কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
রঞ্জন রশ্মি
B
আলফা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
বিটা রশ্মি
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হলো এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ, যার ভেদন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। এটি জার্মান পদার্থবিদ উইলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার (পদার্থবিজ্ঞান) লাভ করেন।
-
এক্স-রে হলো একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এর রয়েছে উচ্চ ভেদন ক্ষমতা।
এক্স-রের ব্যবহার:
-
হীরক সনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়।
-
স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ের দাগ বা ফাটল শনাক্তকরণে অত্যন্ত কার্যকর।
-
শরীরের ভেতরের কোনো বিদেশি বস্তু বা ফুসফুসে ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
-
গোয়েন্দা বিভাগে কাঠের বাক্স বা চামড়ার থলির ভেতরে বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন কেমন হয়?
Created: 1 month ago
A
কম হয়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
ধীরে ধীরে কম হয়
D
বেশি হয়
বাষ্পায়নের নির্ভরশীলতা
-
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ধীরগতিতে শুকায়, কিন্তু শীতকালে ছায়ায়ও দ্রুত শুকায়। এ ঘটনার কারণ হলো পানির বাষ্পায়ন।
-
পানির বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:
১. বাতাসের প্রবাহ:
-
বাতাসের গতি বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
২. তরলের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল:
-
ক্ষেত্রফল যত বড়, বাষ্পায়ন তত বেশি। উদাহরণ: এক গ্লাস পানির তুলনায় একটি বড় থালায় রাখা পানি দ্রুত শুকায়।
৩. তরলের প্রকৃতি:
-
স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। উদাহরণ: ইথার বা এলকোহল দ্রুত বাষ্পায়িত হয়।
৪. বাতাসের চাপ:
-
বাতাসের চাপ কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। শূন্যস্থানে বাষ্পায়ন সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
৫. উষ্ণতা:
-
তরল এবং তার চারপাশের বাতাসের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বৃদ্ধি পায়।
৬. বায়ুর শুষ্কতা:
-
বাতাস যত শুষ্ক, তরল তত দ্রুত বাষ্পায়ন করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago