নিচের কোনটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ নয়?
A
শব্দ তরঙ্গ
B
বেতার তরঙ্গ
C
আলোক তরঙ্গ
D
পানির তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
তরঙ্গ এবং তাদের প্রকারভেদ
তরঙ্গ:
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave) বলা হয়।
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, তাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) বলা হয়।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় মাধ্যমের কণার স্পন্দনের মাধ্যমে।
যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রকার:
১. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমকোণ তৈরি করে।
-
উদাহরণ: পানির ঢেউ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি।
-
উদাহরণ ব্যাখ্যা: পানির কণাগুলো উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমান্তরাল।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং এর তরঙ্গ ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পেরিস্কোপ তৈরিতে কতটি দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
একটি
B
দুইটি
C
তিনটি
D
চারটি
পেরিস্কোপ হলো এমন একটি অপটিক্যাল যন্ত্র যা আলোর প্রতিফলনের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহার করে এমন বস্তুও দেখা সম্ভব হয় যা সরাসরি চোখে দেখা যায় না।
-
পেরিস্কোপ তৈরিতে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
-
আলো প্রথম দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে দ্বিতীয় দর্পণে পড়ে এবং দ্বিতীয় দর্পণ থেকে প্রতিফলিত হয়ে চোখে পৌঁছায়।
-
এর ফলে সরাসরি দেখা না গেলেও বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
পেরিস্কোপ একটি লম্বা সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণের দুটি ফালি বসিয়ে তৈরি করা হয়।
-
দর্পণ দুটি টিউবের দেয়ালের সাথে ৪৫° কোণে স্থাপন করা হয় এবং এরা পরস্পরের সাথে সমান্তরাল থাকে।
-
এভাবে দর্পণ দুটি আলোকে ৯০° কোণে বাঁকিয়ে দেয়।
-
পেরিস্কোপ ব্যবহার করা হয় স্টেডিয়ামে ভিড়ের মধ্যে খেলা দেখার জন্য।
-
এটি বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা সৈন্যদের আশপাশ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
-
ডুবোজাহাজ থেকেও সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিস্থিতি দেখার জন্য পেরিস্কোপ ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
Ra
B
Th
C
Na
D
Rn
Na (সোডিয়াম) কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো এমন সব উপাদান যাদের ভারী নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে বিশেষ ধরনের বিকিরণ বা নিঃসরণ করে। এ প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে হেনরি বেকারেল আবিষ্কার করেন।
-
এর SI একক হলো বেকেরেল (Bq), যা আবিষ্কারকের নামানুসারে নির্ধারিত।
-
সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি।
-
উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ধ্বংস করে এবং খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসে আসে?
Created: 2 weeks ago
A
ডিজেল
B
পেট্রোল
C
অকটেন
D
সিএনজি
সালফার ডাই–অক্সাইড (SO₂) একটি বায়ুদূষক গ্যাস, যা মূলত সালফারযুক্ত জ্বালানি পুড়লে উৎপন্ন হয়। এই দিক থেকে ডিজেল হলো এমন একটি জ্বালানি যাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে, তাই এটি পুড়লে বাতাসে সালফার ডাই–অক্সাইড নির্গত হয়।
-
ডিজেল মূলত অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে তৈরি হয় এবং এতে সালফারের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। যখন এটি দহন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তখন সালফার অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে SO₂ গ্যাস তৈরি করে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
-
এই গ্যাস বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অম্লবৃষ্টি (acid rain) সৃষ্টি করে, যা মাটি, গাছপালা ও স্থাপত্যের ক্ষতি সাধন করে।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর, কারণ এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কাশি ও অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।
অন্য বিকল্পগুলোর তুলনা করলে—
-
পেট্রোল ও অকটেন-এ সালফারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তাই এগুলো থেকে SO₂ নির্গমন সীমিত।
-
সিএনজি (Compressed Natural Gas) সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে পরিচিত; এতে মূল উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা পুড়লে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়, সালফার ডাই–অক্সাইড নয়।
অতএব, পরিবেশগত ও রাসায়নিক দিক থেকে স্পষ্ট যে ডিজেল পোড়ালে সালফার ডাই–অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
সঠিক উত্তর — ক) ডিজেল।
0
Updated: 2 weeks ago