কোন তত্ত্বটি আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (photoelectric effect) ব্যাখ্যা করে?
A
তরঙ্গ তত্ত্ব
B
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব
C
কোয়ান্টাম তত্ত্ব
D
কণা তত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আলোর তত্ত্বসমূহ
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
-
১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে নয়, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছ বা প্যাকেট (Quantum/Photon) আকারে বের হয়।
-
প্রতিটি কম্পাঙ্কের আলোর জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান থাকে।
-
প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ গুচ্ছগুচ্ছ প্যাকেট আকারে সংঘটিত হয়।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন আলোর তড়িৎক্রিয়ার রহস্য ব্যাখ্যা করেন এবং আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব (Electromagnetic Theory):
-
গতিশীল তড়িৎ ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্রুত পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনের ফলে শক্তির বিকিরণ ঘটে।
-
এর দৃশ্য তরঙ্গ হলো আলো, যা কোনও মাধ্যম ছাড়াই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তবে এই তত্ত্ব ফটোতড়িৎ প্রতিক্রিয়া ও কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ।
কণা তত্ত্ব (Particle Theory):
-
আলোকে কণা (Particle) দ্বারা গঠিত ধরা হয়, যা উৎস থেকে সব দিকে নিঃসৃত হয়ে সরলরেখায় চলে।
-
তবে এই তত্ত্ব আলোর বিচ্ছুরণ, অপবর্তন ও ব্যতিচার ব্যাখ্যা করতে পারে না।
তরঙ্গ তত্ত্ব (Wave Theory):
-
আলোকে তরঙ্গাকারে ধরা হয়, যা ইথার নামের কাল্পনিক মাধ্যমের মাধ্যমে সব দিকে নির্গত হয়।
-
আলোর বর্ণের বিভিন্নতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে।
-
তরঙ্গ তত্ত্ব আলোর অনেক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারে, তবে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা ইথারের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 1 month ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সোডিয়ামের ভর সংখ্যা কত?
Created: 1 month ago
A
২৩
B
১২
C
২২
D
১১
পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা হলো মৌল ও পরমাণুর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যা মৌলের ধর্ম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পারমাণবিক সংখ্যা (Atomic Number)
-
কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যা হলো সেই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা।
-
মৌলের ধর্ম নির্ভর করে পারমাণবিক সংখ্যার উপর, তাই পারমাণবিক সংখ্যা মৌলের মৌলিক ধর্ম (Fundamental Property)।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন শক্তিস্তরে নিজস্ব কক্ষপথে অবস্থান করে।
-
পারমাণবিক সংখ্যা Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
উদাহরণ:
-
হাইড্রোজেন (H) পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ১টি প্রোটন → পারমাণবিক সংখ্যা = ১
-
কার্বন (C) পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ৬টি প্রোটন → পারমাণবিক সংখ্যা = ৬
-
ভর সংখ্যা (Mass Number)
-
কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা হলো ভর সংখ্যা।
-
ইলেকট্রনের ভর প্রায় শূন্য ধরা হয়।
-
উদাহরণ:
-
সোডিয়াম (Na) পরমাণুতে প্রোটন = ১১, নিউট্রন = ১২ → ভর সংখ্যা = ২৩
-
0
Updated: 1 month ago
তেজস্ক্রিয়তা একটি কোন ধরনের প্রক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
অপ্রত্যাবর্তী
B
আংশিক
C
প্রত্যাবর্তী
D
কোনোটিই নয়
তেজস্ক্রিয় রশ্মি
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রশ্মি বিকিরণের প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পরমাণু।
-
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানী হেনরী বেকেরেল (Henry Becquerel) আকস্মিকভাবে এই রশ্মি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর নাম অনুসারে এই রশ্মির নামকরণ করা হয় বেকেরেল রশ্মি।
-
পরবর্তীতে মাদাম মারি কুরি (Madame Marie Curie) ও পিয়েরে কুরি (Pierre Curie) নানা পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করেন। বর্তমানেই এই রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (Radioactive rays) বলা হয়।
তেজস্ক্রিয়তার প্রকারভেদ:
১। প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা: কোনো পদার্থ হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
২। কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা: কৃত্রিম উপায়ে কোনো মৌলকে তেজস্ক্রিয় মৌলে পরিণত করলে যে তেজস্ক্রিয়তা ঘটে।
তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য:
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম প্রক্রিয়া। তাপ, চাপ, তড়িৎ ক্ষেত্র বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা কণিকা (α), বিটা কণিকা (β) ও গামা রশ্মি (γ) নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তার উৎপত্তি স্থান হলো নিউক্লিয়াস। পরমাণুর ভাঙনের ফলেই রশ্মি নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া; অর্থাৎ এক প্রকার পরমাণু অন্য প্রকারে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago