এক্স-রের কোন বৈশিষ্ট্য সঠিক?
A
এক্স-রে সরল পথে গমন করে
B
এক্স-রে আলোর চেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারণ করে
C
এক্স-রে বিক্ষিপ্ত হয় তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা
D
এক্স-রে গ্যাসের মধ্য দিয়ে গমনকালে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
উত্তরের বিবরণ
এক্স-রে (X-Rays) হলো এমন এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি যা ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলিয়াম রঞ্জন আবিষ্কার করেন। পরে একে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকা হয়। এক্স-রে তখন সৃষ্টি হয় যখন উচ্চগতির ইলেকট্রন কোনো ধাতব প্রতিবন্ধকের (Target) সাথে সংঘর্ষে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তার গতিশক্তি এক্স-রেতে রূপান্তরিত হয়।
এক্স-রের বৈশিষ্ট্য:
-
এক্স-রে সরল পথে চলে।
-
এক্স-রে অদৃশ্য, সাধারণ আলো রেটিনায় পড়লে দেখা যায় কিন্তু এক্স-রে দেখার অনুভূতি জাগায় না।
-
এটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এক্স-রের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট।
-
এক্স-রে আলোর সমবেগে (≈ 3×10⁸ m/s) চলে।
-
আলোর মতো এক্স-রে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, অপবর্তন ও পোলারাইজেশন করতে পারে।
-
এক্স-রে আলোর তড়িৎক্রিয়া প্রদর্শন করে।
-
এক্স-রে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
এক্স-রে তড়িৎ ক্ষেত্র বা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না, অর্থাৎ কোনো চার্জ নেই।
-
এক্স-রে গ্যাসকে আয়নিত করতে সক্ষম।
-
এক্স-রে প্রতিপ্রভা (fluorescence) সৃষ্টি করতে পারে।
-
এক্স-রের ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক।
-
এক্স-রে জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
কোন তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না?
Created: 16 hours ago
A
কম্পনের তরঙ্গ
B
আলোর তরঙ্গ
C
শব্দ তরঙ্গ
D
পানি তরঙ্গ
তরঙ্গ (Waves) হলো কোনো রাশির মানের বিচ্যুতি বা আন্দোলন যা সময়ের সঙ্গে স্থানান্তরিত হয়। একটি একক আন্দোলনও তরঙ্গ তৈরি করতে পারে, এবং একাধিক আন্দোলনের পুনরাবৃত্তিতে তরঙ্গদল (Wavetrain) সৃষ্টি হয়। সাধারণত 'তরঙ্গ' বলতে এই পর্যাবৃত্ত তরঙ্গদলকেই বোঝানো হয়। তরঙ্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—যেসব জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন এবং যেসব জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।
যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave):
-
যেসব তরঙ্গ চলার জন্য বায়ু, তরল বা কঠিন কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, সেগুলো যান্ত্রিক তরঙ্গ।
-
এ ধরনের তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলো সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
-
উদাহরণ:
-
পুকুরে ঢিল ফেলে সৃষ্টি হওয়া জল তরঙ্গ।
-
সুর-শলাকার কম্পন থেকে সৃষ্ট শব্দ তরঙ্গ, যা বায়ু বা অন্য মাধ্যমের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়।
-
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave):
-
বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের পর্যাবৃত্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সঞ্চালিত এই তরঙ্গ।
-
এ ধরনের তরঙ্গ চলতে কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।
-
উদাহরণ: আলোর তরঙ্গ, গামা রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে কোনটি?
Created: 2 days ago
A
মোটর
B
ট্রানজিস্টর
C
জেনারেটর
D
ট্রান্সফরমার
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র যা তাড়িতচৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
-
এতে মূলত দুটি কুণ্ডলী থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোর বা ম্যাজার উপর সারিবদ্ধভাবে আবৃত থাকে যাতে অধিক চৌম্বক বলের রেখা তৈরি হয়।
-
একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তনশীল প্রবাহ চললে অপর কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি হয়।
-
ট্রান্সফরমারের কাজ হলো উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করা, শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
-
ফলে, বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায়।
-
বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
-
-
যে যন্ত্র এই রূপান্তর করে তাকে ট্রান্সফরমার বলা হয়।
-
ট্রান্সফরমার সাধারণত দুই প্রকারের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (বিভব বৃদ্ধি করে)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার (বিভব হ্রাস করে)
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
কোন রঙের আলোতে সবুজ পাতা কালো দেখায়?
Created: 2 days ago
A
সাদা
B
কালো
C
লাল
D
কোনোটিই নয়
শোষণ (Absorption)
-
জগতের বিভিন্ন রঙ আমাদের চোখে আসা দৃশ্যমান সৌন্দর্যের একটি বড় অংশ তৈরি করে।
-
উদাহরণ: সবুজ পাতার পাশে লাল গোলাপ ফুল দেখা যায়। সাধারণ সাদা আলোতে সব রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য উপস্থিত থাকে।
-
যখন সাদা আলো লাল গোলাপ ফুলে পড়ে, ফুলটি লাল ব্যতীত সব রঙ শোষণ করে। ফলে লাল রঙ প্রতিফলিত হয় এবং আমাদের চোখে ফুলটি লাল মনে হয়।
-
ঠিক একইভাবে, সবুজ পাতায় সব রঙের আলো পড়লে পাতাটি সবুজ ব্যতীত সব রঙ শোষণ করে, তাই প্রতিফলিত আলোতে সবুজ রঙ দেখা যায়।
-
যদি শুধুমাত্র লাল আলো থাকে, তাহলে গোলাপ ফুল লাল রঙ শোষণ করে না, তাই ফুলটি লাল দেখায়। কিন্তু পাতার সবুজ রঙ লাল আলো শোষণ করে, তাই পাতাটি কালো দেখায়।
-
একইভাবে সবুজ আলোতে পাতাটি সবুজ দেখায়, কিন্তু লাল গোলাপ ফুল পুরোপুরি সবুজ শোষণ করে, তাই ফুলটি কালো দেখায়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago