ট্রান্সফরমার কোন নীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে?
A
বৈদ্যুতিক বিভব নীতি
B
নিউটনের গতি সূত্র নীতি
C
হিট ট্রান্সফার নীতি
D
তাড়িতচৌম্বক আবেশ নীতি
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার হলো একটি তড়িৎ যন্ত্র যা পর্যাবৃত্ত তাড়িতচৌম্বক আবেশের (alternating electromagnetic induction) মাধ্যমে কাজ করে।
-
ট্রান্সফরমারে দুটি কুণ্ডলী থাকে, যেগুলো একটি আয়তাকার লোহার কোরের উপর সারিবদ্ধভাবে জড়ানো থাকে যাতে বেশি পরিমাণ চৌম্বক বলের রেখা তৈরি হয়।
-
একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তি প্রবাহ চলে, যার ফলে অপর কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি হয়।
-
ট্রান্সফরমারের মূল কাজ হলো উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করা, তবে শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
-
বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায়।
-
বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
-
-
সংক্ষেপে, যে যন্ত্র পর্যাবৃত্ত উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে তাকে ট্রান্সফরমার বলা হয়।
-
ট্রান্সফরমারের দুই প্রধান ধরন:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
কোনো দ্রবণে pH মান ৭ এর চেয়ে কম হলে সেই দ্রবণ কোন প্রকৃতির হবে?
Created: 1 week ago
A
ক্ষারীয়
B
নিরপেক্ষ
C
অ্যাসিডিক
D
আয়নিক
pH স্কেল হলো এমন একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো দ্রবণ অম্লীয়, ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ তা নির্ধারণ করা হয়। এটি রসায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা পরিমাপের একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রদান করে।
-
pH স্কেল প্রবর্তন করেন বিজ্ঞানী সোরেনসেন ১৯১৯ সালে।
-
এটি দ্বারা জানা যায় কোনো দ্রবণ কতটা অম্লীয় বা ক্ষারীয়।
-
pH হলো হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম। অর্থাৎ, pH = – log[H⁺]।
-
দ্রবণের pH মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
pH = ৭ হলে দ্রবণটি নিরপেক্ষ।
-
pH < ৭ হলে দ্রবণটি অম্লীয়।
-
pH > ৭ হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়।
-
pH নির্ধারণের জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়, যেখানে pH স্কেল থাকে।

0
Updated: 1 week ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 1 week ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 16 hours ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago