কোন পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে?
A
প্লাস্টিক
B
রূপা
C
সিলিকন
D
কাচ
উত্তরের বিবরণ
পদার্থকে তাদের তড়িৎ পরিবাহনের ক্ষমতা অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা যায়—পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী।
পরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে পরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা।
-
মূলত সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে তা সমস্ত পরিবাহীতে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে তড়িৎ প্রবাহে বাধা সামান্য বৃদ্ধি পায়।
অপরিবাহী:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক।
-
মূলত প্রায় সব অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান প্রদত্ত স্থানে আবদ্ধ থাকে এবং দুটি বস্তুকে যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়।
অর্ধপরিবাহী:
-
কিছু পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মধ্যে থাকে।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন।
-
এরা তড়িৎ প্রবাহ করতে পারে, তবে পরিবাহীর চেয়ে কম এবং অপরিবাহীর চেয়ে বেশি।
-
পার্থক্য: পরিবাহী পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ হ্রাস পায় এবং তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উৎস:

0
Updated: 15 hours ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 2 days ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
একটি কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ কিনা তা কিভাবে নির্ণয় করা যায়?
Created: 2 days ago
A
ঘনীভবন
B
বাষ্পীভবন
C
গলনাঙ্ক
D
স্ফুটনাংক
গলনাঙ্ক (Melting Point)
-
কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা গলনাঙ্ক দ্বারা নির্ণয় করা যায়।
-
যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলতে শুরু করে, সেটিকে গলনাঙ্ক বলা হয়।
-
যদি কঠিন পদার্থে অপদ্রব্য বা দূষণ মিশ্রিত থাকে, তবে পদার্থটি আসল গলনাঙ্কে গলবে না।
তুলনায়:
-
তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে কোন তরল বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা জানা যায়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
আলোকবর্ষ ব্যবহার করে কী পরিমাপ করা হয়?
Created: 1 week ago
A
দূরত্ব
B
সময়
C
ভর
D
ওজন
আলোক বর্ষ
-
আলোক বর্ষ (Light Year) হলো দূরত্ব মাপার একক, যা বিশেষ করে জ্যোতির্বিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
-
এক আলোক বর্ষ মানে হলো, আলো এক বছরে যতদূর চলে, সেই দূরত্ব।
-
এর মান প্রায় ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার বা ৫.৮৮ ট্রিলিয়ন মাইল।
• অন্যান্য এককগুলোর তুলনা:
-
গ্রাম: ভরের একক।
-
নিউটন: ওজন বা বল পরিমাপের একক।
-
সেকেন্ড: সময় পরিমাপের একক।
অর্থাৎ, আলোক বর্ষ শুধু দূরত্ব মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়, ওজন, ভর বা সময়ের জন্য নয়।
উৎসঃ পদার্থবিজ্ঞান (দ্বিতীয় পত্র), একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago