অপটিক্যাল ফাইবারের অভ্যন্তরীণ অংশকে কী বলা হয়?
A
ক্ল্যাড
B
শেল
C
কোর
D
রিফ্লেক্টর
উত্তরের বিবরণ
অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু কাচের তন্তু যা বর্তমানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক তারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে তথ্য বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হতো, সেখানে এখন আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। মুক্ত অবস্থায় আলো সরলরেখায় চলে, কিন্তু ফাইবারের ভিতরে আলো আটকা পড়ে থাকে, তাই ফাইবারকে ঘুরিয়ে বা পেঁচিয়ে যেকোনো দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
-
অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতরের অংশকে কোর (core) এবং বাইরের অংশকে ক্ল্যাড (clad) বলা হয়।
-
উভয় অংশই একই কাচের তৈরি হলেও কোরের প্রতিসরণাঙ্ক ক্ল্যাডের চেয়ে বেশি।
-
এ কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলো কোরের মধ্যে আটকা পড়ে বহু দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়।
-
আলোর শোষণ ফাইবারে খুবই কম হওয়ায় আলো শত শত কিলোমিটার দূরে প্রেরণ করা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোতে শোষণ বেশি হওয়ায় ফাইবারে সাধারণত লম্বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে কোন কণা পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
ইলেকট্রন
B
পজিট্রন
C
প্রোটন
D
নিউট্রন
প্রোটন হলো পরমাণুর একটি মৌলিক কণিকা, যা সব মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রে (নিউক্লিয়াসে) অবস্থান করে এবং ধনাত্মক আধান বহন করে।
প্রোটন সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রোটনও ইলেকট্রনের মতো সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
এটি সবসময় পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক বিদ্যুৎবাহী কণা পাওয়া যায় তাকেই প্রোটন বলে।
-
প্রোটনের সংকেত হলো H+ অথবা P।
-
প্রোটনের আসল ভর প্রায় 1.67 × 10⁻²⁴ g।
-
প্রোটনের আধান হলো 1.60 × 10⁻¹⁹ C।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক ভর 1 একক।
-
প্রোটনের আপেক্ষিক আধান +1।
0
Updated: 1 month ago
কোন তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না?
Created: 1 month ago
A
কম্পনের তরঙ্গ
B
আলোর তরঙ্গ
C
শব্দ তরঙ্গ
D
পানি তরঙ্গ
তরঙ্গ (Waves) হলো কোনো রাশির মানের বিচ্যুতি বা আন্দোলন যা সময়ের সঙ্গে স্থানান্তরিত হয়। একটি একক আন্দোলনও তরঙ্গ তৈরি করতে পারে, এবং একাধিক আন্দোলনের পুনরাবৃত্তিতে তরঙ্গদল (Wavetrain) সৃষ্টি হয়। সাধারণত 'তরঙ্গ' বলতে এই পর্যাবৃত্ত তরঙ্গদলকেই বোঝানো হয়। তরঙ্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—যেসব জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন এবং যেসব জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।
যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave):
-
যেসব তরঙ্গ চলার জন্য বায়ু, তরল বা কঠিন কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, সেগুলো যান্ত্রিক তরঙ্গ।
-
এ ধরনের তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলো সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
-
উদাহরণ:
-
পুকুরে ঢিল ফেলে সৃষ্টি হওয়া জল তরঙ্গ।
-
সুর-শলাকার কম্পন থেকে সৃষ্ট শব্দ তরঙ্গ, যা বায়ু বা অন্য মাধ্যমের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়।
-
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave):
-
বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের পর্যাবৃত্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সঞ্চালিত এই তরঙ্গ।
-
এ ধরনের তরঙ্গ চলতে কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।
-
উদাহরণ: আলোর তরঙ্গ, গামা রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Li
B
Na
C
Ca
D
Ag
পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহকে তাদের গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত হাইড্রোজেন ব্যতীত সমস্ত মৌল ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এদের বিশেষ ধর্ম হলো, পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করা।
-
প্রতিটি মৌল একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয় এবং আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2 এ থাকা মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল, তবে প্রতিটি দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে এবং এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের নামকরণ হয়েছে কারণ প্রকৃতিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে পাওয়া যায়।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metals)
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর মাত্র তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রুপা (Ag), সোনা (Au)।
0
Updated: 1 month ago