অপটিক্যাল ফাইবারের অভ্যন্তরীণ অংশকে কী বলা হয়?
A
ক্ল্যাড
B
শেল
C
কোর
D
রিফ্লেক্টর
উত্তরের বিবরণ
অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু কাচের তন্তু যা বর্তমানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক তারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে তথ্য বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হতো, সেখানে এখন আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। মুক্ত অবস্থায় আলো সরলরেখায় চলে, কিন্তু ফাইবারের ভিতরে আলো আটকা পড়ে থাকে, তাই ফাইবারকে ঘুরিয়ে বা পেঁচিয়ে যেকোনো দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
-
অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতরের অংশকে কোর (core) এবং বাইরের অংশকে ক্ল্যাড (clad) বলা হয়।
-
উভয় অংশই একই কাচের তৈরি হলেও কোরের প্রতিসরণাঙ্ক ক্ল্যাডের চেয়ে বেশি।
-
এ কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলো কোরের মধ্যে আটকা পড়ে বহু দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়।
-
আলোর শোষণ ফাইবারে খুবই কম হওয়ায় আলো শত শত কিলোমিটার দূরে প্রেরণ করা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোতে শোষণ বেশি হওয়ায় ফাইবারে সাধারণত লম্বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
কর্পূর কোন ধরনের পদার্থ?
Created: 16 hours ago
A
অদাহ্য পদার্থ
B
উদ্বায়ী পদার্থ
C
অদ্রব্য পদার্থ
D
তড়িৎ পরিবাহী পদার্থ
পদার্থের অবস্থা বলতে বোঝায় কোনো পদার্থ তার রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত রেখে ভিন্ন ভিন্ন আকার বা অবস্থায় প্রকাশিত হতে পারে। পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্পর্কিত।
-
পদার্থের ভৌত অবস্থার মধ্যে রয়েছে ঘনত্ব, স্থায়িত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, দ্রাব্যতা, চৌম্বক ধর্ম, আলোতে প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
-
পদার্থ সাধারণত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় পাওয়া যায়।
-
তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়।
-
যেমন, কঠিন বরফকে তাপ দিলে তরল পানি হয় এবং পানিকে আরও তাপ দিলে গ্যাসীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বিপরীতে, জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা করলে তরল পানি এবং পানি ঠাণ্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
-
কিছু বিশেষ পদার্থ যেমন কর্পূর, আয়োডিন, নিশাদল ইত্যাদি কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। আবার শীতল হলে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে সরাসরি কঠিন অবস্থায় ফিরে আসে।
-
এসব পদার্থকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে-
Created: 6 days ago
A
হাইড্রোজেন
B
নাইট্রোজেন
C
মিথেন
D
ইথেন
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জ্বালানি যা মূলত হাইড্রোকার্বনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন।
-
সাধারণভাবে এতে থাকে: মিথেন ৮০%–৯০%, ইথেন ১৩%, এবং প্রোপেন ৩%।
-
এটি মূলত কম সংখ্যক কার্বন বিশিষ্ট হাইড্রোকার্বনের (C1–C4) একটি মিশ্রণ।
-
এছাড়াও এতে বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন প্রভৃতি উপাদানও থাকে।
-
বাংলাদেশের প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি, যা প্রায় ৯৫%–৯৯% পর্যন্ত হয়।

0
Updated: 6 days ago
শব্দ তরঙ্গের গতি কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি?
Created: 16 hours ago
A
কঠিন
B
তরল
C
শূন্য
D
বায়ুবীয়
শব্দ তরঙ্গ হলো এমন এক প্রকার তরঙ্গ যা সৃষ্টি, সঞ্চালন এবং গ্রহণের জন্য উৎস, মাধ্যম ও রিসিভারের প্রয়োজন হয়। মানুষের ক্ষেত্রে শব্দ তৈরি হয় মূলত ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস গলার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় স্বরযন্ত্রে (Larynx) কম্পন ঘটানোর মাধ্যমে। স্বরযন্ত্রে দুটি ভোকাল কর্ড (Vocal Cord) থাকে, যেগুলো ভালভের মতো কাজ করে। বাতাস বের হওয়ার সময় এগুলো কাঁপলে শব্দ তৈরি হয়। বয়সের কারণে পুরুষের ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যায় আর নারীর ভোকাল কর্ড তুলনামূলক কোমল থাকে। এজন্য পুরুষরা কম কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর মোটা হয়; অন্যদিকে নারীরা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর তীক্ষ্ণ শোনায়।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ বস্তুকণার কম্পনের ফলে এটি সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
-
শব্দ একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ তরঙ্গের সঞ্চালনের দিক এবং মাধ্যমের কণার কম্পনের দিক এক।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
-
বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম, তরলে এর বেগ বেশি এবং কঠিনে সবচেয়ে বেশি।
-
শব্দের বেগ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভরশীল।
-
শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা বিস্তারের (Amplitude) বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ বিস্তার যত বেশি, তীব্রতাও তত বেশি হয়; বিস্তার কম হলে তীব্রতাও কম হয়।
-
অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দ তরঙ্গও প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটাতে সক্ষম।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago