তড়িৎ প্রবাহ যদি এক দিকেই প্রবাহিত হয়, তবে সেটাকে কী বলা হয়?
A
এসি প্রবাহ
B
ডিসি প্রবাহ
C
পরিবর্তী প্রবাহ
D
পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ প্রবাহ হলো ইলেকট্রনের প্রবাহ যা দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে পরিবাহী তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করলে সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ বিভব পার্থক্য থাকে, ততক্ষণ এই প্রবাহ চলতে থাকে। মূলত, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, সেটিই তড়িৎ প্রবাহ। প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত। তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার (A)।
-
প্রতি একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে কাজ সম্পন্ন হয়, তা হলো ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব পার্থক্য।
-
দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য না থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না, ফলে কোনো কাজও হবে না।
তড়িৎ প্রবাহের প্রকার:
(ক) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (ডিসি বা একমুখী প্রবাহ):
-
এই প্রবাহের দিক সময়সীমার সঙ্গে পরিবর্তন হয় না, সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
উৎস: তড়িৎ কোষ (ব্যাটারি) বা ডিসি জেনারেটর।
(খ) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (এসি বা পরিবর্তী প্রবাহ):
-
নির্দিষ্ট সময় অন্তর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়।
-
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বিদ্যুৎ পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ হিসেবে সরবরাহ করা হয়, কারণ এটি উৎপাদন ও সরবরাহে সহজ ও সাশ্রয়ী।
-
উৎস: জেনারেটর বা ডায়নামো।
-
বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলাে-
Created: 1 month ago
A
হাইড্রোজেন
B
নাইট্রোজেন
C
মিথেন
D
ইথেন
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জ্বালানি যা মূলত হাইড্রোকার্বনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন।
-
সাধারণভাবে এতে থাকে: মিথেন ৮০%–৯০%, ইথেন ১৩%, এবং প্রোপেন ৩%।
-
এটি মূলত কম সংখ্যক কার্বন বিশিষ্ট হাইড্রোকার্বনের (C1–C4) একটি মিশ্রণ।
-
এছাড়াও এতে বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন প্রভৃতি উপাদানও থাকে।
-
বাংলাদেশের প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি, যা প্রায় ৯৫%–৯৯% পর্যন্ত হয়।
0
Updated: 1 month ago
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করতে কী ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
জেনারেটর
B
স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার
C
সার্কিট ব্রেকার
D
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার
তড়িতের সিস্টেম লস
-
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে বিদ্যুৎকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
-
বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য প্রথমে সাব-স্টেশনে পাঠানো হয়।
-
এরপর সাব-স্টেশন থেকে বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে।
-
বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য যে পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয়, তার কিছু পরিমাণ রোধ (Resistance, R) থাকে।
-
কোনো রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ (I) গেলে, সবসময় I²R তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ শক্তির কিছু অংশ ক্ষয় বা লস হয়।
-
নির্দিষ্ট বিদ্যুৎ শক্তির জন্য উচ্চ ভোল্টেজে সরবরাহ করলে রোধজনিত তাপ লস কম হয়।
-
এজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত শক্তিকে স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়।
-
গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎকে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য ভোল্টেজে নামানো হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পিভিসি পাইপ তৈরির জন্য কোন ধরনের মনোমার ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
ফিনাইল ক্লোরাইড
B
নাইলন
C
ইথিলিন
D
ভিনাইল ক্লোরাইড
পলিমার হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একধরনের পদার্থ, যা অনেক ছোট ছোট মনোমার অণু একত্রে যুক্ত হয়ে তৈরি হয়। পলিমার দিয়ে তৈরি বস্তু যেমন—পলিথিন ব্যাগ, পিভিসি পাইপ, সুইচ বোর্ড, কাপড় ও রাবার আমাদের জীবনকে সহজ করেছে।
পলিমার সম্পর্কিত তথ্য
-
পলিমার (Polymer) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ পলি (Poly) অর্থাৎ “অনেক” এবং মেরোস (Meros) অর্থাৎ “অংশ” থেকে।
-
ছোট ছোট মনোমার অণু পরপর যুক্ত হয়ে বড় আকারের অণু গঠন করলে সেটিকে পলিমার বলা হয়।
-
যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয় তাকে মনোমার (Monomer) বলে।
-
পলিথিন ব্যাগ হলো ইথিলিন নামক মনোমার থেকে তৈরি এক ধরনের পলিমার।
-
পিভিসি পাইপ (PVC) তৈরি হয় ভিনাইল ক্লোরাইড মনোমার থেকে।
-
সব পলিমার একক মনোমার থেকে তৈরি হয় না; একাধিক মনোমার থেকেও পলিমার তৈরি হতে পারে।
-
উদাহরণ: বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডে ব্যবহৃত ব্যাকেলাইট, যা গঠিত হয় ফেনল ও ফরমালডিহাইড নামক দুটি মনোমার থেকে।
-
একইভাবে, মেলামাইনের থালা-বাসন হলো মেলামাইন রেজিন নামক পলিমার, যা মেলামাইন ও ফরমালডিহাইড নামের দুটি মনোমার থেকে তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক পলিমার
-
পাট, সিল্ক, সুতি কাপড়, রাবার ইত্যাদি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং এগুলোই হলো প্রাকৃতিক পলিমার।
কৃত্রিম পলিমার
-
মেলামাইন, রেজিন, ব্যাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিন প্রভৃতি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না; এগুলো শিল্পকারখানায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago