বৈদ্যুতিক মোটর কী রূপান্তর ঘটায়?
A
তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে
B
তড়িৎ শক্তিকে তাপ শক্তিতে
C
শব্দ শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে
D
তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে
উত্তরের বিবরণ
শক্তি বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত করা যায়। প্রতিটি যন্ত্রের কাজ অনুযায়ী শক্তির রূপান্তর নির্ধারিত হয়।
-
মাইক্রোফোন → শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
বৈদ্যুতিক মোটর → তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
জেনারেটর বা ডায়নামো → যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
লাউড স্পীকার ও বৈদ্যুতিক ঘন্টা → বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি → বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দিলে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
তড়িৎ প্রবাহ যদি এক দিকেই প্রবাহিত হয়, তবে সেটাকে কী বলা হয়?
Created: 16 hours ago
A
এসি প্রবাহ
B
ডিসি প্রবাহ
C
পরিবর্তী প্রবাহ
D
পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ
তড়িৎ প্রবাহ হলো ইলেকট্রনের প্রবাহ যা দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে পরিবাহী তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করলে সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ বিভব পার্থক্য থাকে, ততক্ষণ এই প্রবাহ চলতে থাকে। মূলত, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, সেটিই তড়িৎ প্রবাহ। প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত। তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার (A)।
-
প্রতি একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে কাজ সম্পন্ন হয়, তা হলো ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব পার্থক্য।
-
দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য না থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না, ফলে কোনো কাজও হবে না।
তড়িৎ প্রবাহের প্রকার:
(ক) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (ডিসি বা একমুখী প্রবাহ):
-
এই প্রবাহের দিক সময়সীমার সঙ্গে পরিবর্তন হয় না, সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
উৎস: তড়িৎ কোষ (ব্যাটারি) বা ডিসি জেনারেটর।
(খ) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ (এসি বা পরিবর্তী প্রবাহ):
-
নির্দিষ্ট সময় অন্তর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়।
-
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বিদ্যুৎ পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ হিসেবে সরবরাহ করা হয়, কারণ এটি উৎপাদন ও সরবরাহে সহজ ও সাশ্রয়ী।
-
উৎস: জেনারেটর বা ডায়নামো।
-
বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
কোন তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?
Created: 16 hours ago
A
০° সেলসিয়াস
B
২৩° সেলসিয়াস
C
৪° সেলসিয়াস
D
১০০° সেলসিয়াস
পানি এবং তার বৈশিষ্ট্য
-
বিশুদ্ধ পানি স্বাদহীন, গন্ধহীন এবং বর্ণহীন।
-
পানির ঘনত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
-
পানির ঘনত্ব সর্বাধিক ৪° সেলসিয়াসে, যা ১ গ্রাম/সেন্টিমিটার³ বা ১০০০ কেজি/মিটার³।
-
অর্থাৎ, ১ সি.সি. পানির ভর = ১ গ্রাম
-
১ কিউবিক মিটার পানির ভর = ১০০০ কেজি
-
-
বরফের গলনাংক: যে তাপমাত্রায় বরফ গলে যায়, সেটিই বরফের গলনাংক, যা ০° সেলসিয়াস।
-
পানির স্ফুটনাংক: যে তাপমাত্রায় পানি বাষ্পে পরিণত হয় বায়ুমণ্ডলীয় চাপে, সেটিই পানির স্ফুটনাংক, যা ১০০° সেলসিয়াস।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র কোনটি?
Created: 2 days ago
A
ল্যাকটোমিটার
B
স্পিডোমিটার
C
ব্যারোমিটার
D
থার্মোমিটার
বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র – ব্যারোমিটার
-
ব্যারোমিটার:
-
টরেসিলি (Torricelli) ১৬৪৩ সালে আবিষ্কার করেন। তিনি তরল তলের উচ্চতা ও বায়ুচাপের সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে প্রথম বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পরিমাপের যন্ত্র তৈরি করেন।
-
ব্যারোমিটারে পারদ স্তম্ভের উচ্চতা বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পরিমাপের মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।
-
আদর্শ বায়ুচাপ = 76 সেমি পারদ স্তম্ভের ওজনের সমান।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ যন্ত্র:
-
থার্মোমিটার: তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র।
-
স্পিডোমিটার: কোনো গাড়ির গতি পরিমাপের যন্ত্র।
-
ল্যাকটোমিটার: দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের যন্ত্র।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago