নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পারমাণবিক সংখ্যা কী নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
ইলেকট্রনের সংখ্যা
B
নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা
C
পরমাণুর ভর
D
নিউট্রনের সংখ্যা
পারমাণবিক সংখ্যা হলো একটি মৌলের নিউক্লিয়াসে থাকা প্রোটনের সংখ্যা।
-
কোন মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতটি প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাকেই পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা বলা হয়।
-
পারমাণবিক সংখ্যা সাধারণত Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
সোডিয়ামের নিউক্লিয়াসে 11টি প্রোটন থাকে, তাই সোডিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা Z = 11।
-
ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা Z = 17।
-
-
মৌলের রাসায়নিক ধর্ম পারমাণবিক সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
-
রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন অংশগ্রহণ করে এবং ইলেকট্রন সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা পরিবর্তিত হয় না।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ নয়?
Created: 1 month ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
বেতার তরঙ্গ
C
আলোক তরঙ্গ
D
পানির তরঙ্গ
তরঙ্গ এবং তাদের প্রকারভেদ
তরঙ্গ:
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave) বলা হয়।
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, তাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) বলা হয়।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় মাধ্যমের কণার স্পন্দনের মাধ্যমে।
যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রকার:
১. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমকোণ তৈরি করে।
-
উদাহরণ: পানির ঢেউ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি।
-
উদাহরণ ব্যাখ্যা: পানির কণাগুলো উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমান্তরাল।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং এর তরঙ্গ ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
খর পানিতে উত্তম ফেনা তৈরি করে কোনটি?
Created: 1 month ago
A
এসিড
B
সাবান
C
ইমালশান
D
ডিটারজেন্ট
পরিষ্কারক উপাদান হলো এমন পদার্থ যা দেহ, কাপড় বা অন্যান্য বস্তু পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। আধুনিক জীবনে সাবান ছাড়াও ডিটারজেন্ট, ইমালশন, পলিশ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
ডিটারজেন্ট সম্পর্কিত তথ্য
-
ডিটারজেন্ট মূলত সিনথেটিক পদার্থ থেকে প্রস্তুত করা হয়।
-
সিনথেটিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল: পেট্রোলিয়াম উপজাতসমূহ, সাবান তৈরির উপাদান, উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ চর্বি ইত্যাদি।
-
ডিটারজেন্টে প্রায়শই থাকে গন্ধদ্রব্য, রঙ এবং কখনো জীবাণুনাশক পদার্থ।
-
ডিটারজেন্ট খর পানিতে কাজ করে এবং উত্তম ফেনা তৈরি করে।
-
লবণের সাথে বিক্রিয়ায় দই বা চুন উৎপন্ন হয় না।
-
ডিটারজেন্টের কঠিন তলে ঢোকার ক্ষমতা বেশি।
-
ঠান্ডা পানিতে ডিটারজেন্ট গলে যায়, কিন্তু সাবান ঠান্ডা পানিতে সহজে গলে না।
0
Updated: 1 month ago