নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
A
Ra
B
Th
C
Na
D
Rn
উত্তরের বিবরণ
Na (সোডিয়াম) কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো এমন সব উপাদান যাদের ভারী নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে বিশেষ ধরনের বিকিরণ বা নিঃসরণ করে। এ প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে হেনরি বেকারেল আবিষ্কার করেন।
-
এর SI একক হলো বেকেরেল (Bq), যা আবিষ্কারকের নামানুসারে নির্ধারিত।
-
সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি।
-
উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ধ্বংস করে এবং খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অপটিক্যাল ফাইবারের অভ্যন্তরীণ অংশকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
ক্ল্যাড
B
শেল
C
কোর
D
রিফ্লেক্টর
অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু কাচের তন্তু যা বর্তমানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক তারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। আগে যেখানে তথ্য বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হতো, সেখানে এখন আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। মুক্ত অবস্থায় আলো সরলরেখায় চলে, কিন্তু ফাইবারের ভিতরে আলো আটকা পড়ে থাকে, তাই ফাইবারকে ঘুরিয়ে বা পেঁচিয়ে যেকোনো দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
-
অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতরের অংশকে কোর (core) এবং বাইরের অংশকে ক্ল্যাড (clad) বলা হয়।
-
উভয় অংশই একই কাচের তৈরি হলেও কোরের প্রতিসরণাঙ্ক ক্ল্যাডের চেয়ে বেশি।
-
এ কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলো কোরের মধ্যে আটকা পড়ে বহু দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়।
-
আলোর শোষণ ফাইবারে খুবই কম হওয়ায় আলো শত শত কিলোমিটার দূরে প্রেরণ করা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোতে শোষণ বেশি হওয়ায় ফাইবারে সাধারণত লম্বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
’সাহারা মরুভূমি’ উত্তর আফ্রিকার কতটি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১টি
B
৬টি
C
১৫টি
D
৮টি
ঠিক আছে, তথ্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংক্ষেপে:
সাহারা মরুভূমি:
-
বিশ্বের বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি।
-
আয়তন: প্রায় ৯,২০০,০০০ বর্গকিমি।
-
আফ্রিকার প্রায় ৩১% অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
-
অবস্থান: উত্তর আফ্রিকার ১১টি দেশে বিস্তীর্ণ।
উক্ত দেশসমূহ: আলজেরিয়া, মিশর, লিবিয়া, সুদান, মরক্কো, তিউনিশিয়া, চাদ, মালি, নাইজার, মরিতানিয়া, পশ্চিম সাহারা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সাবান তৈরির সময় উপজাত হিসেবে কী পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
লবণ
B
গ্লিসারিন
C
গ্রাফাইট
D
ডিটারজেন্ট
সাবান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ পরিষ্কারক উপাদান, যা দেহ ও কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করার জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়। আধুনিক জীবনে সাবানের পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, ইমালশন ও পলিশের মতো অন্যান্য পরিষ্কারকও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাবান সম্পর্কিত তথ্য
-
কাপড় কাচার সাবান মূলত সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa) দ্বারা গঠিত।
-
শেভিং ফোম বা জেলে থাকে পটাশিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COOK)।
-
কাপড় কাচার সোডা হিসেবে ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম কার্বোনেট (Na2CO3)।
-
সাবান আসলে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ।
-
সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো তেল বা চর্বি।
-
তেল বা চর্বিকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) অথবা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH)-এর দ্রবণ দ্বারা আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে যথাক্রমে সোডিয়াম সাবান বা পটাশিয়াম সাবান উৎপন্ন হয়।
-
সাবান উৎপাদনের সময় উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় গ্লিসারিন।
0
Updated: 1 month ago