শব্দ তরঙ্গের গতি কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি?
A
কঠিন
B
তরল
C
শূন্য
D
বায়ুবীয়
উত্তরের বিবরণ
শব্দ তরঙ্গ হলো এমন এক প্রকার তরঙ্গ যা সৃষ্টি, সঞ্চালন এবং গ্রহণের জন্য উৎস, মাধ্যম ও রিসিভারের প্রয়োজন হয়। মানুষের ক্ষেত্রে শব্দ তৈরি হয় মূলত ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস গলার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় স্বরযন্ত্রে (Larynx) কম্পন ঘটানোর মাধ্যমে। স্বরযন্ত্রে দুটি ভোকাল কর্ড (Vocal Cord) থাকে, যেগুলো ভালভের মতো কাজ করে। বাতাস বের হওয়ার সময় এগুলো কাঁপলে শব্দ তৈরি হয়। বয়সের কারণে পুরুষের ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যায় আর নারীর ভোকাল কর্ড তুলনামূলক কোমল থাকে। এজন্য পুরুষরা কম কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর মোটা হয়; অন্যদিকে নারীরা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর তীক্ষ্ণ শোনায়।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ বস্তুকণার কম্পনের ফলে এটি সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
-
শব্দ একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ তরঙ্গের সঞ্চালনের দিক এবং মাধ্যমের কণার কম্পনের দিক এক।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
-
বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম, তরলে এর বেগ বেশি এবং কঠিনে সবচেয়ে বেশি।
-
শব্দের বেগ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভরশীল।
-
শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা বিস্তারের (Amplitude) বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ বিস্তার যত বেশি, তীব্রতাও তত বেশি হয়; বিস্তার কম হলে তীব্রতাও কম হয়।
-
অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দ তরঙ্গও প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটাতে সক্ষম।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
এক্স-রের কোন বৈশিষ্ট্য সঠিক?
Created: 1 month ago
A
এক্স-রে সরল পথে গমন করে
B
এক্স-রে আলোর চেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারণ করে
C
এক্স-রে বিক্ষিপ্ত হয় তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা
D
এক্স-রে গ্যাসের মধ্য দিয়ে গমনকালে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
এক্স-রে (X-Rays) হলো এমন এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি যা ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলিয়াম রঞ্জন আবিষ্কার করেন। পরে একে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকা হয়। এক্স-রে তখন সৃষ্টি হয় যখন উচ্চগতির ইলেকট্রন কোনো ধাতব প্রতিবন্ধকের (Target) সাথে সংঘর্ষে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তার গতিশক্তি এক্স-রেতে রূপান্তরিত হয়।
এক্স-রের বৈশিষ্ট্য:
-
এক্স-রে সরল পথে চলে।
-
এক্স-রে অদৃশ্য, সাধারণ আলো রেটিনায় পড়লে দেখা যায় কিন্তু এক্স-রে দেখার অনুভূতি জাগায় না।
-
এটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এক্স-রের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট।
-
এক্স-রে আলোর সমবেগে (≈ 3×10⁸ m/s) চলে।
-
আলোর মতো এক্স-রে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, অপবর্তন ও পোলারাইজেশন করতে পারে।
-
এক্স-রে আলোর তড়িৎক্রিয়া প্রদর্শন করে।
-
এক্স-রে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
এক্স-রে তড়িৎ ক্ষেত্র বা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না, অর্থাৎ কোনো চার্জ নেই।
-
এক্স-রে গ্যাসকে আয়নিত করতে সক্ষম।
-
এক্স-রে প্রতিপ্রভা (fluorescence) সৃষ্টি করতে পারে।
-
এক্স-রের ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক।
-
এক্স-রে জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
তেঁতুলে কোন জৈব এসিড বিদ্যমান?
Created: 1 month ago
A
টারটারিক এসিড
B
ল্যাকটিক এসিড
C
কার্বনিক এসিড
D
ইথানোয়িক এসিড
জৈব ও অজৈব এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় এবং এগুলোর ব্যবহার ও প্রভাবও ভিন্ন। নিচে এর প্রধান উদাহরণগুলো দেওয়া হলো।
জৈব এসিড
-
জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকে।
-
তেঁতুলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড।
-
টকদইয়ের মধ্যে থাকে ল্যাকটিক এসিড।
-
বাজারে কাঁচের বোতলে যে ভিনেগার পাওয়া যায় তা আসলে ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH)-এর ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
বাজারে পাওয়া সফট ড্রিংকস আসলে কার্বনিক এসিড-এর দ্রবণ।
-
পাকস্থলির দেয়াল থেকে উৎপন্ন হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক অণুজীব ধ্বংস করে। তবে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হয়। সে ক্ষেত্রে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) অথবা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় এসিডকে নিরপেক্ষ করার জন্য।
অজৈব এসিড
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ও সালফিউরিক এসিড (H2SO4) অজৈব এসিডের উদাহরণ।
-
এদের পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়।
-
কেবলমাত্র জলীয় দ্রবণ অবস্থায় এরা এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস-এর নিজস্ব কোনো এসিড ধর্ম নেই, তবে পানিতে দ্রবীভূত হলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ নয়?
Created: 1 month ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
বেতার তরঙ্গ
C
আলোক তরঙ্গ
D
পানির তরঙ্গ
তরঙ্গ এবং তাদের প্রকারভেদ
তরঙ্গ:
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave) বলা হয়।
-
যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, তাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) বলা হয়।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় মাধ্যমের কণার স্পন্দনের মাধ্যমে।
যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রকার:
১. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমকোণ তৈরি করে।
-
উদাহরণ: পানির ঢেউ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি।
-
উদাহরণ ব্যাখ্যা: পানির কণাগুলো উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave):
-
যে তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমান্তরাল।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং এর তরঙ্গ ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago