১ ক্যালরি কত জুলের সমান?
A
২.৫ জুল
B
৩.৫ জুল
C
৪.২ জুল
D
৫.১ জুল
উত্তরের বিবরণ
তাপ হলো পদার্থের অভ্যন্তরে অণুসমূহের গতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের কাছে গরম ও ঠান্ডার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি মূলত শক্তির একটি রূপ, তাই শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
তাপের SI একক জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ক্যালরি ব্যবহার করা হতো, যা মেট্রিক পদ্ধতির একক এবং এখনো পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
১ ক্যালরি (Cal) হলো ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১° C বাড়াতে বা কমাতে যত তাপ প্রয়োজন।
-
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল, অর্থাৎ ৪.২ জুল যান্ত্রিক শক্তি ১ ক্যালরি তাপের সমতুল্য।
-
তাপ পরিমাপের যন্ত্র হলো ক্যালরিমিটার।
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি ঘটে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে।
-
দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শব্দ তরঙ্গের গতি কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
কঠিন
B
তরল
C
শূন্য
D
বায়ুবীয়
শব্দ তরঙ্গ হলো এমন এক প্রকার তরঙ্গ যা সৃষ্টি, সঞ্চালন এবং গ্রহণের জন্য উৎস, মাধ্যম ও রিসিভারের প্রয়োজন হয়। মানুষের ক্ষেত্রে শব্দ তৈরি হয় মূলত ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস গলার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় স্বরযন্ত্রে (Larynx) কম্পন ঘটানোর মাধ্যমে। স্বরযন্ত্রে দুটি ভোকাল কর্ড (Vocal Cord) থাকে, যেগুলো ভালভের মতো কাজ করে। বাতাস বের হওয়ার সময় এগুলো কাঁপলে শব্দ তৈরি হয়। বয়সের কারণে পুরুষের ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যায় আর নারীর ভোকাল কর্ড তুলনামূলক কোমল থাকে। এজন্য পুরুষরা কম কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর মোটা হয়; অন্যদিকে নারীরা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর তীক্ষ্ণ শোনায়।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ বস্তুকণার কম্পনের ফলে এটি সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
-
শব্দ একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ তরঙ্গের সঞ্চালনের দিক এবং মাধ্যমের কণার কম্পনের দিক এক।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
-
বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম, তরলে এর বেগ বেশি এবং কঠিনে সবচেয়ে বেশি।
-
শব্দের বেগ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভরশীল।
-
শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা বিস্তারের (Amplitude) বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ বিস্তার যত বেশি, তীব্রতাও তত বেশি হয়; বিস্তার কম হলে তীব্রতাও কম হয়।
-
অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দ তরঙ্গও প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটাতে সক্ষম।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যবর্তী সীমারেখা?
Created: 1 month ago
A
সিগফ্রিড লাইন
B
লাইন অব কন্ট্রোল
C
ম্যানারহেইম রেখা
D
হিনডেন বার্গ লাইন
ঠিক আছে, তথ্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংক্ষেপে:
সিগফ্রেড লাইন: জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যবর্তী সীমারেখা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সীমারেখা:
-
ম্যাকমোহন লাইন: ভারত ও চীন
-
র্যাডক্লিফ লাইন: ভারত ও পাকিস্তান
-
ডুরান্ড লাইন: পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
-
লাইন অব কন্ট্রোল (LOC): ভারত ও পাকিস্তান
-
ম্যাগিনট লাইন: জার্মানি ও ফ্রান্স
-
ম্যানারহেম রেখা: রাশিয়া ও ফিনল্যান্ড
-
লাইন অব ডিমারকেশন: পর্তুগাল ও স্পেন
-
সিগফ্রেড লাইন: জার্মানি ও ফ্রান্স
-
হিনডেনবার্গ লাইন: জার্মানি ও পোল্যান্ড
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
উপধাতু
B
ধাতু
C
অধাতু
D
খনিজ
ধাতু হলো এমন একটি পদার্থ যা চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
পদার্থের শ্রেণীবিভাগ:
-
সকল পদার্থ দুই প্রকার মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত: ধাতু ও অধাতু।
-
ধাতু উদাহরণ: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, সিলভার, গোল্ড, কপার, জিংক ইত্যাদি।
-
অধাতু উদাহরণ: কয়লা (কার্বন), সালফার, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি।
-
প্রকৃতিতে প্রায় সকল ধাতু ও অধাতু যৌগিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
কয়লা, সালফার ও কিছু পরিমাণ গোল্ড মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
যে ধাতু ও অধাতু অধিক সক্রিয়, তাদের যৌগ বেশি পরিমাণে, এবং কম সক্রিয় পদার্থের যৌগ কম পরিমাণে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
ধাতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
ঘাতসহনীয়তা: ধাতুকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারে আনা যায়।
-
নমনীয়তা: ধাতুকে বাঁকানো যায়।
-
উজ্জ্বলতা: আলোক প্রতিফলনের কারণে ধাতু চকচকে দেখায়।
-
পরিবাহিতা: ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
-
ধাতব শব্দ: আঘাত করলে ধাতু টুন-টুন শব্দ করে।
-
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: ধাতুসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অত্যন্ত বেশি (তবে পারদ সাধারণ তাপমাত্রায় তরল)।
-
ঘনত্ব: ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় বেশি।
0
Updated: 1 month ago