কর্পূর কোন ধরনের পদার্থ?
A
অদাহ্য পদার্থ
B
উদ্বায়ী পদার্থ
C
অদ্রব্য পদার্থ
D
তড়িৎ পরিবাহী পদার্থ
উত্তরের বিবরণ
পদার্থের অবস্থা বলতে বোঝায় কোনো পদার্থ তার রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত রেখে ভিন্ন ভিন্ন আকার বা অবস্থায় প্রকাশিত হতে পারে। পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্পর্কিত।
-
পদার্থের ভৌত অবস্থার মধ্যে রয়েছে ঘনত্ব, স্থায়িত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, দ্রাব্যতা, চৌম্বক ধর্ম, আলোতে প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
-
পদার্থ সাধারণত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় পাওয়া যায়।
-
তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়।
-
যেমন, কঠিন বরফকে তাপ দিলে তরল পানি হয় এবং পানিকে আরও তাপ দিলে গ্যাসীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বিপরীতে, জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা করলে তরল পানি এবং পানি ঠাণ্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
-
কিছু বিশেষ পদার্থ যেমন কর্পূর, আয়োডিন, নিশাদল ইত্যাদি কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। আবার শীতল হলে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে সরাসরি কঠিন অবস্থায় ফিরে আসে।
-
এসব পদার্থকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয়।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
একটি কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ কিনা তা কিভাবে নির্ণয় করা যায়?
Created: 2 days ago
A
ঘনীভবন
B
বাষ্পীভবন
C
গলনাঙ্ক
D
স্ফুটনাংক
গলনাঙ্ক (Melting Point)
-
কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা গলনাঙ্ক দ্বারা নির্ণয় করা যায়।
-
যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলতে শুরু করে, সেটিকে গলনাঙ্ক বলা হয়।
-
যদি কঠিন পদার্থে অপদ্রব্য বা দূষণ মিশ্রিত থাকে, তবে পদার্থটি আসল গলনাঙ্কে গলবে না।
তুলনায়:
-
তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে কোন তরল বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা জানা যায়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 1 week ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
তেজস্ক্রিয়তা প্রথম আবিষ্কার করেন কে?
Created: 2 days ago
A
আইজ্যাক নিউটন
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
হেনরি বেকারেল
D
মেরি কুরি
তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity)
-
বিশেষ ধরনের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন কণা ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গত করলে যে প্রক্রিয়া ঘটে তাকে তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
১৮৯৬ সালে হেনরি বেকারেল তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।
তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব ও ক্ষতি:
-
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে ছড়িয়ে যাওয়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ মাটির দূষণ ঘটায়।
-
উদাহরণ: রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U)।
-
এই পদার্থ শুধুমাত্র মাটির উর্বরতা নষ্ট করে না, প্রাণী ও মানুষের ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
-
উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ও উদ্ভিদ মারা যাওয়ার কারণ হয়।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago