কর্পূর কোন ধরনের পদার্থ?
A
অদাহ্য পদার্থ
B
উদ্বায়ী পদার্থ
C
অদ্রব্য পদার্থ
D
তড়িৎ পরিবাহী পদার্থ
উত্তরের বিবরণ
পদার্থের অবস্থা বলতে বোঝায় কোনো পদার্থ তার রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত রেখে ভিন্ন ভিন্ন আকার বা অবস্থায় প্রকাশিত হতে পারে। পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্পর্কিত।
-
পদার্থের ভৌত অবস্থার মধ্যে রয়েছে ঘনত্ব, স্থায়িত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, দ্রাব্যতা, চৌম্বক ধর্ম, আলোতে প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
-
পদার্থ সাধারণত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় পাওয়া যায়।
-
তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়।
-
যেমন, কঠিন বরফকে তাপ দিলে তরল পানি হয় এবং পানিকে আরও তাপ দিলে গ্যাসীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বিপরীতে, জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা করলে তরল পানি এবং পানি ঠাণ্ডা করলে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
-
কিছু বিশেষ পদার্থ যেমন কর্পূর, আয়োডিন, নিশাদল ইত্যাদি কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। আবার শীতল হলে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে সরাসরি কঠিন অবস্থায় ফিরে আসে।
-
এসব পদার্থকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সিমেন্টের জমাট বাঁধা প্রক্রিয়াকে মন্থর করতে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
পানি
B
চুন
C
জিপসাম
D
বালি
সিমেন্ট সেটিং-এ জিপসামের ভূমিকা হলো সিমেন্টের জমাট বাঁধা প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা।
-
সিমেন্টের উপাদান ট্রাইক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট (3CaO.Al₂O₃) সিমেন্টকে দ্রুত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
-
জিপসাম (CaSO₄·2H₂O) ট্রাইক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেটের সাথে বিক্রিয়া করে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম সালফো অ্যালুমিনেট তৈরি করে।
-
এর ফলে সিমেন্টের দ্রুত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে যায় এবং উৎপন্ন কঠিন পদার্থের দৃঢ়তা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
-
সংক্ষেপে, জিপসাম সিমেন্টের সেটিং সময় নিয়ন্ত্রণ করে।
রসায়নিক সমীকরণ:
3CaO.Al₂O₃ + 3(CaSO₄·2H₂O) + 2H₂O → 3CaO.Al₂O₃·3CaSO₄·2H₂O + 6H₂O
0
Updated: 1 month ago
কোন তত্ত্বটি আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (photoelectric effect) ব্যাখ্যা করে?
Created: 1 month ago
A
তরঙ্গ তত্ত্ব
B
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব
C
কোয়ান্টাম তত্ত্ব
D
কণা তত্ত্ব
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আলোর তত্ত্বসমূহ
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
-
১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে নয়, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছ বা প্যাকেট (Quantum/Photon) আকারে বের হয়।
-
প্রতিটি কম্পাঙ্কের আলোর জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান থাকে।
-
প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ গুচ্ছগুচ্ছ প্যাকেট আকারে সংঘটিত হয়।
-
কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন আলোর তড়িৎক্রিয়ার রহস্য ব্যাখ্যা করেন এবং আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব (Electromagnetic Theory):
-
গতিশীল তড়িৎ ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্রুত পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনের ফলে শক্তির বিকিরণ ঘটে।
-
এর দৃশ্য তরঙ্গ হলো আলো, যা কোনও মাধ্যম ছাড়াই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তবে এই তত্ত্ব ফটোতড়িৎ প্রতিক্রিয়া ও কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ।
কণা তত্ত্ব (Particle Theory):
-
আলোকে কণা (Particle) দ্বারা গঠিত ধরা হয়, যা উৎস থেকে সব দিকে নিঃসৃত হয়ে সরলরেখায় চলে।
-
তবে এই তত্ত্ব আলোর বিচ্ছুরণ, অপবর্তন ও ব্যতিচার ব্যাখ্যা করতে পারে না।
তরঙ্গ তত্ত্ব (Wave Theory):
-
আলোকে তরঙ্গাকারে ধরা হয়, যা ইথার নামের কাল্পনিক মাধ্যমের মাধ্যমে সব দিকে নির্গত হয়।
-
আলোর বর্ণের বিভিন্নতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে।
-
তরঙ্গ তত্ত্ব আলোর অনেক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারে, তবে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা ইথারের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ট্রান্সফরমারের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
বিদ্যুত থেকে তাপ শক্তি তৈরি করা
B
যান্ত্রিক শক্তি থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি করা
C
বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা
D
বৈদ্যুতিক শক্তির ভোল্টেজ পরিবর্তন করা
ট্রান্সফরমার (Transformer) হলো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা ভোল্টেজ বাড়ানো বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি শুধুমাত্র পরিবর্তী প্রবাহ (AC) এর ক্ষেত্রে কার্যকর।
ট্রান্সফরমারের কাজ ও কাঠামো:
-
এটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র এবং তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ (electromagnetic induction) নীতি ব্যবহার করে কাজ করে।
-
ট্রান্সফরমারে দুটি কুণ্ডলী থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোরের উপর সারিবদ্ধভাবে পেঁচানো হয়।
-
এক কুণ্ডলীতে পরিবর্তনশীল প্রবাহ (AC) চালালে কোরে চৌম্বক বলের রেখা সৃষ্টি হয় এবং অন্য কুণ্ডলীতে উত্তেজনা (induced EMF) উৎপন্ন হয়।
-
এর মূল উদ্দেশ্য হলো একটি বর্তনী থেকে অন্য বর্তনীতে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তর করা এবং একই সাথে ভোল্টেজ ও প্রবাহের মান পরিবর্তন করা।
-
যন্ত্রটি শুধুমাত্র AC তে কাজ করে কারণ এটি চৌম্বকীয় ফ্লাক্সের পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।
ট্রান্সফরমারের প্রকারভেদ:
-
স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (Step-up Transformer):
-
নিম্ন ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করে।
-
মুখ্য কুণ্ডলীর পাকসংখ্যার চেয়ে গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা বেশি থাকে।
-
-
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার (Step-down Transformer):
-
উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তর করে।
-
মুখ্য কুণ্ডলীর পাকসংখ্যার চেয়ে গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা কম থাকে।
-
কাজের মূলনীতি:
-
মুখ্য কুণ্ডলীতে AC প্রয়োগ করলে কোরে চৌম্বক বলের রেখা সৃষ্টি হয়।
-
এই পরিবর্তনশীল চৌম্বক ফ্লাক্স গৌণ কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি (induced current) উৎপন্ন করে।
-
এর মাধ্যমে ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মান পরিবর্তন করা যায়।
0
Updated: 1 month ago