বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
উত্তরের বিবরণ
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বাংলা একাডেমির মূল ভবনের নাম কী ছিল?
Created: 1 week ago
A
মৈত্রী ভবন
B
বাংলা হাউস
C
বর্ধমান হাউস
D
সাহিত্য ভবন
বাংলা একাডেমি
-
বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫), ঢাকা।
-
বাংলা একাডেমির মূল ভবনের নাম বর্ধমান হাউস।
-
উদ্বোধন করেন আবু হোসেন সরকার।
-
১৯৬০ সালে ‘দি বেঙ্গলী একাডেমি অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে এটি সরকারি অর্থে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
প্রথম মহাপরিচালক: প্রফেসর মযহারুল ইসলাম।
-
প্রথম সভাপতি: মাওলানা আঁকরাম খাঁ।
-
১৯৬০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করছে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনকালকে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
C
রুকনুদ্দিন বারবক শাহ
D
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকালে বাংলায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শিল্প-সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে, যার কারণে তার শাসনকালকে প্রায়শই বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ:
-
তিনি হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
-
১৪৯৩ সালে ‘আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তার সময়ে আরাকান ও চট্টগ্রাম দখল করা হয়।
-
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার ভিত্তি প্রাধান্য পেত।
-
বাংলাকে রাজদরবারের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাকে নৃপতি তিলক, জগৎভূষণ, কৃষ্ণাবতার উপাধিতে অভিহিত করা হতো।
-
তার শাসনামলকে বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ:
-
জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন লঙ্গরখানা স্থাপন ও পানির কূপ খনন করেন।
-
বহু মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং খানকাহ নির্মাণ করেন।
-
বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেবকে সম্মান এবং ধর্ম প্রচারে সুবিধা প্রদান করেন।
-
তার সময়ে বিজয়গুপ্ত পদ্মপুরাণ, মনসা মঙ্গল, বিপ্রদাস মনসা বিজয়, যশোরাজ খান শ্রীকৃষ্ণ বিজয় কাব্য রচিত হয়।
-
মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
তিনি নিজেও শ্রীকৃষ্ণ বিজয় নামে একটি কাব্য রচনা করেন।
-
রাজত্বকালে গৌড়ের ‘ছোট সোনা’ মসজিদ নির্মিত হয়।
-
দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করার পর ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
’ছোট সোনামসজিদ’ কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
নওঁগা
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
বাগেরহাট
D
নাটোর
ছোট সোনামসজিদকে প্রায়শই ‘সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলীর গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
-
প্রধান প্রবেশপথের উপরিভাগে একটি শিলালিপি আছে, যার মাধ্যমে জানা যায় মসজিদটি মজলিস-ই-মাজালিস মজলিস মনসুর ওয়ালী মুহম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত। শিলালিপিতে সঠিক নির্মাণ তারিখের অক্ষরগুলো মুছে গেছে।
-
শিলালিপিতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ-এর নামের উল্লেখ থাকায় বোঝা যায় এটি তাঁর রাজত্বকালের (১৪৯৪-১৫১৯) কোনো এক সময় নির্মিত।
-
মসজিদটি বিশাল এক দিঘির দক্ষিণপাড়ের পশ্চিম অংশে অবস্থিত।
-
মসজিদের কিছু দূর পশ্চিমে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত আধুনিক দ্বিতল গেষ্ট হাউস রয়েছে।
-
গেষ্ট হাউস ও মসজিদের মধ্য দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে একটি রাস্তা গেছে, যা মনে হয় প্রাচীনকালের কোতোয়ালী দরওয়াজা হয়ে দক্ষিণের শহরতলীর সঙ্গে গৌড়-লখনৌতের মূল শহরকে সংযুক্ত করত।
-
ছোট সোনামসজিদ শাহবাজপুর ইউনিয়ন, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এ অবস্থিত।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago