কোন পর্যটক বাংলাকে 'প্রাচুর্যপূর্ণ নরক' বলে অভিহিত করেন?
A
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার
B
ইবনে বতুতা
C
ফা হিয়েন
D
হিউয়েন সাং
উত্তরের বিবরণ
ইবনে বতুতা ছিলেন মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক। তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ। বাংলায় সফরের উদ্দেশ্য তিনি নিজেই তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে উল্লেখ করেছেন; এটি ছিল কামরূপের পার্বত্য অঞ্চলে বিখ্যাত সুফিসাধক হযরত শাহজালাল মুজার্রদ-ই-ইয়েমেনীর দর্শন লাভ।
-
ইবনে বতুতা ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে ২১ বছর বয়সে বিশ্ব সফরে বের হন এবং আট বছরের মধ্যে সমগ্র উত্তর আফ্রিকা, আরব, পারস্য, ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরবর্তী অঞ্চল ও কনস্টান্টিনোপল পরিভ্রমণ করেন।
-
এরপর তিনি ভারতে আসেন এবং ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে পৌঁছে সুলতান মুহম্মদ বিন তুঘলকের অধীনে দীর্ঘ প্রায় আট বছর কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলায় সফর:
-
ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের শাসনকালে বাংলায় আসেন।
-
বাংলার যে শহরে প্রথম পৌঁছান (৯ জুলাই ১৩৪৬) তার নাম সাদকাঁও (চাটগাঁও)। সেখান থেকে তিনি সরাসরি কামরূপ পার্বত্য অঞ্চল অভিমুখে রওনা হন।
-
তিনি বাংলায় ভ্রমণের এক মূল্যবান বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন, যা বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য, অধিবাসীদের জীবনযাপন ও দেশের সমৃদ্ধি বর্ণনা করে।
-
তার গ্রন্থ **‘আর রিহলা’**তে বাংলাকে তিনি ‘দোজখ-ই-পুর নিয়ামত’ (A Hell Full Of Good Things) অর্থাৎ প্রাচুর্যপূর্ণ নরক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
ইবনে বতুতা সিলেটের প্রখ্যাত সাধক হযরত শাহজালালের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পরে চীনের রাজদরবার গমনের উদ্দেশ্যে বাংলা ত্যাগ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয় ভাগ
B
তৃতীয় ভাগ
C
চতুর্থ ভাগ
D
পঞ্চম ভাগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে, যা সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধানের মৌলিক অধিকার: ৩য় ভাগে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায়গুলো:
১. প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
২. দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
৩. তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
৪. চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
৫. পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
৬. ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
৭. সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
৮. অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
৯. নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
১০. দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
১১. একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 1 month ago
মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা কোথায় হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
কলকাতা
B
দিল্লি
C
ঢাকা
D
লাহোর
মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ মুসলিম সমাজে আলাদা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের অধিবেশনে।
-
এর পেছনের মূল কারণ ছিল বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) এবং তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
-
মুসলিম সমাজের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নওয়াব খাজা সলিমুল্লাহ উদ্যোগ নেন।
-
সম্মেলনে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
-
সভার সভাপতি নওয়াব ভিকার-উল-মুলক প্রস্তাবটি সমর্থন করেন এবং এর মাধ্যমে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
-
দলের মূল লক্ষ্য ছিল মুসলমানদের শিক্ষা, প্রতিনিধি অধিকার ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা।
-
পরবর্তীকালে এই দলই পাকিস্তান সৃষ্টির মূল রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
0
Updated: 1 month ago
২০২৪ সালে দেশে কোন খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে?
Created: 1 month ago
A
ব্যাংকিং খাত
B
কৃষি ও মৎস্য খাত
C
পোশাক খাত
D
টেলিকমিউনিকেশন খাত
বৈদেশিক বিনিয়োগ:
- মূলত বিদেশ থেকে যত বিনিয়োগ আসে এবং সেই সময়ে আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করার পর বিয়োজন করলে যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই নিট বিনিয়োগ।
- ২০২৪ সালে দেশে মোট নেট এফডিআই এসেছে ১.২৭ বিলিয়ন ডলার বা ১২৭ কোটি ডলার।
- এটি ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩.২৫ শতাংশ কম।
⇒ ২০২৪ সালে আসা মোট এফডিআইয়ের মধ্যে ৬২২ মিলিয়ন ডলার ছিল রিইনভেস্টেড আর্নিংস।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে ব্যাংকিং খাতে—৪১৬ মিলিয়ন ডলার।
- এরপর পোশাক খাতে এসেছে ৪০৭ মিলিয়ন ডলার।
- এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৭ কোটি ৫ লাখ এবং ট্রেডিং খাতে ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এফডিআই এসেছে।
- এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে চামড়া, কৃষি, মৎস্য ও ট্রেডিং খাতে; কমেছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেলিকমিউনিকেশন খাতেও গত বছর এফডিআই কমেছে।
0
Updated: 1 month ago