এলাহাবাদ চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
A
ওয়ারেন হেস্টিংস ও সুজাউদ্দৌলা
B
রবার্ট ক্লাইভ ও দ্বিতীয় শাহ আলম
C
ওয়ারেন হেস্টিংস ও দ্বিতীয় শাহ আলম
D
রবার্ট ক্লাইভ ও মীর কাশিম
উত্তরের বিবরণ
এলাহাবাদ চুক্তি ও বাংলায় ইংরেজদের ক্ষমতা দখল ১৭৬৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন রবার্ট ক্লাইভ এবং মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। এর মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি লাভ করে এবং সম্রাটকে কোম্পানি প্রতি বছর ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। চুক্তি অনুসারে রাজস্ব আদায় ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির ওপর থাকলেও, নিয়ামত তথা বিচার ও প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর ন্যস্ত হয়।
-
বক্সার যুদ্ধের পর, কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায় এবং বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হয়। ইংরেজ সরকার এ পরিস্থিতিতে ভীত হয়।
-
ইংল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ কোম্পানির দুর্নীতি দমন এবং স্বার্থ বৃদ্ধি করার জন্য রবার্ট ক্লাইভকে লর্ড উপাধি দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলায় প্রেরণ করে (১৭৬৫-১৭৬৭ খ্রি.)।
-
বাংলায় এসে ক্লাইভ মীর কাশিমের মিত্রশক্তি, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের প্রতি নজর দেন।
-
বক্সার যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা এবং কারা ও এলাহাবাদ জেলা নবাবের কাছে নিয়ে মিত্রতা স্থাপন করেন।
-
এরপর ক্লাইভ দিল্লির দুর্বল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন।
-
চুক্তির বিনিময়ে, কারা ও এলাহাবাদ জেলা এবং বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকা কর প্রদান করে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি সম্রাটের নিকট থেকে কোম্পানির হাতে আসে (১২ আগস্ট ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিউয়ানি সনদ লাভ করে)।
-
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলা ও ভারতবর্ষে ইংরেজ উপনিবেশের পথ উন্মুক্ত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
একক দেশ হিসেবে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ কততম? [ আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
তৃতীয়
D
চতুর্থ
বাংলাদেশ একক দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এর বাজার হিস্যা দশমিক ৪৮ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে।
-
তৃতীয় অবস্থানে: ভিয়েতনাম
-
শীর্ষ অবস্থানে: চীন, যার বাজার হিস্যা ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে
0
Updated: 1 month ago
'গ্রাম সরকার' ব্যবস্থার প্রবক্তা ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
জিয়াউর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
বিচারপতি আবদুস সাত্তার
D
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিকাশে গ্রাম সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ ধারণা প্রবর্তন করেন, যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জনগণকে স্বনির্ভর করে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত করা।
-
গ্রাম সরকার ব্যবস্থার প্রবক্তা ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
-
তিনি ব্রিটিশ আমলের চৌকিদার মডেলের ভিত্তিতে গ্রাম পুলিশ গঠন করেন।
-
গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদের নেতৃত্ব, সততা ও কর্মস্পৃহা দেখে ‘স্বনির্ভর গ্রাম সরকার’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
-
এই ব্যবস্থায় জনগণ নিজেরাই তাদের সমস্যা নির্ধারণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করত।
-
গ্রাম সরকারে মোট ১৪ জন সদস্য থাকতেন, এর মধ্যে ৬ জন নারী সদস্য ছিলেন।
-
পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন, যা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন কাঠামো তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago
মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
অশোক
B
বিন্দুসার
C
চন্দ্রগুপ্ত
D
বৃহদ্রথ
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের শেষ রাজা ধননন্দকে পরাজিত করে মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
মৌর্য সাম্রাজ্য ভারতের ইতিহাসে প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে ব্যাবিলনে আলেকজান্ডারের মৃত্যু ঘটে, যার ফলে তার অধিকৃত ভারতীয় অঞ্চলে গ্রিকদের মধ্যে আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ও বিরোধ দেখা দেয়।
-
সেই সময় মগধে নন্দবংশীয় সম্রাট ধননন্দ রাজত্ব করছিলেন, যিনি মোটেও জনপ্রিয় ছিলেন না।
-
সুযোগে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের সিংহাসন দখল করেন এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে গ্রিকদের বিতাড়িত করে এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এই সাম্রাজ্য ইতিহাসে মৌর্য সাম্রাজ্য নামে পরিচিত।
-
মৌর্য সম্রাটরা বহু-বিভক্ত ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
-
এই বংশের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং অশোক বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago