কোন শতকে সেন বংশের অবসান ঘটে?
A
১২ শতকে
B
১৩ শতকে
C
১৪ শতকে
D
১৫ শতকে
উত্তরের বিবরণ
বাংলার ইতিহাসে সেন রাজাদের উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১০৭০ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বছর সেনরা বাংলায় শাসন করেন। পালবংশের পতনের পর বাংলায় সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের দখলে আনে। এই সময়ে হেমন্ত সেন, বিজয় সেন, বল্লাল সেন, লক্ষ্মণ সেন, বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন রাজ্য পরিচালনা করেন।
-
বাংলায় সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন, যদিও তিনি কোনো রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় তার পুত্র হেমন্ত সেনকে।
-
সেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন লক্ষ্মণ সেন।
-
১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে লক্ষ্মণ সেন প্রতিরোধ না করে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে পালিয়ে যান। এই অঞ্চলে তিনি আরও ২-৩ বছর রাজত্ব করেন।
-
সেনদের মূল রাজধানী ছিল নবদ্বীপ, তবে ১২০২ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর আক্রমণের সময় তাদের অস্থায়ী রাজধানী নদীয়া ছিল।
-
নদীয়ায় আক্রমণের পর লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গে পালিয়ে যান।
-
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর সেন বংশ দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং সামন্ত বিদ্রোহের ফলে বাংলায় সেনদের পতন ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
কোন ধরনের দেশগুলোর জন্য TRIPS চুক্তি কার্যকরে রেয়াত সুবিধা প্রদান করা হয়?
Created: 5 days ago
A
শুধুমাত্র উন্নত দেশ
B
শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশ
C
শুধুমাত্র এলডিসিভুক্ত দেশ
D
উন্নয়নশীল ও এলডিসিভুক্ত দেশ
TRIPS (Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights) হলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) গৃহীত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের (Intellectual Property) মেধাস্বত্ব সম্পর্কিত একটি বৈশ্বিক চুক্তি।
-
প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর:
-
গৃহীত: ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪, মরক্কোর মারাক্কাশে
-
কার্যকর: ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫
-
-
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত (LDC) দেশগুলোর জন্য রেয়াত সুবিধা প্রদান।
-
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য TRIPS চুক্তির প্রয়োগের মেয়াদ ১ জুলাই, ২০৩৪ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে, যা WTO-র TRIPS কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত।
-

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান?
Created: 1 week ago
A
জেলা পরিষদ
B
উপজেলা প্রশাসন
C
জাতীয় সংসদ
D
জেলা পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ
প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হলো ক) জেলা পরিষদ এবং ঘ) পার্বত্য জেলা পরিষদ। তবে অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বশাসনের ভিত্তিতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি এমন এক ধরণের শাসনব্যবস্থা যেখানে নির্দিষ্ট এলাকার জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের বিষয়াদি পরিচালনা করে।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসন।
-
এ ব্যবস্থায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।
-
প্রতিনিধিরা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাঁদের কার্যক্রমের জবাবদিহি করতে হয়।
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—
-
আইনগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া,
-
নির্বাচিত সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা,
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ,
-
করারোপ করে তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা,
-
নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুযোগ,
-
কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কার্য পরিচালনা।
এ ব্যবস্থা আসলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি পরিশীলিত রূপ, যেখানে স্থানীয় জনগণ সরাসরি ক্ষমতায়নের সুযোগ পান।
বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম Genetically Modified (GM) খাদ্য ফসল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গোল্ডেন রাইস
B
বিটি তুলা
C
গোল্ডেন জুট
D
বিটি বেগুন
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল
-
সংজ্ঞা:
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল হলো এমন ফসল যার জিন পরিবর্তন (modification) করে ফলন বৃদ্ধি, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধসহ কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অর্জন করা হয়। -
হাইব্রিড ফসল:
সব ধরনের হাইব্রিড ফসলই একধরনের জি.এম. ফসল। তবে এগুলো প্রাকৃতিক প্রতিরূপ ফসলের তুলনায় কখনো বিষাক্ত বা কম পুষ্টিগুণসম্পন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রথম GM খাদ্য ফসল
-
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম GM খাদ্য ফসল হলো বিটি বেগুন (Bt Brinjal)।
-
২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি কৃষকদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেয়।
Bt-বেগুন কী?
-
Bt শব্দটি এসেছে Bacillus thuringiensis নামক একটি মাটিবাহিত (soil-borne) ব্যাকটেরিয়া থেকে।
-
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন বেগুনের জিনোমে সংযোজন করে উৎপাদিত বেগুনকে Bt-বেগুন বলা হয়।
সাধারণ বেগুন বনাম Bt-বেগুন:
-
সাধারণ বেগুনে একটি বিশেষ পোকা ডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে ফেলে, ফলে ফলন কমে যায়।
-
কৃষককে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতি মৌসুমে ৬০–১৮০ বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
-
Bt-বেগুনে এই পোকার আক্রমণ হয় না, তাই কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
Bt-বেগুন চাষের গুরুত্ব
-
কীটনাশক ক্রয় ও স্প্রে করার খরচ বাঁচবে → উৎপাদন ব্যয় লক্ষ লক্ষ টাকা কমবে।
-
ভোক্তারা বিষমুক্ত বেগুন খেতে পারবেন → ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমবে।
-
মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে।
-
আশপাশের জলাশয় দূষণমুক্ত থাকবে এবং জলজ প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
-
বেগুনের ফলন বৃদ্ধি পাবে।
উৎস:
i) উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

0
Updated: 1 week ago