স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন?
A
অযোধ্যা
B
পাঞ্জাব
C
হায়দ্রাবাদ
D
নাগপুর
উত্তরের বিবরণ
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি, যার মূল কথা হলো: ব্রিটিশ শাসনাধীন কোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যান এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম সাঁতারা রাজ্যের উপর এই নীতি প্রয়োগ করেন। সাঁতারার রাজা ইংরেজদের অনুমতি ছাড়াই দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ সালে রাজা মারা গেলে ডালহৌসি দত্তক পুত্রের দাবি অগ্রাহ্য করে সাঁতারা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
সম্বলপুর রাজ্যও অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
-
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভোঁসলে বংশের শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে, নাগপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এটি ইংরেজদের জন্য কলকাতা থেকে বোম্বাই (মুম্বাই) যাতায়াতের পথ সরল করতে সহায়ক হয়।
-
একই বছরের মধ্যে ঝাঁসির রাজা মৃত্যুর পর দত্তক পুত্রের দাবি অস্বীকার করে ডালহৌসি ঝাঁসীকেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
এভাবে শতদ্রু নদীর নিকট ভগৎ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশে উদয়পুর, রাজস্থানে করৌলি প্রভৃতি রাজ্যও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণকারী সংস্থা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বিশ্বব্যাংক
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম
D
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণকারী সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম।
BDF:
- BDF-এর পূর্ণরূপ- Bangladesh Development Forum.
- বিডিএফ হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বা দাতাদের একটি ফোরাম ১৯৭৪ সালে গঠিত হয়।
- তখন এর নাম ছিলো বাংলাদেশ এইড গ্রুপ।
- ১৯৯৭ সালে এর নাম হয় 'প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ' এবং ২০০২ সালে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম।
- প্রথমদিকে এর বৈঠক প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৩ সাল থেকে এর বৈঠক নিয়মিতভাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
- বিশ্বব্যাংক এই ফোরামের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে।
উৎস: i) প্রথম আলো।
ii) Economic Relations Division ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
'অন্ধকূপ হত্যা' (Black Hole Tragedy) নামক ঘটনাটি কোন নবাবের শাসনামলের সাথে জড়িত?
Created: 6 days ago
A
সিরাজ-উদ-দৌলা
B
আলীবর্দী খান
C
নবাব মুর্শিদকুলী খান
D
মীর কাসিম
অন্ধকূপ হত্যা হলো ১৭৫৬ সালের ২০ জুনের ঘটনাসংক্রান্ত এক কাহিনী, যা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কর্তৃক কলকাতা দখলের সময় সংঘটিত হওয়ার কথা বলা হয়। এই ঘটনার মূল বিবরণ এসেছে ইংরেজ সেনাপতি জন জেফেনিয়াহ হলওয়েল-এর লেখা থেকে।
-
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালের জুনে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দখল করেন।
-
দখলের সময় ১৪৬ জন ইংরেজ সৈন্যকে একটি ক্ষুদ্র বন্দিশালায় আবদ্ধ রাখা হয়, যা ছিল ১৮ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থের।
-
গ্রীষ্মের অতি উত্তাপে এবং অসহনীয় পরিস্থিতিতে বন্দিরা রাতযাপন করতে বাধ্য হন।
-
কাহিনী অনুযায়ী, ১২৩ জন ইংরেজ মারা যান। জীবিতদের মধ্যে ছিলেন হলওয়েল।
-
হলওয়েল এই শোকাবহ ঘটনার বিস্তৃত বর্ণনা দেন এবং নবাবকে এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
-
নবাবের আক্রমণের কারণে (১৬-২০ জুন, ১৭৫৬) ফোর্ট উইলিয়ামের ইংরেজরা পলায়ন করতে বাধ্য হয়। জন জেফেনিয়াহ হলওয়েলসহ ১৭০ জন ইংরেজ সময়মতো জাহাজে উঠতে ব্যর্থ হয়ে বন্দি হন।
-
উনিশ শতকের প্রথম দিকের অধিকাংশ ইংরেজ ইতিহাসবিদ এই কাহিনী বিশ্বাস করতেন এবং অন্ধকূপ হত্যাকে প্রাচ্যশাসকদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার নিদর্শন হিসেবে দেখতেন।
-
তবে পরবর্তীকালের ইতিহাসবিদরা হলওয়েলের কাহিনীর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং মনে করেন এই ঘটনা নবাবের অজ্ঞাতেই ঘটেছিল।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
‘মেগাস্থিনিস’ কে ছিলেন?
Created: 6 days ago
A
সিজারের প্রেরিত দূত
B
সেলুকাসের প্রেরিত দূত
C
আলেকজান্ডারের প্রেরিত দূত
D
কোনটি নয়
সেলুকাসের দূত মেগাস্থিনিস চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় আসেন এবং তার রচিত ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থ থেকে মৌর্য সমাজ ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
মেগাস্থিনিস:
-
তিনি সেলুকাসের প্রেরিত দূত ছিলেন।
-
‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা মেগাস্থিনিস।
-
এই গ্রন্থে চন্দ্রগুপ্তের ব্যক্তিগত জীবন এবং শাসন ব্যবস্থার বিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে।
-
তিনি গ্রীক বিশ্বের কাছে ভারতের সবচেয়ে সম্পূর্ণ বিবরণ উপস্থাপন করেছেন।
-
মেগাস্থিনিসের কাজের প্রধান ত্রুটি ছিল:
-
বিবরণে ভুল।
-
ভারতীয় লোককাহিনীর সমালোচনামূলক গ্রহণযোগ্যতার অভাব।
-
গ্রীক দর্শনের মানদণ্ডে ভারতীয় সংস্কৃতিকে আদর্শিকভাবে উপস্থাপনের প্রবণতা।
-
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago