বাংলায় সুবাদারী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
ইসলাম খান চিশতি
B
মীর জুমলা
C
শায়েস্তা খান
D
মুর্শিদকুলী খান
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় সুবাদারী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইসলাম খান চিশতি। মোগল সম্রাট আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেছিলেন, যেগুলোকে বলা হতো ‘সুবা’। সুবার শাসনকর্তাকে সুবাদার বলা হতো। আকবরের সময় থেকেই বাংলায় সুবাদার নিয়োগ শুরু হলেও, বারভুঁইয়াদের দাপটে মোগল সুবা শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বারভুঁইয়াদের দক্ষতার সঙ্গে দমন করে বাংলায় সুবাদারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ইসলাম খান চিশতি।
-
ইসলাম খান চিশতি প্রকৃত নাম শেখ আলাউদ্দীন চিশতি।
-
১৬০৮ সালে জাহাঙ্গীর কুলি খানের মৃত্যুর পর, সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি সুফি সেলিম চিশতীর দৌহিত্র ছিলেন।
-
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকায় আসেন এবং বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি ঢাকাকে ‘জাহাঙ্গীরনগর’ নামে নামকরণ করেন।
-
ইসলাম খান ঢাকাকে সুরক্ষিত করে ভুঁইয়াদের সব অবস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে মুসা খানসহ বারো ভূঁইয়া ইসলাম খানের নিকট বশ্যতা স্বীকার করেন।
-
সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে ইসলাম খান উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তিনি ঢাকায় লোহার পুল নির্মাণ করেন এবং ঢাকার ধোলাই খাল খনন করেন।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ কার নামে পরিচালিত হয়?
Created: 1 week ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
মন্ত্রিপরিষদ
D
জাতীয় সংসদ
রাষ্ট্রপতি
-
সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান।
-
প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তার নামে পরিচালিত হয়।
-
কোনো নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে নেই।
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন এবং অর্থ, বিচার, প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করেন।
-
সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন।
-
এছাড়া রাষ্ট্রপতি অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারদের নিয়োগ দেন।

0
Updated: 1 week ago
২০২৪ সালে দেশে কোন খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে?
Created: 1 week ago
A
ব্যাংকিং খাত
B
কৃষি ও মৎস্য খাত
C
পোশাক খাত
D
টেলিকমিউনিকেশন খাত
বৈদেশিক বিনিয়োগ:
- মূলত বিদেশ থেকে যত বিনিয়োগ আসে এবং সেই সময়ে আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করার পর বিয়োজন করলে যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই নিট বিনিয়োগ।
- ২০২৪ সালে দেশে মোট নেট এফডিআই এসেছে ১.২৭ বিলিয়ন ডলার বা ১২৭ কোটি ডলার।
- এটি ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩.২৫ শতাংশ কম।
⇒ ২০২৪ সালে আসা মোট এফডিআইয়ের মধ্যে ৬২২ মিলিয়ন ডলার ছিল রিইনভেস্টেড আর্নিংস।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে ব্যাংকিং খাতে—৪১৬ মিলিয়ন ডলার।
- এরপর পোশাক খাতে এসেছে ৪০৭ মিলিয়ন ডলার।
- এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৭ কোটি ৫ লাখ এবং ট্রেডিং খাতে ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এফডিআই এসেছে।
- এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে চামড়া, কৃষি, মৎস্য ও ট্রেডিং খাতে; কমেছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেলিকমিউনিকেশন খাতেও গত বছর এফডিআই কমেছে।

0
Updated: 1 week ago
'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
Created: 3 days ago
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।

0
Updated: 3 days ago