‘মাৎস্যন্যায়’-এর অবসান ঘটে কীভাবে?
A
পালদের আগমনে
B
সেনদের আগমনে
C
গুপ্তদের আগমনে
D
মৌর্যদের আগমনে
উত্তরের বিবরণ
মাৎস্যন্যায় বাংলার ৭ম-৮ম শতককে নির্দেশ করে। রাজা শশাঙ্ক ৬৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করার পর যোগ্য শাসকের অভাবে গৌড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুরো বাংলায় নেমে আসে অন্ধকার যুগ, যেখানে একশ বছরের মতো ইতিহাসে অরাজকতা এবং নেতৃত্বের শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়। বিশৃঙ্খলার সময় বাংলা অঞ্চলে সিংহাসনে বসেন রাজা গোপাল, এবং পালবংশের আগমনের মাধ্যমে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজবংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর ধরে বাংলা ও বিহারে শাসন করে।
-
বংশটি প্রতিষ্ঠা করেন শক্তিশালী রাজা গোপাল।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পর পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন কে?
Created: 3 days ago
A
মাওলানা আঁকরাম খাঁ
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম
D
প্রফেসর মযহারুল ইসলাম
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণা, বিকাশ ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
-
বাংলা একাডেমি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ সালে ঢাকার বর্ধমান হাউসে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ভাষা বিষয়ক সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন মুহম্মদ এনামুল হক, যিনি ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন প্রফেসর মযহারুল ইসলাম।
-
বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আঁকরাম খাঁ।
-
বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

0
Updated: 3 days ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুসরণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়?
Created: 3 days ago
A
১১১নং অনুচ্ছেদ
B
১০৬নং অনুচ্ছেদ
C
১১০নং অনুচ্ছেদ
D
১০৯নং অনুচ্ছেদ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ নং অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু করে। এই অনুচ্ছেদ সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক ক্ষমতা সম্পর্কিত বিধান নির্ধারণ করে, যা রাষ্ট্রপতি আইনগত ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে আদালতের মতামত গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে।
-
১০৬ নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার
-
রাষ্ট্রপতির নিকট যদি এমন কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় বা সম্ভাবনা দেখা দেয় যা জনগুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তিনি তা আপীল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারেন।
-
আপীল বিভাগ নিজ বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপতিকে মতামত জ্ঞাপন করে।
-
-
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
১০৯ নং অনুচ্ছেদ: আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ।
-
১১০ নং অনুচ্ছেদ: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর।
-
১১১ নং অনুচ্ছেদ: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলকতা।
-

0
Updated: 3 days ago
মারি চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
মারি চুক্তি (১৯৫৫)
-
প্রেক্ষাপট:
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
এই অধিবেশনে পাকিস্তানের সব প্রদেশের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্ট, সংবিধান সংক্রান্ত আপোস চুক্তি সম্পাদন করেন।
-
-
চুক্তির খসড়া:
-
চুক্তি ‘মারি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
-
এতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় অঞ্চলের সংসদ সদস্য একমত হন।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন: এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান, মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
-
চুক্তির পরবর্তী ঘটনা:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক।
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
-
প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের সব প্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) সংগ্রামের নোটবুক
iii) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 1 week ago