লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভাইসরয় হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য?
A
ভারতীয় রেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
B
উপমহাদেশের পুলিশ বাহিনী সংস্কার
C
উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ক্ষমতা হস্তান্তর
D
ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
উত্তরের বিবরণ
লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয়। তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর গভর্নর জেনারেল হিসেবে কার্যকাল ১৯৪৭-এর আগস্ট থেকে ১৯৪৮-এর জুন পর্যন্ত চলেছিল, এই সময়ে তিনি ভারতীয় রাজন্যবর্গকে ভারতীয় ইউনিয়ন বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হতে উদ্বুদ্ধ করেন।
-
ভাইসরয় হিসেবে সংক্ষিপ্ত কার্যকালে তিনি উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ভারত ও পাকিস্তানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
এই সময়ে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে একীভূত বা পৃথক রাজ্য হিসেবে যুক্ত করতে উৎসাহিত করেন।
-
তিনি ১৯৭৯ সালের ২৭ আগস্ট আয়ারল্যান্ডের ডোনেগাল বে-তে তাঁর নৌযানে এক বিস্ফোরণে নিহত হন।
অন্যদিকে উপমহাদেশের বিভিন্ন আধুনিক প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন:
-
লর্ড ডালহৌসি: ভারতীয় রেল ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
-
লর্ড ক্যানিং: পুলিশ বাহিনী সংস্কারে বিশেষ অবদান রাখেন; ১৮৬১ সালে পুলিশ আইন প্রণয়ন করেন।
-
ওয়ারেন হেস্টিংস: ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার সূচনা করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ওরাওঁ সমাজে গ্রামীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গঠিত সংগঠনের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
পাঁড়হা
B
পাঞ্চেস
C
নাইগাস
D
মহাতোষ
ওরাওঁ বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক প্রথা ও সামাজিক সংগঠন বজায় রেখে বসবাস করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাসস্থান: বরেন্দ্র অঞ্চল, পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় ঐতিহাসিকভাবে বসতি।
-
ভাষা ও বর্ণমালা: ভাষার নাম কুরুক, বর্ণমালা নেই এবং সাহিত্য মৌখিক।
-
জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস: অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় ভাষাতাত্ত্বিক গোষ্ঠী।
-
গ্রাম সংগঠন: পাঞ্চেস, যা যাবতীয় বিবাদ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কার্যকর।
-
গ্রাম প্রশাসন:
-
একজন হেডম্যান বা মহাতোষ
-
একজন পুরোহিত বা নাইগাস
-
গ্রামে বয়স্ক সাত-আটজন ব্যক্তি দ্বারা পাঞ্চেস গঠিত হয়।
-
-
পাঞ্চেসের কার্যকাল: সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব?
Created: 1 month ago
A
৫১নং অনুচ্ছেদ
B
৫৩নং অনুচ্ছেদ
C
৫২নং অনুচ্ছেদ
D
৫৪নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্পর্কিত বিধান অনুচ্ছেদ ৫২(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তবে সংসদ তাকে অভিশংসন করতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
প্রধান বিষয়গুলো হলো:
-
অভিশংসনের অভিযোগ আনার জন্য সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাবের নোটিশ স্পিকারের নিকট জমা দিতে হবে।
-
নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা ৩০ দিনের পরে প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উত্থাপন করা যাবে না।
-
যদি সংসদ অধিবেশনরত না থাকে, তবে স্পিকার অবিলম্বে সংসদ আহ্বান করবেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৫১: রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
-
অনুচ্ছেদ ৫৩: অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
-
অনুচ্ছেদ ৫৪: রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি বা সাময়িক অক্ষমতার ক্ষেত্রে স্পিকারের দায়িত্বগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আঁকরাম খাঁ
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম
D
প্রফেসর মযহারুল ইসলাম
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণা, বিকাশ ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
-
বাংলা একাডেমি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ সালে ঢাকার বর্ধমান হাউসে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ভাষা বিষয়ক সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন মুহম্মদ এনামুল হক, যিনি ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন প্রফেসর মযহারুল ইসলাম।
-
বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আঁকরাম খাঁ।
-
বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
0
Updated: 1 month ago