স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের পতন ঘটে কীভাবে?
A
বিজয় সেনের হাতে
B
সম্রাট অশোকের হাতে
C
মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হাতে
D
চালুক্য বংশের রাজা কীর্তিবর্মণের হাতে
উত্তরের বিবরণ
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে, যাকে ঐতিহাসিকরা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই রাজ্যের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন, যেগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো। এখন পর্যন্ত মোট ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করেছেন। তারা ৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন এবং ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন, যা তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
-
স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের রাজারা তাম্রশাসন জারি করতেন।
-
গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব এই রাজ্য শাসন করেছিলেন।
-
৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন।
-
তাদের ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ছিল, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতীক।
-
ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ভারতের চালুক্য বংশের রাজা কীর্তি বর্মণের হাতে স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের পতন ঘটে।
-
অন্য মত অনুযায়ী, স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উত্থান বঙ্গরাজ্যের পতনের কারণ হয়।
-
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, সপ্তম শতকের পূর্বে দক্ষিণ বাংলার সমতট রাজ্যে ভদ্র, খড়গ, রাঢ় প্রভৃতি স্বাধীন সামন্ত রাজার উত্থানও বঙ্গরাজ্যের পতনের পেছনে দায়ী।
-
সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের নেতৃত্বে বাংলার পুন্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ একত্রিত হয়ে একটি বিশাল গৌড় রাজ্য স্থাপিত হয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
’তথ্য অধিকার আইন’ কত সালে পাস হয়?
Created: 1 week ago
A
২০১১ সালে
B
২০০৭ সালে
C
২০০৯ সালে
D
২০১৩ সালে
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাংলাদেশের জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রণীত একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন।
-
আইনটি ৬ এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে পাশ হয়।
-
এ আইনকে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
-
আইন অনুযায়ী—
-
ধারা ৮, ২৪ এবং ২৫ ব্যতীত অন্যান্য ধারা ২০ অক্টোবর, ২০০৮ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
-
ধারা ৮, ২৪ এবং ২৫ ধারা ১ জুলাই, ২০০৯ থেকে কার্যকর হবে।
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
জাতিসংঘের কোন মহাসচিব বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায়?
Created: 1 week ago
A
ট্রিগভে হাভডেন লি
B
পেরেজ ডি কুয়েলার
C
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
D
উথান্ট
জাতিসংঘের মহাসচিব সম্পর্কিত তথ্য
প্রথম মহাসচিব
-
নাম: ট্রিগভে হাভডেন লি
-
দায়িত্বকাল: ১৯৪৬-১৯৫৩
-
দেশ: নরওয়ে
দ্বিতীয় মহাসচিব
-
নাম: দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
-
দায়িত্বকাল: ১৯৫৩-১৯৬১
-
দেশ: সুইডেন
-
মৃত্যু: ১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, তানজানিয়ার আরুশা শহরের কাছে বিমান দুর্ঘটনায়
-
বিশেষত্ব: মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ
-
নোট: তিনি কঙ্গোতে শান্তি মিশনে যাচ্ছিলেন, তখন দুর্ঘটনা ঘটে
-
শান্তিরক্ষী মিশনে নিহতদের জন্য জাতিসংঘ ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করেছে
চতুর্থ মহাসচিব
-
নাম: কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
-
দেশ: অস্ট্রিয়া
-
উল্লেখযোগ্য ঘটনা: তার দায়িত্বকালেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
উৎপাদন খাতে নিয়োজিত মাঝারি শিল্পের সর্বনিম্ন স্থায়ী সম্পদের মূল্য কত হতে হয়?
Created: 1 week ago
A
৮ কোটি টাকা
B
১০ কোটি টাকা
C
১২ কোটি টাকা
D
১৫ কোটি টাকা
উৎপাদন খাতে নিয়োজিত মাঝারি শিল্পের সর্বনিম্ন স্থায়ী সম্পদের মূল্য ১৫ কোটি টাকা হতে হয়।
মাঝারি শিল্প (Medium scale industries):
- ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ (Medium Industry) বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১৫ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১২১-৩০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।
- তবে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান/শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০০০ জন।
- সেবা শিল্পের ক্ষেত্রে ‘মাঝারি শিল্প’ বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতীত স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ২ কোটি টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৫১-১২০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।

0
Updated: 1 week ago