নাটোর জেলায় পাহাড়পুরে সোমপুর বিহারটি নির্মাণ করেন কে?
A
দেবপাল
B
ধর্মপাল
C
মহীপাল
D
গোপাল
উত্তরের বিবরণ
সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, যা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটি পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করান। মূল ভবনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল এবং এখানে ৮০০ জন ভিক্ষু থাকার সক্ষমতা ছিল। বিহারের ১২৫নং কক্ষে মাটির পাত্রে খলিফা হারুন-অর-রশিদের শাসনামলের রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
পূর্বভারতে জরিপ কাজের সময় ১৮০৭ ও ১৮১২ সালে বুকানন হ্যামিল্টন প্রথম এ প্রত্নস্থল পরিদর্শন করেন।
-
পরবর্তীতে ওয়েস্টম্যাকট পাহাড়পুর পরিভ্রমণে আসেন।
-
১৮৭৯ সালে সার আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং ২২ ফুট বর্গাকার একটি ইমারত আবিষ্কার করেন।
-
১৯০৯ সালের পুরাকীর্তি আইনের আওতায় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ১৯১৯ সালে এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
'শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা' হলো বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার -
Created: 3 days ago
A
নীতি
B
বিধি
C
ঘোষণা
D
অঙ্গীকার
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইন, যেখানে রাষ্ট্রের কাঠামো, মূলনীতি, নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধান বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে।
-
৪টি মূলনীতি সংবিধানে স্থান পেয়েছে।
-
সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে ১টি প্রস্তাবনা।
-
প্রস্তাবনাটি আবার ৫টি ভাগে বিভক্ত:
-
১ম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য়: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য়: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
-

0
Updated: 3 days ago
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান কোন শাসকের বিরুদ্ধে হয়েছিল?
Created: 6 days ago
A
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
B
ইস্কান্দার মির্জা
C
আইয়ুব খান
D
ইয়াহিয়া খান
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এক স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রাম।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান:
-
১৯৪৭ সাল থেকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছিল, তার প্রকাশ ঘটে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে।
-
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠে যা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
-
এসময় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা দাবি ঘোষণা করে।
-
১১ দফার মধ্যে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ছয়দফা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ১০০ জন পূর্বপাকিস্তানী নিহত হন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা তাদের মধ্যে অন্যতম।
-
এই আন্দোলনের ফলে আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
আইনের মাধ্যমে যে কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিতে পারে-
Created: 1 week ago
A
সুপ্রিম কোর্ট
B
বিচার বিভাগ
C
প্রধান বিচারপতি
D
জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ
-
জাতীয় সংসদ সরকারের তিনটি বিভাগের একটি আইন বিভাগ।
-
আইনবিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা, যার বাংলাদেশের নাম ‘জাতীয় সংসদ’।
-
সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়।
-
জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
-
৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
-
-
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যে কোনো নতুন আইন প্রণয়ন এবং প্রচলিত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করতে পারে।
-
সংসদ আইনের মাধ্যমে সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, উপবিধি ও প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
-
সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান করবেন।

0
Updated: 1 week ago