বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
A
১৭৫৩ সালে
B
১৭৫৯ সালে
C
১৭৬২ সালে
D
১৭৬৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
বক্সারের যুদ্ধ ছিল নবাব মীর কাসিম ও তাঁর মিত্রশক্তির সঙ্গে ইংরেজদের মধ্যে সংঘটিত একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এটি পলাশীর যুদ্ধের পর, ১৭৬৪ সালে বিহারের বক্সার স্থানে সংঘটিত হয়। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনী মেজর হেক্টর মুনরোর নেতৃত্বে এবং মীর কাসিম, মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম, ও অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা-এর সম্মিলিত সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর।
-
এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।
-
যুদ্ধের পর দ্বিতীয় শাহ আলম পুনরায় ইংরেজ শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
নবাব সুজাউদ্দৌলা রোহিলাখন্ডে পালিয়ে যান এবং অযোধ্যা ইংরেজ বাহিনীর অধীনে চলে আসে।
-
নবাব মীর কাসিম নিরুদ্দেশ হন এবং এরপর তাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
-
বক্সারের যুদ্ধ ছিল একটি চূড়ান্ত যুদ্ধ, যা বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে ইংরেজ কোম্পানির শাসনের অধীনে নিয়ে আসে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
নাটোর জেলায় পাহাড়পুরে সোমপুর বিহারটি নির্মাণ করেন কে?
Created: 19 hours ago
A
দেবপাল
B
ধর্মপাল
C
মহীপাল
D
গোপাল
সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, যা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটি পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করান। মূল ভবনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল এবং এখানে ৮০০ জন ভিক্ষু থাকার সক্ষমতা ছিল। বিহারের ১২৫নং কক্ষে মাটির পাত্রে খলিফা হারুন-অর-রশিদের শাসনামলের রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
পূর্বভারতে জরিপ কাজের সময় ১৮০৭ ও ১৮১২ সালে বুকানন হ্যামিল্টন প্রথম এ প্রত্নস্থল পরিদর্শন করেন।
-
পরবর্তীতে ওয়েস্টম্যাকট পাহাড়পুর পরিভ্রমণে আসেন।
-
১৮৭৯ সালে সার আলেকজান্ডার কানিংহাম স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং ২২ ফুট বর্গাকার একটি ইমারত আবিষ্কার করেন।
-
১৯০৯ সালের পুরাকীর্তি আইনের আওতায় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ১৯১৯ সালে এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস না হওয়ার প্রধান কারণ -
Created: 6 days ago
A
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো
B
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
C
ভারতের আপত্তি
D
চীনের অনুপস্থিতি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি, যা বাংলাদেশের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে মোট তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই তিনবারের প্রতিটি প্রস্তাবেই ভেটো দেয়।
-
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণ করে।
-
তার পাল্টা হিসেবে ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত সোভিয়েত ইউনিয়নের ২০তম নৌবহর ৭ম নৌবহরের পিছু নেয়।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর -
Created: 3 days ago
A
শামীম শিকদার
B
আবদুর রাজ্জাক
C
মৃণাল হক
D
হামিদুজ্জামান খান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যের নির্মাতা ছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বেশিরভাগ ভাস্কর্যের স্রষ্টা।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন; এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য: ‘জাগ্রত বাংলা’ (আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ‘বিজয় কেতন’ (ঢাকা সেনানিবাস), ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’ (উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ (আগারগাঁও, সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণ), ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ (মাদারীপুর)।
-
জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৪৬, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রাম।
-
২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান।
-
মৃত্যু: ২০ জুলাই, ২০২৫, ৭৯ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে।

0
Updated: 3 days ago