সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট কোন ধরনের রাজ্য ছিল?
A
করদ
B
পরাধীন
C
বিচ্ছিন্ন
D
পূর্ণাঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল। করদ রাজ্য বলতে সাধারণত সেই সামন্ত রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে জয়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরাজিত রাজা সামন্ত রাজা হিসেবে জয়ী রাজার অধীনে ক্ষমতায় থাকে, এবং সাধারণত এক চুক্তির মাধ্যমে তার শাসনধারা বজায় থাকে।
-
করদ রাজ্য: ইতিহাসে করদ রাজ্য বলতে সামন্ত রাজ্য বোঝানো হয়। যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকে জয়ী রাজার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হত। পরাজিত রাজাকে সামন্ত রাজা বলা হত।
-
সমুদ্রগুপ্ত: গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট, যিনি চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট করদ রাজ্য হিসেবে রয়ে যায়। এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, তিনি সমতট ব্যতীত বাংলার অন্যান্য জনপদকে সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের পূর্বতন রাজ্য ছিল নেপাল, কর্তৃপুর (পরিচয় বিতর্কিত), কামরূপ, ডবাক (আসাম বা ঢাকা), এবং সমতট। কালক্রমে সমতটও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
সমতট: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন জনপদ। বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতট নামে পরিচিত ছিল।
-
সমতটের অবস্থান ছিল মেঘনা পূর্ববর্তী কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে, এবং ত্রিপুরাকে এর প্রধান কেন্দ্র বলা হতো।
-
৭ম শতকে রাজা রাজভট্টের অন্যতম রাজধানী ছিল বড়োকামতা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
কমনওয়েলথ
C
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা
D
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন
১৯৭২ সালের ১৮ই এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে, যা দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা যোগদান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৮ এপ্রিল কমনওয়েলথে ৩৪তম দেশ হিসেবে যোগ দেয়।
-
এই সদস্যপদ ছিল বাংলাদেশর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে প্রথম পদচিহ্ন।
অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগদান:
-
জাতিসংঘ (UN): ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, ১৩৬তম সদস্য।
-
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC): ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি, লাহোর সম্মেলনে যোগদান।
-
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM): ১৯৭৩ সালে সদস্য পদ লাভ।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
শাক্তধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে অনেক বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়।
পাল রাজবংশ:
-
পাল বংশ অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসন করেছিল।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় প্রায় একশ বছর অরাজকতা বিরাজ করেছিল, যা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
এই অরাজকতার অবসান ঘটান গোপাল, যিনি পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।
-
পালবংশের রাজারা প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
-
এই যুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পরে পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি হন।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
উল্লেখযোগ্য:
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
-
পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
জন মেনার্ড কেইন্স
B
হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট
C
পল স্যামুয়েলসন
D
ক ও খ
বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস এবং যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট।
বিশ্বব্যাংক (IBRD - International Bank for Reconstruction and Development)
-
প্রতিষ্ঠিত: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
-
কার্যক্রম শুরু: জুন, ১৯৪৬
-
১৯৪৬ সালে সদস্য সংখ্যা: ৩৮টি দেশ
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৮৯টি দেশ, সর্বশেষ সদস্য নাউরু
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডি. সি., যুক্তরাষ্ট্র
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: অজয় বঙ্গ (বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সবসময় মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা মনোনীত)
-
প্রধান অঙ্গসংস্থা: ৫টি
প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস:
-
১৯১৮–১৯৩৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বৈশ্বিক অর্থনীতি নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল, যেমন: উল্লম্ফন মুদ্রাস্ফীতি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা, বিদেশি শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভে ওঠা-নামা, স্বর্ণের সংকট, মুদ্রামান হ্রাস।
-
এই সমস্যা সমাধানে একটি বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গঠনের পরিকল্পনা করা হয়।
-
১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার, ব্রেটন উডস-এ জাতিসংঘের মুদ্রা ও অর্থবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং জন মেনার্ড কেইনস।
-
ব্রেটন উডস সম্মেলনে ৪৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং দুটি বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থা ও একটি বাণিজ্যিক বৈশ্বিক নিয়ম প্রতিষ্ঠার জন্য Articles of Agreement স্বাক্ষর করে।
-
১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বিশ্বব্যাংক ও IMF গঠনের Articles of Agreement অনুমোদন করে।
0
Updated: 1 month ago