রবার্ট ক্লাইভ কত সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
A
১৭৬২ সালে
B
১৭৬৩ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৬৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন এবং দেশের রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে থাকলেও, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর অর্পিত ছিল। দায়িত্ব বিভাজনের ফলে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অবাধ লুণ্ঠন এবং যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায়ের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়, এবং নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হন।
-
দ্বৈতশাসনে রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসন ও বিচার নবাবের হাতে ছিল।
-
দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা দেখা দেয়।
-
অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচারের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংস হয়।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতিতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পাঙন সম্প্রদায় কোন নৃগোষ্ঠীর শাখা?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মণিপুরী
C
গারো
D
তঞ্চঙ্গ্যা
পাঙনরা মণিপুরী নৃগোষ্ঠীর একটি স্বতন্ত্র শাখা, যারা ধর্ম ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে মণিপুরী সমাজের অংশ হলেও তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
পাঙন সম্প্রদায় মূলত মণিপুরী নৃগোষ্ঠীর একটি শাখা।
-
মণিপুরের রাজা চৌরজিৎ সিংহের সময় (১৮১৯-১৮২৫) সংঘটিত বার্মা-মণিপুর যুদ্ধের পর মণিপুরী জনগণের একটি অংশ ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
-
বাংলাদেশে আগত মণিপুরীরা প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত:
১. বিষ্ণুপ্রিয়া
২. মৈতৈ
৩. পাঙন -
পাঙনরা আর্য বংশভুক্ত, মৈতৈ ভাষায় কথা বলে এবং ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে।
-
ভাষাগত পরিচিতি মৈতৈদের সঙ্গে মিললেও ধর্মীয় পরিচয় আলাদা, ফলে পাঙনরা আলাদা একটি সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত।
-
মূলত ধর্মীয়ভাবে মুসলিম হলেও, তারা মণিপুরী সমাজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষ গ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, সার্বিকভাবে ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা?
Created: 1 month ago
A
কুমিল্লা
B
ময়মনসিংহ
C
রংপুর
D
দিনাজপুর
ধান উৎপাদনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বিভাগ ও জেলা ভিত্তিতে শীর্ষ স্থানগুলো নিম্নরূপ:
-
সার্বিক উৎপাদন (বিভাগ ভিত্তিতে): রংপুর বিভাগ – ৭০,৩৭,৬৬৪ মেট্রিক টন
-
সার্বিক উৎপাদন (জেলা ভিত্তিতে): ময়মনসিংহ জেলা – ১৮,২৯,৯৪৩ মেট্রিক টন
ফসলভিত্তিক শীর্ষ স্থানগুলো:
-
আউশ ধান উৎপাদন:
-
শীর্ষ বিভাগ: চট্টগ্রাম
-
শীর্ষ জেলা: কুমিল্লা
-
-
আমন ধান উৎপাদন:
-
শীর্ষ বিভাগ: রংপুর
-
শীর্ষ জেলা: দিনাজপুর
-
-
বোরো ধান উৎপাদন:
-
শীর্ষ বিভাগ: রাজশাহী
-
শীর্ষ জেলা: ময়মনসিংহ
-
0
Updated: 1 month ago