প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে কোনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল?
A
বঙ্গ
B
সমতট
C
চন্দ্রদ্বীপ
D
পুণ্ড্র
উত্তরের বিবরণ
পুণ্ড্র জনপদ ছিল পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন জনপদ এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচীন মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে উল্লিখিত পুদনগল বা পুণ্ড্র নগর ও বর্তমান বগুড়া শহরের অবস্থান প্রমাণ করে এই জনপদটির অস্তিত্ব। সময়ের সাথে এটি দুটি ভিন্ন নামে পরিচিতি পায়; প্রাচীনকালে পুণ্ড্রবর্ধন এবং মধ্যযুগে বরেন্দ্র বা বরীন্দ্র।
-
পুণ্ড্র জনপদ বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
-
প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর, যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
-
পুণ্ড্রনগর বর্তমান বগুড়া শহরের কাছাকাছি করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
-
সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রি.পূ. ২৭৩-২৩২ অব্দ) প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্য স্বাধীনতা হারায়।
-
গুপ্ত যুগে (৪র্থ-৬ষ্ঠ শতকে) পুণ্ড্র নগর ছিল গুপ্তদের প্রাদেশিক রাজধানী।
-
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুণ্ড্র জনপদ বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে বিবেচিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন উপজাতি নিজেদেরকে ’মারুচা’ বলে অভিহিত করে থাকেন?
Created: 1 month ago
A
গারো
B
ম্রো
C
খিয়াং
D
পাঙ্গন
ম্রো হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যা বিশেষভাবে বান্দরবান জেলায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা তিব্বতী-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অংশ।
-
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেমন তোইন, মঙ্গু, তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায়।
-
ম্রোরা ম্রু ও মুরং নামেও পরিচিত।
-
তাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে বর্ণমালা ছিল না, বর্তমানে তাদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে।
-
ম্রোরা তিব্বতী-বর্মী ভাষার একটি বিশেষ শাখা ব্যবহার করে।
-
বর্তমানে ম্রোদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণীত হয়েছে।
-
তারা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ নামে অভিহিত করে।
-
ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
স্বদেশী আন্দোলনের সূত্রপাত কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল?
Created: 1 month ago
A
গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন
B
সিপাহী বিদ্রোহ
C
ভারত বিভক্তি
D
বঙ্গভঙ্গ
স্বদেশী আন্দোলন ছিল একটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, যা মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর কংগ্রেসের উগ্রপন্থী অংশের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বিলেতি পণ্য বর্জন, পরে বিলেতি শিক্ষা বর্জনও আন্দোলনের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
স্বদেশী আন্দোলন ক্রমশ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেস নেতারা গ্রামে, গঞ্জে এবং শহরে বিলেতি পণ্য পুড়িয়ে ফেলে এবং দেশী পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করেন।
-
আন্দোলনের ফলে বাংলার নিজস্ব তাঁতবস্ত্র, সাবান, লবণ, চিনি ও চামড়ার দ্রব্য তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে।
-
বিলেতি শিক্ষা বর্জনের কারণে আন্দোলনের সাথে যুক্তদের বিভিন্ন সরকারি স্কুল-কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়, এবং প্রয়োজনে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
-
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজণীকান্ত সেন প্রমুখ জাতীয়তাবোধক গান রচনা করেন। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’।
-
মুসলমান সমাজ আন্দোলন থেকে দূরে থাকায় এটি জাতীয় রূপলাভে ব্যর্থ হয়।
-
সাধারণ মানুষ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্নবর্ণের লোকজন দারিদ্র্যের কারণে আন্দোলনের মর্ম বুঝতে ব্যর্থ হয়।
-
বিলেতি দ্রব্য বর্জন সম্পূর্ণভাবে সফল হয়নি, কারণ কোলকাতার অবাঙালি ব্যবসায়ী ও বাংলার গ্রাম্য ব্যবসায়ীরা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হননি।
-
আন্দোলন যদি গোপন সশস্ত্র সংগ্রামের পথে অগ্রসর হতো, জনগণ তখনও দূরে সরে যেত।
-
আন্দোলনের ফলে হিন্দু ও মুসলমানের সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি পায়, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেবে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের বিভাজন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সর্বোচ্চ গন্তব্য কোন দেশ?
Created: 1 month ago
A
কানাডা
B
জার্মানি
C
যুক্তরাষ্ট্র
D
স্পেন
২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) রপ্তানি চিত্র
সার্বিক রপ্তানি অবস্থা:
-
মোট রপ্তানি: ৪৬.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১টি দেশ ও অঞ্চল)
-
তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়: ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
খাতটির প্রবৃদ্ধি: ৮.৮৪%
দেশভিত্তিক প্রধান বাজার:
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ): ১৯.৭১ বিলিয়ন ডলার (৫০.১০%)
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার (১৯.১৮%)
-
যুক্তরাজ্য: ৪.৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১.০৫%)
-
কানাডা: ১.৩০ বিলিয়ন ডলার (৩.৩১%)
ইউরোপের ভেতরে প্রধান বাজারসমূহ:
-
জার্মানি: ৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার
-
স্পেন: ৩.৪০ বিলিয়ন ডলার
-
ফ্রান্স: ২.১৬ বিলিয়ন ডলার
-
নেদারল্যান্ডস: ২.০৯ বিলিয়ন ডলার
-
পোল্যান্ড: ১.৭০ বিলিয়ন ডলার
-
ইতালি: ১.৫৪ বিলিয়ন ডলার
-
ডেনমার্ক: ১.০৪ বিলিয়ন ডলার
প্রবৃদ্ধি (২০২৪–২৫ অর্থবছরে):
-
ইইউ বাজারে: ৯.১০%
-
যুক্তরাষ্ট্রে: ১৩.৭৯%
-
কানাডায়: ১২.০৭%
আন্তর্জাতিক অবস্থান:
-
ডব্লিউটিও’র World Trade Statistics 2024 অনুযায়ী, চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
উৎস:
i) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
ii) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ওয়েবসাইট
iii) প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago