খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে?
Created: 2 days ago
A
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ
B
হামিদুজ্জামান খান
C
গোপাল চন্দ্র পাল
D
হামিদুর রহমান
শহীদ মিনার
-
উদ্দেশ্য: শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ।
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে।
-
প্রাথমিক নির্মাণ: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে।
-
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও উদ্যোগ:
-
শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন নিশ্চিত করেন।
-
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান শহীদ মিনারের স্থপতি।
-
নভেম্বর ১৯৫৭ সালে হামিদুর রহমান ও নোভেরা আহমেদ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে নির্মাণ শুরু।
-
-
উদ্বোধন: ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদ আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম কর্তৃক।
-
স্থান: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখভাগের বিস্তৃত এলাকা।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
সাভার, ঢাকা
B
মিরসরাই, চট্টগ্রাম
C
আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ
D
মাধবরাম, কুড়িগ্রাম
জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (National Special Economic Zone – NSEZ)
-
অবস্থান: চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলা এবং ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় এলাকা, বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের পাশে।
-
মোট আয়তন: প্রায় ১৩৭ বর্গকিলোমিটার (৩৩,৮০৫ একর)
-
৪১% (১৪,০০০ একর) – শিল্পকারখানা
-
৫৯% – খোলা জায়গা, বনায়ন, বন্দর সুবিধা, আবাসন, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র
-
-
গঠন: ৩টি ইকোনমিক জোন এবং মোট ১২টি পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত
-
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল
-
পোশাক (বিজিএমইএ) শিল্পপার্ক
-
ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল
-
এসবিজি (শিকদার, বসুন্ধরা ও গ্যাসমেন গ্রুপ) অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদি
-
-
উদ্দেশ্য ও সম্ভাবনা:
-
পুরো অঞ্চল চালু হলে আগামী ১৫ বছরে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান
-
প্রতিবছর রপ্তানি আয় প্রায় ১,৫০০ কোটি ডলার
-
-
উদ্বোধন: ২০১৬ সালে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও বেপজা ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত নয়?
Created: 2 days ago
A
বিভাগীয় প্রশাসন
B
জেলা প্রশাসন
C
উপজেলা প্রশাসন
D
জেলা পরিষদ
স্থানীয় প্রশাসন (Local Administration) – বাংলাদেশ
১. সংজ্ঞা
স্থানীয় শাসন বলতে সাধারণত স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন বোঝানো হয়, যা বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কার্যকর হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য: প্রশাসনের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্নস্তর পর্যন্ত নেওয়া।
-
মুখ্য কাজ: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায়, এবং সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।
-
এই ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
২. স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত নয়
-
জেলা পরিষদ স্থানীয় প্রশাসনের অংশ নয়।
-
এটি একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা স্থানীয় সরকার হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 2 days ago