খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
উত্তরের বিবরণ
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
’শিখা চিরন্তন’ কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা সেনানিবাস
B
বঙ্গভবন
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
গণভবন
শিখা চিরন্তন
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৭ সালের ২৬শে মার্চ
-
অবস্থান: ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
-
উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদদের অমর স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখা
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন
-
১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
-
-
উল্লেখযোগ্যতা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে স্থাপিত
0
Updated: 1 month ago
জনসংখ্যা নীতি ২০২৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় কতজন মানুষ বাস করে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৯৯৯ জন
B
১,০১১ জন
C
১,১১৯ জন
D
১,২১১ জন
বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতি ২০২৫
-
জনসংখ্যা নীতি হলো একটি দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা।
-
নীতি প্রণয়ন করা হয় দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।
-
প্রকাশকাল: ১৪ জুলাই, ২০২৫, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১১৯ জন মানুষ বাস করে।
-
মোট প্রজনন হার (TFR) ২.৩।
-
শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৩১।
-
মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৩৫।
-
১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ৩.৬৪ শতাংশ বেকার।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন ইপিজেডে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম ইপিজেড
B
ঢাকা ইপিজেড
C
ঈশ্বরদী ইপিজেড
D
কর্ণফুলী ইপিজেড
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (EPZ)
-
দেশের শিল্প খাতের দ্রুত বিকাশ ও বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (BEPZA) ইপিজেড স্থাপন করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে।
-
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৮টি সরকারি ইপিজেড রয়েছে: চট্টগ্রাম, ঢাকা, মোংলা, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, উত্তরা, আদমজী ও কর্ণফুলী।
-
ইপিজেডে মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠান: ৫৬৩টি, যার মধ্যে ৪৫০টি চালু এবং ১১৩টি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়।
-
সর্বোচ্চ উৎপাদন ও বিনিয়োগ: চট্টগ্রাম ইপিজেড। দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা ইপিজেড।
উৎপাদন ও রপ্তানি তথ্য (২০২৪–২৫):
-
ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের রপ্তানি বৃদ্ধি: ১৬%, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৭%।
-
উৎপাদিত পণ্য ১২০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ধরণ:
-
৩৩% তৈরি পোশাক
-
১৮% গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ
-
৯% টেক্সটাইল
-
৪০% বৈচিত্র্যময় পণ্য: ইলেকট্রনিক্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, ফ্যাশন এক্সেসরিজ ইত্যাদি
-
উৎস:
i) প্রথম আলো
ii) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 1 month ago