ভারত ছাড় আন্দোলন কবে শুরু হয়েছিল?
A
১৯৩৯ সালে
B
১৯৪০ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৪২ সালে
উত্তরের বিবরণ
ভারত ছাড় আন্দোলন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয় এবং ১৯৪২ সালে এটি শুরু হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ইংরেজ সরকার কোনোভাবেই ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না।
-
সরকার এই আন্দোলন দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখে।
-
আন্দোলনের শুরুতে মধ্যরাতে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ, জওহরলাল নেহরু, গ্রেফতার হন।
-
কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব নেতা কারাগারে বন্দি হন।
-
নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের কারণে অহিংস আন্দোলন ভয়াবহ সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়।
-
১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির (বোম্বাই) অধিবেশনে বিখ্যাত ভারত ছাড় আন্দোলনের প্রস্তাব পাস হয়।
-
পরপরই যতদূর সম্ভব ব্যাপকভাবে অহিংস পথে গান্ধীর নেতৃত্বে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 6 days ago
A
কৈবর্ত বিদ্রোহ
B
মাৎস্যন্যায়
C
বর্গী হানা
D
শতবর্ষের যুদ্ধ
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে এবং শক্তিশালীরা দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালাত। এই অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
পাল বংশ:
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করত, যা বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল, একজন উচ্চবর্গীয় ব্যক্তি।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দটির অর্থ হলো অরাজক পরিস্থিতি।
-
পাল বংশের শাসনের মাধ্যমে বাংলায় অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটে।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
কে ইলিয়াস শাহকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন?
Created: 19 hours ago
A
সম্রাট আকবর
B
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ
C
শামস-ই-সিরাজ আফীফ
D
ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ
শামস-ই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর শাসনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করলেও, সুলতানি যুগের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
-
তিনি দুই বাংলার সমগ্র সীমানা একত্রিত করে ‘বাঙ্গালাহ’ নামটি প্রচলিত করেন।
-
তাঁর রাজত্বকালে বাঙালিরা সর্বপ্রথম একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
এ সময় বাংলার লোকেরা বাঙালি হিসেবে পরিচিত হয়।
-
ঐতিহাসিকরা তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
ইলিয়াস শাহ ১৬ বছর রাজত্ব করার পর ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ও সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতির মর্যাদা লাভ করেন।
-
এর আগে এই বিরল গৌরব কোনো মুসলিম শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এই কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ এবং ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 1 week ago
A
পৌরসভা
B
ইউনিয়ন পরিষদ
C
জেলা পরিষদ
D
উপজেলা পরিষদ
ইউনিয়ন পরিষদ:
- ইউনিয়ন পরিষদ এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
- ব্রিটিশপূর্ব আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত গ্রাম এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এটি কাজ করছে।
- সাধারণত গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত।
- ইউনিয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয় জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) থাকবেন।
- প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে মোট নয়জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন।
- প্রতি ৩ ওয়ার্ডে একজন মহিলা সদস্য পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর।
- ইউনিয়ন পরিষদ প্রধানত জনশৃঙ্খলা রক্ষা, স্থানীয় উন্নয়ন, প্রশাসনিক কাজ ও জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।

0
Updated: 1 week ago