কে ইলিয়াস শাহকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন?
A
সম্রাট আকবর
B
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ
C
শামস-ই-সিরাজ আফীফ
D
ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ
উত্তরের বিবরণ
শামস-ই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর শাসনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করলেও, সুলতানি যুগের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
-
তিনি দুই বাংলার সমগ্র সীমানা একত্রিত করে ‘বাঙ্গালাহ’ নামটি প্রচলিত করেন।
-
তাঁর রাজত্বকালে বাঙালিরা সর্বপ্রথম একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
এ সময় বাংলার লোকেরা বাঙালি হিসেবে পরিচিত হয়।
-
ঐতিহাসিকরা তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
ইলিয়াস শাহ ১৬ বছর রাজত্ব করার পর ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ও সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতির মর্যাদা লাভ করেন।
-
এর আগে এই বিরল গৌরব কোনো মুসলিম শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এই কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ এবং ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
খাজা নাজিমুদ্দিন
B
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
এ এইচ এম কামরুজ্জামান
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীরা
-
প্রথম মুখ্যমন্ত্রী: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের পর ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলায় প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
ফলাফল: সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টির কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়।
-
মুখ্যমন্ত্রী: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
-
-
শেষ মুখ্যমন্ত্রী: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৬ সালের অবিভক্ত বাংলায় সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ১১৪ আসন লাভ করে।
-
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
-
-
পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী (পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে): খাজা নাজিমুদ্দিন
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টি হলে পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
-

0
Updated: 3 days ago
মূল্যবোধ বলতে কোনটিকে বুঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
B
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
C
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মূল্যবোধ (Values):
-
মূল্যবোধ হলো মানব আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
এটি সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প যা মানুষের সামগ্রিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
-
সমাজজীবনে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে যে সকল নীতিমালা নিয়ন্ত্রিত করে, তাদের সমষ্টিকেই সামাজিক মূল্যবোধ বলা হয়।
মূল্যবোধের সংজ্ঞা:
-
স্টুয়ার্ট সি. ডড (Stuart C. Dodd):
“সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই সব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে আশা করে এবং যা সমাজ ব্যক্তির নিকট হতে লাভ করে।” -
এম. আর. উইলিয়াম (M.R. William):
“মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এর আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
বিচার বিভাগের অংশ নয়-
Created: 2 days ago
A
সুপ্রিম কোর্ট
B
আপিল বিভাগ
C
জাতীয় সংসদ
D
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ:
বাংলাদেশ সরকার তিনটি প্রধান বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করে: নির্বাহী, আইন এবং বিচার।
নির্বাহী বিভাগ:
-
নির্বাহী বিভাগকে শাসনবিভাগও বলা হয়।
-
এটি মূলত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে গঠিত।
-
প্রধান দায়িত্ব হলো সরকারি নীতি নির্ধারণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা।
আইন বিভাগ:
-
আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের দায়িত্ব পালন করে।
-
সাধারণত এই কাজটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বিচার বিভাগ:
-
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
-
এতে সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 2 days ago