চৌসার যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
A
শের খান ও বাবর
B
হুমায়ুন ও শের খান
C
শের শাহ ও আকবর
D
হুমায়ুন ও জাহাঙ্গীর
উত্তরের বিবরণ
চৌসার যুদ্ধ ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন বিহারের চৌসাতে সংঘটিত হয়, যেখানে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের খান (পরে শের শাহ সূরি) এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই যুদ্ধের ফলাফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা নিম্নরূপ:
-
শের খান বিজয়ী হন এবং সম্রাট হুমায়ুনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
-
এর ফলে মুঘল শাসনের পতন শুরু হয় এবং সূরি বংশের উত্থান ঘটে।
-
সম্রাট হুমায়ুন গৌড় পরিত্যাগ করার পূর্বে জাহাঙ্গীর কুলী বেগকে বাংলার শাসনভার অর্পণ করেন।
-
হুমায়ুন তাঁর বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আগ্রা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু বক্সারের নিকটবর্তী চৌসায় শের খান ও তাঁর আফগান অনুচররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
-
১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চৌসায় দুইপক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে চৌসার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
হুমায়ুন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
-
শের খানের জয়লাভের ফলে তাঁর রাজ্য পশ্চিমে কনৌজ থেকে পূর্বে আসাম ও চট্টগ্রাম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে বীরভূম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-
শেরখান পরে শেরশাহ উপাধি গ্রহণ করেন, নিজ নামে মুদ্রা প্রচলন এবং পাঠের নির্দেশ প্রদান করেন।
-
এই যুদ্ধে হুমায়ুনের পরাজয় মুঘলদের সামরিক ও কূটনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
নিচের কোনটি নির্বাহী বিভাগের অংশ নয়?
Created: 1 week ago
A
মন্ত্রিপরিষদ
B
প্রধানমন্ত্রী
C
প্রধান বিচারপতি
D
রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ সরকারের কাঠামো তিনটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি বিভাগ রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
নির্বাহী বিভাগকে শাসনবিভাগও বলা হয়। এটি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে গঠিত এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দায়িত্ব পালন করে।
-
আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের কাজ করে থাকে। এ দায়িত্ব সাধারণত জাতীয় সংসদ পালন করে।
-
বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। এটি সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত। এর নেতৃত্বে থাকেন প্রধান বিচারপতি।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
পাংখোয়া জাতিগোষ্ঠী নিজেদের কোন ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী বলে পরিচয় দেয়?
Created: 3 days ago
A
বৌদ্ধ
B
বাহাই
C
খ্রিস্টান
D
জৈন
পাংখোয়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
পাংখোয়া পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা থেকে বান্দরবানের রুমা পর্যন্ত এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
তারা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম।
-
পাংখোয়া জনগোষ্ঠী নিজেদের ধর্মবিশ্বাসে বৌদ্ধ বলে দাবি করে।
-
তবুও, অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মতো তাদের সমাজে প্রকৃতি উপাসনাও প্রচলিত।
-
পাংখোয়া সমাজে পৌরাণিক গল্পকাহিনী ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান সৃষ্টিকর্তা হলো ‘পত্যেন’, এবং প্রধান উপাস্য দেবতা হলো ‘খোজিং’।

0
Updated: 3 days ago
বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
Created: 19 hours ago
A
১৭৫৩ সালে
B
১৭৫৯ সালে
C
১৭৬২ সালে
D
১৭৬৪ সালে
বক্সারের যুদ্ধ ছিল নবাব মীর কাসিম ও তাঁর মিত্রশক্তির সঙ্গে ইংরেজদের মধ্যে সংঘটিত একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এটি পলাশীর যুদ্ধের পর, ১৭৬৪ সালে বিহারের বক্সার স্থানে সংঘটিত হয়। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনী মেজর হেক্টর মুনরোর নেতৃত্বে এবং মীর কাসিম, মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম, ও অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা-এর সম্মিলিত সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর।
-
এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।
-
যুদ্ধের পর দ্বিতীয় শাহ আলম পুনরায় ইংরেজ শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
নবাব সুজাউদ্দৌলা রোহিলাখন্ডে পালিয়ে যান এবং অযোধ্যা ইংরেজ বাহিনীর অধীনে চলে আসে।
-
নবাব মীর কাসিম নিরুদ্দেশ হন এবং এরপর তাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
-
বক্সারের যুদ্ধ ছিল একটি চূড়ান্ত যুদ্ধ, যা বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে ইংরেজ কোম্পানির শাসনের অধীনে নিয়ে আসে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago